মায়ের সাথে সরিষা শাক তুলতে যাওয়ার মহূর্ত এবং কিছু ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি শেয়ার করব আমার মায়ের সাথে সরিষা ক্ষেতে গিয়েছিলাম সরিষা শাক তুলতে সেখানকার কিছু মুহূর্ত। আমাদের এখানে লাল মাটির জমি। আমার এলাকার প্রধান ফসল হচ্ছে ধান, আলু, সরিষা, গম, ভুট্টা। আমাদের এই জমি গুলোতে শাকসবজি খুব কমই হয়। আমাদের এখানে এখন প্রত্যেকটা মাঠে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ করা হয়েছে এবং সেই সাথে সরিষা। তো আমার বাবা বাসায় সারাবছর সরিষার তেল খাওয়ার জন্য সরিষা চাষ করেছেন।
তো আমি গ্রামে এসেছি কয়েকদিন হল বাবা বারবার বলছিলেন জমি থেকে সরিষা শাক তুলে আনতে। আমি খেতে পছন্দ করি তাই।তো মা বিকেল বেলা যাচ্ছিলেন সরিষা শাক তুলতে। মাকে যেতে দেখে আমারও খুব ইচ্ছে হলো জমিতে যেতে কারণ অনেক বছর হলো জমিতে যাইনা।এখন ফাঁকা জমির মধ্যে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। তো সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম জমিতে যাওয়ার জন্য। আমার ছেলে তো কিছুতেই কোলে উঠবে না সে হেঁটে হেঁটেই যাবে। যাইহোক সরিষা খেতে গিয়ে দেখলাম বেশ ভালোই শাক হয়েছে।
আমি এবং আমার মা অনেকক্ষণ বেছে বেছে শাক তুললাম। এক পাশে থেকে তোলা যাবে না ভিতরে থেকে তুলতে হবে বেছে বেছে। এদিকে আমার ছোট বোন আমার ফোন নিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে।বাবু তো জমির মধ্যে এসে নিজেকে রাজা মনে করছে। কাউকে হাত পর্যন্ত ধরতে দিচ্ছে না সে একা একা আপন মনে জমির আইলে বসে খেলা করছে।
এরপর আমাদের শাক তোলা শেষ হয়ে গেলে চলে আসব কিন্তু বাবু কিছুতেই সেখান থেকে আসবে না। তাই বাধ্য হয়ে আরো কিছুক্ষণ সেখানে বসে থাকলাম। আর ও খেলা করলো। এরপর অনেক বুঝিয়ে সেখান থেকে এনেছিলাম। জমির টাটকা শাক আম্মু গতরাতে রান্না করেছিলেন খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তো যাইহোক এই ছিল আমার মায়ের সাথে সরিষার খেতে গিয়ে সরিষা শাক তোলার মহূর্ত।
ইস্,আমিও যদি শাক তুলতে পারতাম।আমার ও ইচ্ছে হলো আপনাদের সাথে শাক তুলতে।নিজের জমির শাক নিজের হাতে তুলে রান্না করলে তো সেই মজা।আপনি কাল রাতে খুবই মজা করে খেয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু নিজের হাতে জমি থেকে শাক তুলে রান্না করে খেতে খুবই মজা লাগে। বেশ মজা করে খেয়েছিলাম।
সত্যি আপু গ্রামে এই সময় সরিষা ক্ষেতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো শাক তুলেছেন। আসলে এমন তাজা শাক খেতে অনেক মজা। আর বাচ্চারা এমন খোলা মাঠ পেলে ওদের আর কিছু লাগে না। আপনারা সবাই বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের এই প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো চোখে লাগার মত। আর আমার ছেলের কথা কি বলব সে তো গ্রামে গেলে ভীষণ খুশি হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলায় আন্টিদের পিস লেগে ঠিক এভাবেই ছুটে চলতাম ফসলের মাঠের দিকে। যেখানে শীতকালীন বিভিন্ন ফসলের মাঝ থেকে বাইতুর শাকসহ অন্যান্য জিনিস তোলার উদ্দেশ্যে সবাই যেত। আমরা পেছ লেগে যেতাম, ঠিক তেমনি যেন একটা অনুভূতি খুঁজে পেলাম আপনার সুন্দর এই পোষ্টের মাঝে। খুবই ভালো লাগলো আপু একদম গ্রাম বাংলার সেই মন ছুয়ে যাওয়া অনুভূতি আপনার পোষ্টের মাঝে পেয়েছি।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমার ছেলের এই দুষ্টুমি গুলো দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। আমিও ছোটবেলায় একই কাজগুলো করতাম। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।
বাহ আপু মায়ের সঙ্গে গ্রামের ক্ষেত থেকে সরিষা শাক তুলে রান্না করে খেয়েছেন সত্যি বেশ মজার। যদিও আমার কখনো সরিষার শাক খাওয়া হয়নি। তবে নিজেদের খেতের টাটকা সরিষা শাক খেতে নিশ্চয়ই বেশ ভালো লেগেছিল। দারুন লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু নিজের জমির টাটকা সরিষা শাক খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। আর মায়ের সাথে এমন সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর তো কোনো তুলনাই হয়না।ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব খুব সুন্দর মূহুর্তের অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপনি।আসলে নিজ হাতে শাক তুলে এনে খেলে মনে হয় যেন স্বাদ দ্বিগুণ বেরে যায়।মাকে নিয়ে তো দেখছি অনেক গুলো শাক তুলে ফেলেছেন। আপনার ছেলে গ্রামের ফাকা মাঠ পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেছে তাই আর কোলে উঠতেই চায় না।ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মূহুর্তের অনুভূতি ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাবি আমার ছেলে গ্রামে এসে ফাঁকা মাঠে খুবই খুশি হয়। আসলে শহরে বাসার মধ্যে সবসময় বন্ধ থাকে তাই গ্রামে আসলে মুক্ত বাতাসে আমি ওকে কোন বাঁধা দেই না ঘুরতে। ধন্যবাদ।
আপু জমিতে গিয়ে আপনার শাক তুলা দেখে তো নিজেকে সামলাতে পারছি। বসে বসে ভাবছি কবে বাড়ি যাবো আর আমিও এভাবে টাটকা শাক তুলে আনবো। আপনার ছেলের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে খুব আনন্দে আছে। বাচ্চারা এমন সুন্দর খোলামেলা পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত ও এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
তাড়াতাড়ি গ্রামে চলে যান আপু সত্যিই এই দৃশ্যগুলো অনেক ভালো লাগার।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাহ্! নিজেদের ক্ষেত থেকে এমন টাটকা শাক তুলে খাওয়ার মজাই আলাদা। শায়ান বাবু তো বেশ উপভোগ করেছে পুরোটা সময়। বিকেল বেলা এমন ফাঁকা ক্ষেতে হাঁটাহাঁটি করতে খুবই ভালো লাগে। আর এখন তো শীতকাল, তাই এখন আরো বেশি ভালো লাগাটা একেবারে স্বাভাবিক। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।