ডিভোর্সি নিরুর জীবন কাহিনী || শেষ পর্ব
"হ্যালো",
ডিভোর্সের পর নিরুর জীবন আরও কঠিন হয়ে পরে।উঠতে বসতে আত্মীয়দের কাছে কথা শুনতে হয়।অনেক সময় সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছে তবে পারেনি।সে নতুন করে বাঁচতে চায়। তাই অনেক কষ্ট করে একটা এনজিওর চাকরি জোগার করে।
নিরু মন দিয়ে তার চাকরিটা করছিল এবং বাবা মায়ের দায়িত্ব নিয়েছিল। কিন্তু এনজিওর লোকেরা তাকে বাজে চোখে দেখতো। বাড়িতে যেমন ছেলে বুড়ো তাকে খারাপ নজরে দেখত তেমনি অফিসের লোকেরাও তাকে খারাপ নজরে দেখতো। তবে পৃথিবীতে যেমন খারাপ মানুষ আছে তেমন কিছু ভালো মানুষও আছে। একই অফিসে সজীব নামের এক ছেলে চাকরি করতো। যখন নিরুকে কেউ কোন কটু কথা শোনাতো তখন তার খুব খারাপ লাগতো।
নিরু বুঝতে পারতো সজীব তাকে পছন্দ করে। তবে সে খুব ভয় পেত। মনে মনে ভাবতে সজিবও যদি প্রথম স্বামীর মতোই হয়। তাই সে বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকতো। তবে একটা সময় গিয়ে নিরু ভালোভাবে বুঝতে পারে যে সজীব তাকে সবার কাছ থেকে আগলে রাখে হয়তো সে সত্যি সত্যিই তাকে ভালো রাখবে। সজীব একদিন নিরুকে বলে তার কোন আপত্তি না থাকলে সে ওকে বিয়ে করতে চায়। নিরু মনে মনে ভাবে যদি সে সজীবকে বিয়ে করে যদি সজীব তাকে সত্যিই ভালোবাসে অন্তত সে সমাজের নোংরা লোকের নোংরা নজর থেকে বাঁচতে পারবে।
যাইহোক এরপর নিরুর পরিবার এবং সজীবের পরিবার সবাই মিলে নীরব এবং সজীবের বিয়ে দেয়।এরপর থেকে নিরুর জীবন যেন সুখে ভরে গিয়েছিল। কখনো শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছ থেকেও তাকে শুনে শুনতে হয়নি যে সে ডিভোর্সি। বরং শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে সুখে রাখার চেষ্টা করত। সজীবও নিরুকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করত। আর এভাবেই নিরু তার জীবনের সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়েছিল সজীব এবং সজীবের পরিবারকে কাছে পেয়ে।
আপনার আমার যখন বিপদ হবে তখন দেখবেন সমাজের লোকজন কথা শোনাতে ছাড়বে না আবার আপনার আমার যখন উন্নতি হবে ঠিক এই লোকেরাই আমাদের জয় গান গাইবে। যাক অবশেষে নিরুতা আর অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছে এটাই অনেক। আমাদের উচিত সমাজের এই মানুষরূপী অমানুষদের কথায় কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া।
যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ডিভোর্সি নিরুর জীবন কাহিনী গল্পের আগের পর্বটা আমার পড়া হয়েছিল। আজকে শেষ পর্ব পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নিরুর জীবনে অনেক ভালো একটা ছেলে এসেছিল পরবর্তীতে। সজীব তাকে খুবই ভালোবাসতো তা দেখেই বুঝতে পেরেছি। আর দুজনের ফ্যামিলি ভালোভাবে দেখে শুনে তাদেরকে বিয়ে দিয়েছিল, এবং নিরু পরবর্তীতে এখন সুখে রয়েছে এটা শুনে ভালো লেগেছে। আসলে একটা মানুষের দুঃখের জীবন সব সময় থাকে না। একসময় না একসময় তার সুখের দিন অবশ্যই আসে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে এই পর্বটা।
ঠিক বলেছেন আপু মানুষের জীবনে দুঃখ চিরস্থায়ী নয়। তাইতো অনেক কষ্টের পর নীরু আবারও নতুন করে সংসার করছে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিরুর ডিভোর্স হলে কি হয়েছে, সে আবার নতুন করে বাঁচতে চেয়েছে। এবং কি নিজের বাবা-মায়ের পুরো দায়িত্ব নিয়ে চাকরি করতে গিয়েছিল। সবাই তাকে ভালো-মন্দ অনেক কিছু বললেও, সজিব এগুলো শুনলে তার কাছে একটু খারাপ লাগতো। কারণ সজীব মনে মনে নিরুকে খুবই ভালোবেসে ফেলেছিল। যদিও নিরু প্রথমে ভয় পেয়েছিল, যদি সজীব তার প্রথম হাজবেন্ডের মত হয়। তাহলে তো তার জীবনটাই একেবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে। পরবর্তীতে সজীবের আচার ব্যবহার এবং সবকিছু দেখেই সে বুঝতে পেরেছিল। আর তাদের দুজনের বিয়ের পর সে এখন অনেক সুখী, এটা দেখে তো আরো ভালো লাগলো।
জ্বি ভাইয়া এত কিছুর পর নিরু যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছে এবং আবারও নতুন করে জীবনসঙ্গী পেয়েছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আসলেই সমাজের মানুষের কথায় কান দেওয়া হচ্ছে বোকামি। সমাজের মানুষ কারো ভালো চায় না। তারা মানুষের সমালোচনা করতেই পছন্দ করে এবং সমালোচনা না করলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। যাইহোক নিরুর জীবনে অবশেষে সুখ এসেছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া করি নিরুর বাকি জীবনটা এভাবেই সুখে শান্তিতে ভরে উঠুক। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ঠিক বলেছেন সমাজের এই ধরনের লোকদের কথা কানে একদম নেয়া উচিত নয়। কারণ এরা কখনো মানুষের ভালো চায়না।