নানু ভাইকে দেখতে নানু বাড়িতে❤️
"হ্যালো",
দুদিন হল বাবার বাড়িতে এসেছি।আপনারা অনেকেই জানেন আমার ছেলে এখানে থাকতে খুব পছন্দ করে। আর আমাদেরও শহর কেন্দ্রিক জীবন একদম ভালো লাগে না তাই মাঝেমধ্যেই ছুটে আসি গ্রামে। তো যাই হোক আজ সকাল বেলা হঠাৎই আমার নানু বাড়ি থেকে ফোন আসে যে আমার নানু ভাই একটু অসুস্থ। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার নানু ভাই ওমরা হজ্জ করতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আসার পর নানু ভাইয়ের সঙ্গে এখনো দেখা করিনি। তাই ভাবলাম যেহেতু অসুস্থ একটু দেখে আসি।
তো সকালে উঠে খাওয়া দাওয়া করে আমরা রেডি হয়ে যায়। রেডি হওয়ার পর পড়ে যায় বিপদে কারণ আমাদের গ্রাম থেকে বাজার প্রায় 1 কিলো দূরে।কোন ভ্যান বা অটো পাচ্ছিলাম না। এ রাস্তাটুকু আমাদেরকে হেঁটেই যেতে হবে। সত্যি কথা বলতে হাঁটার খুব একটা অভ্যাস নেই আর সাথে বাবু ছিল। যাইহোক আমার সাথে আমার ভাইয়ের ছেলেরা অনেকটা দূর এগিয়ে দিয়েছিল বাবুকে। এরপর বাজারে গিয়ে আমরা একটি ভ্যান নিয়ে চলে যায় আমার নানু বাড়িতে। তো গিয়ে দেখি নানুভাই বেশ ভালোই অসুস্থ।
আমার আম্মু বাসা থেকে আমার নানু ভাইয়ের জন্য অনেক কিছু রান্না করে নিয়ে গিয়েছিলেন। তো আমার আম্মু নানু ভাইকে বসিয়ে সেগুলো খাওয়াচ্ছিলেন। এই দৃশ্যটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। যেহেতু আমরা থাকবো না তাই কয়েক ঘন্টা সেখানে সময় কাটিয়ে আমরা চলে এসেছিলাম।
সেখান থেকে আসার সময় আমার নানু ভাই হজে গিয়ে আমাদের জন্য জায়নামাজ এবং তসবি এনে ছিলেন সেগুলো আমার নানী আমাকে দিয়ে দিলেন। সাথে খেজুর,মিষ্টি তেঁতুল আর জমজম কূপের পানি। তেঁতুলটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। খেতে এটা খুবই মিষ্টি ছিল।
যাইহোক এরপর আমরা চলে আসি বাসায়। সবাই আমার নানু ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। উনি যেনো খুব দ্রুত সুস্থ হতে পারেন। বন্ধুরা আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার মতো আমার কাছেও শহর কেন্দ্রিক জীবন ভালো লাগে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে থাকতে হয়। আপনার প্রায় সময় পোস্টে দেখা যায় আপনি গ্ৰামের বাড়ি গিয়েছেন। সব বাচ্চারাই মনে হয় তার নানু বাড়িতে যেতে বেশি পছন্দ করে। আপনার নানুভাই অসুস্থ বলে দেখতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার নানুভাই হজ্জ করে আসার সময় আপনাদের জন্য তাহলে অনেক কিছুই এনেছে। আমিও ঐ দেশের তেঁতুল খেয়েছিলাম আর এই তেঁতুল খেতে খুবই মিষ্টি লাগে। আপনার নানুভাই এর জন্য দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
হ্যাঁ আপু নানু ভাই হজ্জ থেকে আসার সময় আমাদের জন্য অনেক কিছুই এনেছে। আমি সৌদির কাঁচা তেঁতুল খেয়েছিলাম এই প্রথমবার পাঁকা তেঁতুল খেলাম অনেক মিষ্টি ছিল আপু।
বাহ আপু চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার নানা ভাই হজে গেলেন সেখান থেকে আসলেন। দেখতে গেলেন সেটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আর আপনি তো অনেক হাদিয়া ফেলেন সৌদি আরব থেকে নিয়ে আসা। সত্যি বাচ্চারা এমনই খোলামেলা পরিবেশে যেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। আমার বাচ্চাদের কে আমি বেশি দিনে রাখতে পারিনা গ্রামে চলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আমার ছেলে গ্রামে আসলে খুবই খুশি হয় আপু। কারণ শহরে সব সময় একা একা থাকে বাসায়। এখানে আসলে খোলামেলা পরিবেশ ছোট ছোট খেলার সাথী। ওর খুব ভালো সময় কাটে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু প্রথমেই আপনার নানু ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। উনি যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। আপনারা আপনার নানু ভাইকে দেখতে গিয়ে ভালই করেছেন ।আসলে কেউ অসুস্থ হলে তাকে কেউ দেখতে আসলে অসুস্থ মানুষটার কাছে বেশ ভালো লাগে। যেহেতু ওমরা হজ থেকে আসার পরে দেখা হয়নি তো এখন আপনাদেরকে দেখে তার নিশ্চয়ই ভালো লেগেছে ।আর মিষ্টি তেতুঁল খেতে মনে হয় ভালই হবে। যদিও আমি কখনো খাইনি ।বেশ ভালো লাগলো ।আপনার লেখাটি পড়ে ধন্যবাদ।
আমিও এই তেঁতুল প্রথমবার খেয়েছিলাম আপু খুবই মিষ্টি ছিল। এগুলো এখন বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যাইহোক নানু ভাইকে দেখতে গিয়ে খুবই ভালো লাগছিল। আর নানু ভাইও আমাদেরকে দেখে অনেক খুশি হয়েছিলেন।
আমরা যারা শহরে থাকি তারা কিছু সময়ের জন্য গ্রামে গেলে খুব ভালো সময় কাটে। বিশেষ করে বাচ্চাদের। তাছাড়া আপনি আপনার নানু ভাইকে দেখার জন্য গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।এক কিলোমিটার হাটা আমাদের জন্যই কষ্টকর সেখানে বাচ্চা থাকলে তো কষ্টের সীমান নেই। আপনার নানাভাই ওমরা হজ্জ থেকে অনেক জিনিস এনেছে আপনার জন্য দেখছি। এরকম মিষ্টি তেতুলগুলো আসলেই খেতে ভালো লাগে। আশা করি আপনার নানু ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
এটা ঠিক বলেছেন আপু গ্রামে আসলে অনেক ভালো সময় কাটে আমার এবং আমার ছেলেরও।আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আপনার নানু ভাই ওমরাহ হজ্জ করতে গিয়েছিলেন,সেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম। আপনাদের তো শহরের চেয়ে গ্রামে বসবাস করতে বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার নানু ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। উনি তো দেখছি অনেক কিছুই নিয়ে এসেছেন আপনাদের জন্য সৌদি আরব থেকে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া শহরে একদম ভালো লাগে না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।