গিয়েছিলাম প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে || বাইগুনি গ্রামের সরিষা ক্ষেতের সৌন্দর্য
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে গিয়েছিলাম সরিষা ফুলের সমারোহ দেখতে। সেখানকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আজ গিয়েছিলাম নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রকৃতির মাঝে। আমাদের শহর থেকে অনেকটা দূরে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে পুরো মাঠ জুড়ে শুধু সরিষা ক্ষেত।কিছুদিন ধরে বেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে গেছে সেই সৌন্দর্যের খবর।গ্রামের নামটাও বেস্ট ইন্টারেস্টিং " বাইগুন গ্রাম।" বছরের প্রথম দিনই সেখানে আমাদের যাওয়ার প্লান ছিল কিন্তু আপনাদের ভাইয়ার কাজ থাকায় আর যাওয়া হয়নি।ভেবেছিলাম গতকাল যাব কিন্তু সারাদিন একটুও রোদ উঠেনি।তাই আর ছোট বাবুকে নিয়ে কুয়াশার মধ্যে একদমই যেতে চাইনি।
আজ সকাল থেকে মোটামুটি বেশ ভালোই রোদ উঠেছিলো। সকাল থেকে সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে বেরিয়ে পড়বো কারণ শহর থেকে অনেকটা দূরে আর যেহেতু আমরা রাস্তা চিনি না তাই অনেকটা সময় লাগবে। এরপর আমরা দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে রেডি হয়ে একটা সিএনজি রিজার্ভ নেই। এরপর বেরিয়ে পড়ি সেই সৌন্দর্য দেখার উদ্দেশ্যে। রাস্তায় অনেক বেগ পেতে হয়েছিল আমাদের কারণ যেখানে এই সৌন্দর্যের সমারোহ সেখানকার লোজ জানেই না যে তাদের এই জমির সৌন্দর্যের কথা ইতিমধ্যে সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছে।যখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল এই জমিগুলো কোথায় তখন তারা বলছিলেন "আমাদের এখানে সব জমি গুলোতেই তো সরিষা চাষ করা হয়েছে। এখন আপনার কোথাকার কথা বলছেন সেটা তো বুঝতে পারছি না।"
অনেক খুঁজতে খুঁজতে কয়েকজন ছেলেকে দেখতে পেলাম বাইক নিয়ে সেখানে যাচ্ছে তো তাদের জিজ্ঞেস করার পর তারা আমাদেরকে সঠিক লোকেশন এর কথা জানিয়ে দিলেন। আমরা সোজাসুজি সেখানে চলে গিয়েছিলাম এবং সত্যি কথা বলতে আমরা খুবই মুগ্ধ হয়ে ছিলাম সরিষা ফুলের ক্ষেতগুলো দেখে। যতদূর চোখ যাবে শুধু সরিষা ফুল। এরপর আমরা গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম সৌন্দর্য দেখতে এবং ফটোগ্রাফি করতে। আমার ছেলে তো মহা খুশি চারপাশে এত ফুল দেখে। আফসোস একটা ভালো ছবিও তার আমি তুলতে পারিনি। কারণ তার সামনে ক্যামেরা ধরলেই তো সে যুদ্ধ শুরু করে দেয়।
এরপর আমার নিজেদের মতো করে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল তাই আমরা তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম। সব মিলিয়ে ঘোরাঘুরিটা বেশ উপভোগ করেছি। আমি বিশ্বাস করি যদি আপনার মন খারাপ হয় এমন প্রকৃতির মাঝে যাবেন সীমিত সময়ের মধ্যেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। আমার তো সেখান থেকে কিছুতেই আসতে ইচ্ছে করছিল না মনে হচ্ছিল এই হলুদ ফুলগুলোর মাঝে ছোট্ট একটা ঘর বানিয়ে সেখানে থেকে যাই।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের ঘোরাঘুরির মুহূর্ত। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করব আরো কিছু ফটোগ্রাফি পরবর্তী কোনো পোস্টে শেয়ার করার। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো ব্লগে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অপূর্ব সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্য। আসলে সরিষা ফুলের মাঝে প্রকৃতির মাঝে সৌন্দর্যে
মিশে যেতে ভালো লাগে।আপনার দু'জন ও বাবু দেখছি হলুদ কালারের পোশাক পড়েছেন। খুব সুন্দর লাগছে আপনাদের কে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদেরকে সুন্দর ফটোগ্রাফি ও অনুভুতি প্রকাশ করে পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু সরিষা ফুল দেখতে যাব তাই ভেবেছিলাম তিনজনে একটু ম্যাচিং ড্রেস পরি এই আর কি আপু।আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
গ্রামের নামটা বেশ দারুণ, পাশাপাশি সেখান থেকে অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন সরিষা ক্ষেতের। এই সরিষা ক্ষেত যেন যুগ যুগ ধরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। আর শীতকাল আসলেই আমাদের মত ফটোগ্রাফি প্রেমিক মানুষেরা চলে যায় এই সরিষা ক্ষেতের দিকে। প্রাকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পাশাপাশি ক্যামেরাবন্দি করতে সুন্দর এই দৃশ্য। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের আনন্দ ঘন মুহূর্তটা দেখতে পেরে।
গ্রামের নামটা যেমন সুন্দর পাশাপাশি সেখানকার প্রকৃতিটা অপরূপ।যতদূর চোখ যাবে শুধু সরিষা ক্ষেত।আশেপাশে শুধু হলুদ আর হলুদ। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি সেখানে।