ঐশির জন্মদিন 🎂🎉❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। কিছুদিন থেকে অনুষ্ঠানের পর অনুষ্ঠান হয়েই চলেছে। সেই যে আপনাদের ভাইয়ের জন্মদিন শুরু হয়েছে তারপর থেকে পিকনিক আবারো গতকাল একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
বৃষ্টি চাকী বৌদিকে আপনারা সবাই চেনেন। ওনাকে আরো বেশি করে চেনেন ওনার মেয়ের গানের জন্য। উনার বড় মেয়ে বর্ষা চাকি আমরা ঐশী নামে ডাকি। যে প্রতিনিয়ত হ্যাংআউটে তার মধুর কন্ঠে আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর গান উপহার দেয়। সেই মিষ্টি গানের পাখির জন্মদিন ছিল গতকাল।বৌদি প্রায় সময় অসুস্থ থাকে। গতকালও বেশ ভালই অসুস্থ ছিলেন তাই ঠিক করেছিলেন মেয়ে তার বান্ধবীদেরকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে কিছু সময় কাটাবে।কিন্তু বৌদির জনপ্রিয়তা তার হতে দিল না। মেয়ের বান্ধবী এবং আশেপাশের সবার অনুরোধ ছিল আলুর দম এবং লুচি খাবে।
কি আর করার সবাই মুখ ফুটে খেতে চেয়েছে।তাই আয়োজন না করে উপায় নেই। গতকাল সকালবেলা আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল আমি যেন বিকেল পাঁচটার দিকে যাই কারণ উনি অসুস্থ একা হাতে সবকিছু সামলাতে পারবেন না।আমি গিয়ে দেখি আলুর দম পায়েস রান্না প্রায় হয়ে গেছে। তো আমি গিয়ে লুচি বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এতগুলো লুচি আমি কখনো বানায়নি বৌদি আমাকে শিখিয়ে দিয়েছিলেন আমি সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আমি ইতিমধ্যেই বলেছিলাম ওনার কাছে আমি বেশ কিছু রান্না শিখেছি।গতকালও লুচি বানানোর পারফেক্ট ডো তৈরি করতে আমি শিখে গেছি।
যাইহোক আমাদের লুচি বানানো প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার মতো তখনই সবাই চলে এসেছিলেন। বৌদির মেয়ের কিছু বান্ধবীরা এসেছিলেন, আশেপাশের সব ভাবীরা, শায়নের বাবা, ওই বাসার বাড়িওয়ালী এবং বাড়ি বাড়ি আন্টির ছেলেরা আরো আশেপাশের কিছু মহিলা ছিলেন। ঐ যে বললাম বৌদির অনেক জনপ্রিয়তা আছে পাড়ায়। তাই দাওয়াত না করলেও একবার ডাকলে সবাই চলে আসে।যাইহোক কেক কাটার পর্ব শেষ করে সবাইকে খাবার দেওয়া হয়। কেকটা অনেক সুন্দর তাই না ওর ছোট বোন ওকে গিফট করেছে সামনে ওর এসএসসি পরীক্ষা। সেই থিম মাথায় রেখে এই কেকটা ডেকোরেশন করা হয়েছে।
এতোগুলো প্লেট পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাই অন টাইম প্লেট এবং গ্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেলে আমি বৌদির সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করে বাসায় চলে এসেছিলাম। বৌদির বাসায় আমি সব সময় ভালো মহূর্ত কাটায়।কলারো ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম বিশেষ করে বাবু তো অনেক খুশি ছিল।
জন্মদিনের কিছু মুহূর্তের ভিডিওগ্রাফি।📸
যাইহোক সবাই ওর জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন এবং ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
মেয়ের জন্মদিন বলে কথা আপু। আসলেই যত অসুস্থ হোক কিন্তু কিছু করে খাওয়ানো চেষ্টা করে সব মেয়েরা। আপনারা তো বেশ মজার লুচি তৈরি করলেন লুচির কালার গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া আলুর দম দিয়ে লুচি খেতে বেশ ভালোই লাগে। অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালেন ভালো লাগলো শেয়ার করার জন্য।
লুচি দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল। আর আলুর দমের কথা কি আর বলব এক কথায় অমৃত। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই ঐশীকে জানাই তার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ঐশির জন্মদিন দেখছি আপনারা সবাই মিলে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। তার ছোট বোন দেখছি তাকে অনেক সুন্দর একটা কেক উপহার দিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা যেহেতু সামনে, তাই ওটা চিন্তাভাবনা করে এইটা দিয়েছে। এরকম একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছি, কিন্তু আমরা দাওয়াত পাইনি। এটা কিভাবে হলো? ঐশীর জন্য সব সময় দোয়া করি। যেন সে তার জীবনের পরবর্তী সময় গুলো হাসিখুশি পাবে কাটাতে পারে। আর সে যেন ভালো কিছু করে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে এটাই দোয়া করি।
দাওয়াত পান নাই এটা তাহলে বৃষ্টি চাকি বৌদির সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিতে হবে। 🤪যাইহোক সত্যি কেকটা দেখে আমরা অনেকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বর্ষার খালামনির পোস্ট পড়ে জানতে পেরেছিলাম বর্ষার জন্মদিনের কথা। আসলে বর্ষার বিষয়ে তার মায়ের পোস্টে অনেক আগে একবার পড়েছিলাম মেয়েটির উদার মন সম্পর্কে। তবে ওর গানে সবাই কিন্তু অনেক বেশি আনন্দ পায় । যাই হোক ওর আম্মুকে হেল্প করার জন্য আপনি একটু তাড়াতাড়ি গিয়েছেন সেটা শুনে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। কারণ আপনি নিজের মন থেকে তাদেরকে হেল্প করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমরা একে অপরকে আপনজন মনে করি। তাই যেকোন বিপদে একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করি। যেহেতু বৌদি একটু অসুস্থ ছিলেন তাই হেল্প করার চেষ্টা করেছি আর কি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গতকালকে ঐশীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল এবং সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন দেখছি। ভাইয়ের জন্মদিনের পর থেকে তাহলে বেশ ভালোই মজা করতেছেন আপনারা সবাই। পিকনিক ও করা হয়েছিল এসব কিছু দেখে তো খুব ভালোই লেগেছে। আর গতকালকে ছিল জন্মদিনের অনুষ্ঠান। জন্মদিনে খুব ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। খাবারের আয়োজনটাও খুব ভালোভাবে করা হয়েছে। দিদির অসুস্থতার কারণে সবকিছু এক হাতে সামলাতে পারবে না বলে, আপনি ওনাকে সাহায্য করার জন্য গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। কেকের ডেকোরেশন দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিলাম, পরে বুঝতে পেরেছি ওর বোন তার এসএসসি পরীক্ষার কারণে কেকের এরকম ডেকোরেশন করছে। ঐশীর জন্য সব সময় দোয়া করি, যেন বড় হয়ে ভালো কিছু করতে পারে।
সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভ জন্মদিন ঐশী। ঐশীর জন্মদিনের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।আসলে ভালোবাসাই সব।মানুষ চলে যাবো পরপারে কিন্তুু তার ব্যাবহার চিরজিবন বেঁচে থাকবে।আপনাদের মতো ভালো প্রতিবেশী পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার। ধন্যবাদ সুন্দর করে জন্মদিনের পোস্ট টি বর্ণনা ও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু হয়তো আমরা একদিন থাকবো না কিন্তু ভালো ব্যবহার গুলো সারা জীবনে থেকে যাবে।আমারও হয়তো ভাগ্য অনেক ভালো যার কারণে বৌদির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তবে আপনাকে অনেক মিস করেছি। আপনি থাকলে আরো বেশি মজা হত।