অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি খুবই সিরিয়াস একটি বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব এবং আশা করছি অনেকেই এটা থেকে শিক্ষা নিতে পারবেন বিশেষ করে যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা। আপনারা অনেকেই জানেন আমি গ্রামে আছি পরশুদিন চলে যাব তাই দুপুরবেলা ব্যাগ গোছাচ্ছিলাম। যেহেতু বাবুর এবং আমাদের অনেক কাপড় আছে শীতের তাই আস্তে আস্তে সব গুছিয়ে নিচ্ছিলাম। বাবু বাহিরে খেলা করছিল। হঠাৎ কোনো এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পাই। মায়ের মন তাই যে কোন বাচ্চা কান্না করলে মনে হয় নিজের বাচ্চা কান্না করছে। দৌড়ে বাসার বাহিরে বের হই।দেখলাম আমার বাবু খেলা করছে।
আমার পাশের বাসার অন্য একটা বাচ্চা খুব কান্না করছে। সম্পর্কে আমার পাড়াতো বোনের ছেলে। আমার ছেলের সঙ্গে মাঝেমধ্যে এসে খেলাধুলা করে।বয়স বছর চারেক হবে। তার কান্না শুনে কিছুতেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না আস্তে আস্তে তাদের বাসায় গেলাম। আর গিয়ে যেটা দেখলাম সেটার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। বাচ্চার পায়ে গরম পানি পড়ে গেছে এবং দুই জায়গায় অল্প ছিলে গেছে। সবাই ওকে নিয়ে কান্নাকাটি করছিল। আসলে গোসল করার জন্য ওদের বাড়িতে পানি গরম দেওয়া ছিল ইলেকট্রিক জগে। সাধারণত সব বাচ্চাই দুষ্টু হয় আর সেও ভীষণ দুষ্ট। দুষ্টামি করতে করতে একটা সময় জগ ধরে টান মারে আর গরম পানি তার পায়ে পড়ে।
বাচ্চাটা শীতের পায়জামা পড়া ছিল এই খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। তবে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। হয় তাদেরকে বাচ্চাকে চোখে চোখে রাখতে হতো না হলে ইলেকট্রনিক জিনিস তার নাগালের বাহিরে রাখতে হতো। যাই হোক সাথে সাথে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং কিছুক্ষণ পর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা থেকে আমি একটা শিক্ষাই নিয়েছি। আমি শীতকাল শুরু হওয়ান পর থেকে গ্যাসের চুলায় বড় পাতিলে পানি গরম দিয়ে রাখতাম। এবার থেকে মোটেই সেটা করব না। শুধু আমি কেন যাদের বাসায় ছোট বাচ্চা আছে তারা অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
বিষয়টি দেখার পর কিছুতেই নিজেকে স্থির করতে পারছিলাম না। তাই বেশ কয়েকবার ছুটে ছুটে যাচ্ছিলাম তাকে দেখার জন্য। বাচ্চাটা এখনো খুব কান্নাকাটি করছে। যাইহোক সবাই দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যাদের ছোট বাচ্চা আছে তারা সবসময় বাচ্চাদেরকে ভালোভাবে খেয়াল করা দরকার। তবে এখন শীতকাল এই কারণে অনেকে গরম পানি দিয়ে গোসল করে। আর আপনি যে বাচ্চার কথা বলেছেন বাচ্চাটি হয়তো বা গরম পানির হিটার খেয়াল করা নাই বা বুঝে নাই। এই কারণে তার পায়ের উপর গরম পানি পড়লো। আসলে বিপদ আসতে বলে আসেনা। আর আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। আসলে আল্লাহ যেন সবাইকে ভালো রাখে। আর বাচ্চাটির জন্য দোয়া রইল আপু।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিপদ বলে আসে না। তবে আমি মনে করি বাসার লোকদের আরো সাবধান হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ভীষণ মর্মান্তিক ঘটনা।আসলে বাচ্চারা তো দুষ্ট হবেই। চোখের পলকে পরা দুষ্টমি করে বসে তাই অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।ভাগ্যিস বড়ো ধরনের দূর্ঘটনা হয়নি তবে যা হয়েছে ছোট বাচ্চার জন্য এটাই অনেক বড়ো কারণ বাচ্চাদের সহ্য ক্ষমতা একদমই কম।তার উপরে এতো ঠান্ডা। ধন্যবাদ পোষ্ট টি করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো অল্পের উপর বেঁচে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। ছোট বাচ্চারা এমনিতে অনেক দুষ্টামি করে। তাদেরকে সব সময় খেয়াল রাখতে হয়। তবে মা-বাবারা একটু সতর্ক থাকা দরকার। কারণ ছোট বাচ্চাটি গরম পানি তার পায়ের উপর ফেলেছে। কারণ ছোট বাচ্চারা বোঝেনা কোনটা কি। এরকম একটা ঘটনা আমার শ্বশুরবাড়িতেও ঘটেছিল। গরম পানি পড়ে দুটো পা একদম পড়ে গেছে। তবে আপনি যে বাচ্চার কথা বলেছেন তার ভাগ্য ভালো কায়ে শীতের কাপড় ছিল বিধায়। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু ভাগ্য ভালো শীতের কাপড় পড়া ছিল তাই বেশি ক্ষতি হয়নি তাছাড়া বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো। আমাদের বাচ্চাদের প্রতি একটু বেশিই খেয়াল রাখা দরকার।
অনেক সময় বাড়ির বড়দের ভুলের কারণে বাচ্চাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। আসলে বাচ্চারা তো কিছু বুঝে না। তাই সবসময় সতর্ক থাকতে হবে যে,বাচ্চাদের ক্ষতি হয় এমন কোনো জিনিস বাচ্চাদের নাগালে যেন না থাকে। যাইহোক সেই বাচ্চাটির খুব বেশি ক্ষতি হয়নি, এটা জেনে ভালো লাগলো। সবসময় সতর্ক থাকবেন আপু। এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেসব জিনিস দ্বারা বাচ্চাদের ক্ষতি হওয়া সম্ভব সেইসব জিনিস গুলো বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত। সেদিন যদি ইলেকট্রিক জগটা একটু উপরে থাকতে হয় তাহলে বাচ্চাটা ধরতে পারতো না আর এমন দুর্ঘটনাও ঘটতো না। ধন্যবাদ ভাইয়া।