আমার উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প || দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
যাই হোক এরপর সংসারের চাপে হোক কিংবা নানা কারণে কখনো সেটা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এর পরে আবার বাবু চলে আসে পৃথিবীতে। তখন তো আরো ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু মাথার মধ্যে চিন্তাটা আমার রয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ একদিন রাতে আমি বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং আমার হাতে তখন কিছু টাকা ছিল ভাবলাম আমার স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা দরকার সাথে সাথে আপনাদের ভাইয়াকে বিষয়টা জানালাম এবং সেও কোন আপত্তি করল না এখন বিষয় হচ্ছে আমি তো কোথাও গিয়ে পাইকারি ভাবে মালামাল কিনতে পারবো না। তাই আমাকে অনলাইনে কিছু চিন্তা করতে হবে। এরপর শুরু হয়ে গেল আমার অনলাইনে বিভিন্ন পেজ খোঁজাখুঁজির পর্ব।
এরপর ফেসবুকে বিভিন্ন পেজের খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিলাম। মাঝেমধ্যে টুকটাক অনলাইনে কেনাকাটা করেছি তবে পাইকারি দরে কখনো কিছু কেনা হয়নি। তাই সেই বিষয়ে অভিজ্ঞতা না থাকারই কথা। যাইহোক অনেক খোঁজাখুঁজি পর কিছু পেজ দেখলাম যারা পাইকারি দরে থ্রি-পিস বিক্রি করে। এবার কথা হচ্ছে বিজনেসটা আমি কাকে দিয়ে শুরু করবো। আমি তো বাবুকে নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করি। তখন আপনাদের ভাইয়া আমার আমাকে বলল আমার মাকে যেন এই বিষয়ে কাজে লাগাই। আমার মা গ্রামে থাকেন।সংসারের কাজ শেষে বসেই থাকেন। তাই ভাবলাম আমার মাকে দিয়ে শুরু করবো।এতে করে আমার মাও স্বনির্ভরশীল হতে পারবেন।
যাইহোক অনেকটা ভয়ে ভয়ে প্রথম বার আমি মাত্র ৬০০০ টাকার কাপড় অর্ডার করি। এরমধ্যে ভালো কিছু কাপড় ছিল আর কিছু কাপড় খারাপ দিয়েছিল তারপরও আমি ৬ হাজার টাকার কাপড় প্রায় ১২ হাজার টাকার মত সেল করেছিলাম। তখন আমার মাথায় আসলো আমাকে ভালো কিছু অর্ডার করতে হবে যাতে আমার লস না হয় আর আমার বেশি লাভেরও দরকার নেই তবে কাপড়ের মান যেন ভালো হয় ।আমি আমার প্রতিবেশী সেই ভাবির কাছে গিয়েছিলাম খোঁজ নেওয়ার জন্য কিন্তু উনার ব্যবসায়িক খাতিরে উনি আমাকে বলেননি। এরপর আমি বিভিন্ন পেজের রিভিউ দেখা শুরু করলাম।
যেই পেজের রিভিউ ভালো ছিল আমি সেখান থেকে দ্বিতীয়বার কাপড় অর্ডার করলাম। সেইবার প্রায় ১৬ হাজার টাকার মতো কাপড় অর্ডার করেছিলাম। এবং কাপড়গুলো পাওয়ার পর আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম কারণ প্রত্যেকটা কাপড়ের মান খুবই ভাল ছিল। তখন থেকে আমার মাথা খুলে যায় এবং আরো খুঁজে খুঁজে ভালো ভালো পেজে সন্ধান আমি পাই।তারপর থেকে এখন আমি প্রতিনিয়ত কাপড় অর্ডার করতে পারি এবং কিছু কিছু ভাইয়া আপুদের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
আমার বাজারে কোন দোকান নেই কিংবা মার্কেটে কোন শোরুম নেই। আমার মা গ্রামে বসেই বাসা থেকে গ্রামের মানুষের কাছে বিক্রি করেন এবং প্রত্যেকে বিষয়টা খুব ভালোভাবে নিয়েছে। আর নেবেই না কেন তাদের হাতের নাগালে ভালো মানের কাপড় পেলে তারা কেন মার্কেটে যাবে। আল্লাহর রহমতে এবং সবার দোয়ায় আমার ছোট বিজনেস টি এখন মাঝারি আকার ধারণ করেছে। থ্রি পিসের পাশাপাশি এখন আমি গজ কাপড়, ওড়না, হিজাবও রেখেছি।ইচ্ছা আছে যদি কখনো সামর্থ্য হয় একটা বড় শোরুম করব।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আপনারা পাশে থাকলে এবং আমি "আমার বাংলা ব্লগ" এর সাথে থেকে ইনশাল্লাহ একদিন আমার ইচ্ছে পূরণ করব। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
আপনার পোস্ট পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু প্রথমে সব কিছু করতে একটু ঝামেলা পোহাতে হয়।নিজের ইচ্ছে থাকলে যেভাবেই হোক সে বের হয়ে যেতেই পারে। যাইহোক দোয়া করি আপনি যেন আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশে থাকবেন আপু এবং দোয়া রাখবেন যেন আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্পটি প্রথম পর্ব পড়েও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে আজ দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আরো বেশি ভালো লেগেছে। আপনার ছোট বিজনেস টি মাজারি আকার ধারণ করেছে জেনে ভালো লাগলো। আর দোয়া করি যাতে আপনি এই কাজের পুরোপুরি সফল হয়ে উঠতে পারেন। ভবিষ্যতে বড় একটি শোরুম দিতে পারেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু খুব ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে একটা বড় শোরুম দেওয়ার।আপনাদের দোয়ায় ইনশাআল্লাহ একদিন সেই লক্ষে পৌঁছাতে পারবো। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে যে কোনো ব্যবসা শুরু করলে প্রথম দিকে একটু হিমশিম খেতে হয়। তবে ধৈর্য ধারণ করলে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা যায়। আপনার তীব্র ইচ্ছা ছিলো বলেই, আপনি অনলাইনে খুঁজে খুঁজে বিভিন্ন পেজের সন্ধান বের করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের শুভ ভাই আপনাকে দারুণ একটি বুদ্ধি দিয়েছে। যাইহোক আপনি এবং আন্টি মিলে ব্যবসাটাকে ধীরে ধীরে বড় করছেন,এটা জেনে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আশা করি এভাবেই অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া আস্তে আস্তে আমি আর আমার মা মিলে বেশ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার বিজনেসটাকে বড় করার জন্য। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ইনশাল্লাহ একদিন আমি সফল হব।
আপু বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে।আসলে মনে ইচ্ছা থাকলে যে কোন কিছুই করা সম্ভব।প্রথম বারেই টাকা ডাবল ।দারুন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন।দোয়া করি আপনার বাকি ইচ্ছেটাও যেন পূরণ হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ আপু এটা ঠিক বলেছেন মনের ইচ্ছা থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব। দোয়া রাখবেন এবং পাশে থাকবেন।
আপনার উদ্যোগটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক মানুষ এভাবে কেনাকাটা করে বিজনেস করে। তবে শুনে ভালো লাগলো 6000 টাকার কাপড় অর্ডার করে কিনে নিলেন। তবে অনলাইনে একটু জামিলা থাকে এ কারণে অনেক মানুষ টেনশন করে। আবার এই কাপড় গুলো বিক্রি করে মোটামুটি ভালই লাভবান হলেন। তবে আপনি এবং আন্টি মিলে ব্যবসাটি বড় করতেছেন সত্যি এটি খুব ভালো দিক।আসলে কিছু যখন করে ভালো দিক দেখা যায় তখন নিজের কাছে ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ছোট বিজনেস নিয়ে অনেক বড় ইচ্ছে আছে আপু। এভাবে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু কিছু কিছু উদ্যোক্তা আছে যেগুলো নিলে নিজের জন্য ভালো হয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। যে আপনি অনলাইনে কেনাকাটা করে সেগুলো আবার বিক্রি করতেছেন। তবে এটি ঠিক অনলাইনে বিজনেস গুলো একটু ভয় লাগে প্রথমে। শুনে ভালো লাগলো ছয় হাজার টাকার থ্রি পিস কিনে বারো হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। সত্যি আপনার এই উদ্যোক্তা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আর আমাদের ভাইয়ের সাপোর্ট আছে বিদায় আজকে আপনি বিজনেসের দিকে মন দিতে পেরেছেন। আপনার জন্য দোয়া এবং ভালবাসা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনাদের ভাইয়া আমার পাশে আছে তাই হয়তো মন দিয়ে বিজনেসটা করতে পারছি।
বাহ দারুন একটা কাজ করেছেন তো। আপনার স্বপ্ন তাহলে প্রায় আকাশ ছোঁয়ার কাছাকাছি। আপনার উদ্যোক্তা হয়ে উঠার গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। ছোট থেকেই এভাবে আস্তে আস্তে বড় হতে হয়। কেউ একলাফ দিয়ে বড় হতে পারে না। আপনার জন্য দোয়া রইল যেন তাড়াতাড়ি আপনার সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন।
হ্যাঁ আপু কষ্ট না করলে তো সফল হতে পারব না। আস্তে আস্তে শুরু করেছি ইনশাআল্লাহ একদিন বড় কিছু করতে পারবো। সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।