শীতকালের কয়েকটি পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। এবার শীতকালে এই প্রথমবার বাবার বাড়িতে আসলাম।এমনিতেও প্রত্যেক মাসে শেষের দিকে বাবার বাড়িতে আসি। এবার একটু বাড়তি সময় নিয়ে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম বেশ কিছুদিন থাকার জন্য। সেটা আবার এমনি এমনি না আমাদের গ্রাম অঞ্চলে শীতের সিজনে প্রত্যেক বাড়ি থেকেই বিবাহিত মেয়েদের শশুর বাড়িতে দাওয়াত করা শীতের পিঠাপুলি খাওয়ার জন্য। আমার শ্বশুর বাড়িতেও দাওয়াত করা হয়েছিল। যাইহোক অনেক কিছু খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল সেই দাওয়াত উপলক্ষে। তার মধ্যে কিছু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি আসলে এতটা ব্যস্ত ছিলাম যে ঠিক করে সব খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো করা হয়নি। তাই যতটুকু পেরেছি বা যখনই মনে হয়েছে ফটোগ্রাফির কথা তখনই দু একটা ফটোগ্রাফি করেছি। আর সেই খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আজকে আমি শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি-১
শীতকাল মানে হরেক রকমের পিঠাপুলির উৎসব। আর শীতকালে দুধে ভেজানো পিঠা থাকবে না এটা তো হতে পারে না। গ্রামে অনেকেই বেশিরভাগ দুধ চিতই তৈরি করে থাকে। তবে এবার আমার মা ফোন দেখে নতুন রেসিপি শিখে তৈরি করেছিলেন দুধ পুলি। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি-২
এগুলো হচ্ছে চালের রুটি। আমাদের বাসার সবার খুব পছন্দের বিশেষ করে আমার বাবার। আলু ঘাটি বা মাংসের ঝোল দিয়ে এই চালের সাদা রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরা বেশ মজা করে খেয়েছি।
ফটোগ্রাফি-৩
এগুলো হচ্ছে মাছ দিয়ে তৈরি নতুন আলু ঘাটি।ওই যে বললাম আমাদের অঞ্চলে আলু ঘাটি দিয়ে চালের রুটি খেতে সবাই ভীষণ পছন্দ করে। আমার আম্মু এই ঘাটি তৈরি করেছিলেন। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো।
ধাপ-৪
আমি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব একটা পছন্দ করি না তাই এই ডাল পুলি গুলো আমার মা আমার জন্য বানিয়েছিলেন। ভেতরে ডালের পুর দেওয়া ছিল এবং ওপরে যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে মসলা দিয়ে পানি সেদ্ধ করে চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা ডো ছিল।সময় করে একদিন এই রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ধাপ-৫
এইগুলো ছিলো বড় কক মুরগির মাংস ভুনা।প্রায় সারে তিন কেজি ওজনের একটি মুরগি ছিলো। খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলো মাংসের স্বাদ।সাথে আরও দেশি মুরগি ছিলো, হাঁসের মাংস ছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি। আশা করছি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
শীতের সময়টাতে পিঠা পুলি খাওয়া ঘরে ঘরে দেখা যায়। আপনি আপনার বাবার বাড়িতে গেলেন। আর মজার মজার খাবারের সাথে পিঠার ও ব্যবস্থা ছিল।আসলে শীত বলে কথা।আপনি মিষ্টি পছন্দ করেন না।তাই আপনার জন্য ডালের পুর দিয়ে পুলি পিঠা বানিয়েছিলেন।খাবারগুলো দারুন মজার হয়েছিল আশাকরি।আপনারা সবাই খুব মজা করে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপু শীতকালের মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
প্রত্যেকটা খাবারই অনেক মজা ছিল। তাছাড়া মায়ের হাতে রান্না তো সব সময় মজায় হয়ে থাকে। সবাই খুব আনন্দ এবং মজা করে খেয়েছিলাম আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খাবার গুলো দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে আমার। পুলি পিঠা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই জন্য এই পিঠাটা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি পোস্টটি থেকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে আসলে লোভ সামলানো মুশকিল। লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে চালের রুটির দিয়ে মুরগির মাংস খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। বাকি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চালের রুটি দিয়ে মুরগির মাংস আমার খেতে খুব ভালো লাগে আপু। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে শীতকালে এ ধরনের খাবার গুলো খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে পুলি পিঠা শীতকালের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পিঠা এবং সুস্বাদু একটি খাবার। খুবই সুন্দর সুন্দর খাবারের লোভনীয় ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
যদিও আমরা সারা বছরই পিঠাপুলি খাই তবে শীতকালে পিঠাপুলি খাওয়ার পারফেক্ট সময়।যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকাল আসতে না আসতেই তো দেখছি বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন আপনি। আসলে শীতকাল বলতে বিভিন্ন প্রকার পিঠাপুলি তৈরি করার মুহূর্তকে বোঝায়। এই মুহূর্তে আর যাই হোক মানুষ কিন্তু বেশি পিঠা তৈরি করে খেতে পছন্দ করে। পাশাপাশি ঘুরতে যায়। যাহোক চালের রুটিটা কিন্তু আমার খুবই প্রিয় বিশেষ করে দেশি মুরগির মাংসের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে আমার।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো দেখি তো অনেক সুন্দর লাগছে খেতে ইচ্ছা করছে। শীতের এই পিঠাগুলো নিষে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া প্রত্যেকটা পিঠাই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। তাছাড়া প্রত্যেকটা খাবারও খুব ভালো ছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ! দেখে তো মনে হচ্ছে বেশ উপভোগ করলেন আপু আপনি। যেহেতু শীতকাল মানে হচ্ছে খাওয়া দাওয়ার উৎসব আমি মনে করি। কারণ শীতকালে খেয়ে যতটুকু আরাম পাওয়া যায়। গরমকালে তা কখনো সম্ভব না। তাছাড়া শীতকালে যে কোন খাবার খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন। খুব মজার মজার খাবার ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
জ্বী আপু খুব আরামের ভোজন হয়েছে গরমকালে তো গরমের জন্য শান্তিতে খাওয়া যায়না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার শেয়ার করা এই পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমারও অনেক ভালো লেগেছে। এখানে অনেকগুলো খাবার আমারও অনেক ভালো লাগে৷ এই খাবারগুলো শীতকালে খাওয়ার মজাই আলাদা৷ প্রথমেই আপনি যে পিঠাপুলির ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন, এটি আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ কারণ অনেকদিন হয়ে গেল পিঠাপুলি খাওয়া হয় না।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। শুনে ভালো লাগলো যে সবগুলোই আপনার পছন্দের খাবার।