পরন্ত বিকেলে আমাদের ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন আগে আমরা একটি বাগানে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আগে আমাদের অঞ্চলের ধান ছাড়া কোনো ফসল চাষ করা হতো না। এখন মানুষের চিন্তাধারা অনেকটা বদলে গিয়েছে। মানুষ এখন একটু হলেও উন্নত চিন্তা ভাবনা করে কিভাবে কম খরচে লাভবান হওয়া যাবে একই জমি থেকে। সেই চিন্তা করে এখন আমাদের অঞ্চলে অনেকেই ফলের বাগান করেছে। বিশেষ করে যুবসমাজ বেকারত্ব দূর করতে এই পথ বেছে নিয়েছে।
এখন অনেক শিক্ষিত ছেলে আছে যারা পড়াশোনা শেষ করে চাকরি না পেয়ে বাসায় বসে থাকে। অনেকেই বসে না থেকে কৃষি কাজের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। বিশেষ করে মাছ চাষ, বাগান করা কিংবা চাষাবাদ করা। এতে করে তাদের যেমন বেকারত্ব দূর হচ্ছে তেমনি পাশাপাশি দু একজনকে কাজেও লাগাতে পারছে। তাদেরও সংসার টুকটাক ভালোই চলছে। যাইহোক কিছুদিন আগে আমরা গিয়েছিলাম আমাদের এলাকাতে এক বড় ভাইয়ের পেয়ারা এবং কমলা বাগানে। আমরা গ্রামে আসলে মূলত আশেপাশে যে ফলমূল পাওয়া যায় সেগুলো কিনে খাওয়ার চেষ্টা করি।
আমার ছেলে পেয়ারা খেতে খুবই পছন্দ করে কিন্তু আমাদের বাজারে পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছিল না একদিন হঠাৎই শুনতে পেলাম পাশের গ্রামে একজন পেয়ারা বাগান এবং কমলা বাগান করেছেন। আপনাদের ভাইয়া আমি এবং বাবু ও বিকেল বেলা সেই বাগানে গিয়ে বাগান ভ্রমণ করলাম পাশাপাশি বেশকিছু পেয়ারা কিনেছিলাম বাবু তো ভীষণ খুশি গাছ থেকে পেয়ারা পারতে দেখে। সত্যি কথা বলতে নিজের হাতে গাছ থেকে ফল পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা আমারও বেশ ভালো লাগছিল গাছ থেকে পেয়ারা ছিড়তে।
যে ভাইটি বাগান করেছেন উনি একসাথে বেশ কিছু ফলের চাষ করেছেন বাগানে। পেয়ারা, আম, বরই, লিচু, কমলা ইত্যাদি। এছাড়াও পাশে দেখতে পারলাম একটা বড় পুকুর খনন করেছেন মাছ চাষ করার জন্য। ব্যাপারগুলো দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল। ধান চাষ করে উনি যতটা লাভবান হতেন তার থেকে অনেক গুণ লাভবান হন এই ফল চাষ করে। ব্যাপারটা অনুপ্রাণিত হওয়ার মতোই ছিল আমার কাছে। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেদিন বিকেলে। যাইহোক সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির পরিবেশে আম বাগানে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে এমন পরিবেশে সময় কাটানোর অনুভূতি বেশ দারুন হয়ে থাকে । আপনার বাবুকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। এত চমৎকার মুহূর্ত কাটানো অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি সেখানে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু সবাই লাভের আশায় চিন্তাধারা বদলে ফেলেছে। একদিকে বাগান অন্যদিকে পুকুর খনন করা হচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি অনেক বেশি লাভবান হবে। আপু আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর সায়ান তো বেশ বড় হয়ে গেছে আপু।
হুমম আপু বাবু বড় হয়ে যাচ্ছে। দোয়া রাখবেন বাবুর জন্য।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার বাবু আপনি এবং আপনার ভাইয়া পেয়ারা বাগানে যেয়ে কিছু পেয়ারা কিনেছেন ।গাছ থেকে পেয়ারা পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা ।পরন্ত বিকেলে আপনাদের ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পড়ন্ত বিকেলের মুহূর্তে ঘোরাঘুরি টা আমিও বেশ পছন্দ করি। তবে আগের চেয়ে এখন যেন একটু বেশি ঘোরাঘুরি হয়ে যায় ফটো ধারণের জন্য। আপনার বাবু পেয়ারা বেশি পছন্দ করে জেনে ভালো লাগলো কারণ পেয়ারা আমাদেরও খুবই প্রিয়। বাড়িতে বেশ কিছু গাছ রয়েছে কিন্তু এ সমস্ত পেয়ারাগুলো ভালো লাগে না বাজারের সেই থাই পেয়ারা গুলো বেশি পছন্দ হয় আমার। যাইহোক খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এখন অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন দেখে।
ঠিক বলছেন আপু থাই পেয়ারা গুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশ সরকার বেকারত্ব দূর করার জন্য যুব সমাজের জন্য অনেক কিছু করে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য অনেক ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। চাকরি পাওয়ার সময়টুকুতেই এই ধরনের যদি জমিতে চাষ করে ইনকাম করতে পারে তাহলে বেশ ভালো। আর আপনারা তো ফ্রেশ ফল কিনতে গেলেন বাগানে। সুন্দর একটি সময় কাটালেন ভালো লাগলো।
হ্যাঁ একদম বাগান থেকে নিজে ছিঁড়ে কিনে নিয়েছি।অনূভুতি টা অন্যরকম ছিলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমান সমাজে চাকরির যে অবস্থা তাতে করে সবজি ফল বিভিন্ন রকমের চাষাবাদ করে খাওয়াই অনেক ভালো।এতে করে নিজেদের বেকারত্ব ঘুচবে এবং সেই সাথে উন্নতি করতে পারবে।আপনাদের ঘোরাঘুরি দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো, এরকম জায়গায় ঘুরতে গেলেও ভালো লাগে।সুন্দর মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাবি।
জ্বি বৌদি এমন সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে গেলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আগে গ্রামে মানুষ শুধু ধান চাষ করত।এখন মানুষ অনেক ধরনের আবাদ সহ ফলের বাগান করছে।আপনার ছেলে বেশ মজা করে গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার ছেলে খোলামেলা পরিবেশ অনেক পছন্দ করে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এখনকার যুগে আসলে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নতির কারণে প্রত্যেকেই চিন্তা করে যে, অল্প খরচে কিভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়। বেকার বসে না থেকে অন্তত যে কোন কাজে হাত লাগানোর ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যাইহোক, আপনারা পড়ন্ত বিকেলে এত সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং টুকটাক ফল কিনেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।