আমার পছন্দের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমি আমার পছন্দের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।আপনারা ইতিমধ্যে সবাই জেনে থাকবেন আমার দেবরের বউয়ের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। তো কিছুদিন আগে হঠাৎ করে তার বাবার বাড়ি থেকে আমাদের পরিবারে দাওয়াত করা হয়েছিল। আমরা স্বপরিবারে তার বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। যেহেতু আমরা প্রথমবার তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম তাই খাবার-দাবারের এলাহী আয়োজন করা হয়েছিল আমাদের জন্য। সত্যি কথা বলতে এত এত খাবারের আয়োজন করেছিল যে আমরা সবগুলো খেতেই পারিনি। আমি সেখান থেকে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম যেগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভাল লাগবে।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমেই যে খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি তা হচ্ছে আলু ভাজি। অনেক ধরনের ভাজাভুজির আইটেম করা হয়েছিল। তার মধ্যে আলু ভাজিটা আমার ছেলের খুবই পছন্দের। তাই সে এক বাটি আলু ভাজি নিয়ে বসেছিল এবং সে অনেকগুলো আলু ভাজি খেয়েছিল।
ফটোগ্রাফি -২
এগুলো হচ্ছে বেগুন ভাজা। তবে এই বেগুন ভাজাটা আমি প্রথমবার খেয়েছি। আমরা সচারাচর তরকারিতে যে লম্বা বেগুনগুলো খেয়ে থাকি সেই বেগুনগুলো ভাজা হয়েছিল। সাথে পেঁয়াজ বেরেস্তা দেওয়াতে খেতে বেশ মজা লাগছিল। আমি তো অনেকগুলো খেয়ে ফেলেছিলাম।
ফটোগ্রাফি -৩
এবার যে খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি এগুলো হচ্ছে পটল ভাজি। এই খাবারটা আমার কাছে নতুন ছিল। কেননা এভাবে কখনোই আমি পটল ভাজি খাইনি বা নিজেও কখনো বানায়নি। আমরা সব সময় পটলের উপরের খোসাটা হালকা করে ছাড়িয়ে নিয়ে ভেজে থাকি। কিন্তু এই রান্নার জন্য পটলের খোসা একেবারে ছাড়িয়ে বেশ কিছু পেঁয়াজ দিয়ে ভাজা হয়েছিল। খেতে বেশ মজার ছিল।
ফটোগ্রাফি -৪
এবার যে ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এটা তো সবাই চিনে থাকবেন। এগুলো হচ্ছে ডিম। ডিমগুলো সেদ্ধ করে হালকা লবণ এবং হলুদ গুঁড়া দিয়ে তেলের মধ্যে ভেজে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রচুর গরম ছিল তাই ডিমটা আমি এভোয়েড করেছিলাম। তবে বাকিরা যারা গিয়েছিল তারা সবাই খেয়েছে।
ফটোগ্রাফি -৫
এই খাবারটা ছিল হচ্ছে মিক্স সবজি। সবগুলো খাবারের মধ্যে এই সবজিটা এত মজা হয়েছিল যে আমি সবজি দিয়ে অনেকগুলো ভাত খেয়ে ফেলেছিলাম। মিষ্টি কুমড়া পটল আলু পেঁপে দিয়ে এই সবজিটি বানানো হয়েছিল। খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল।
ফটোগ্রাফি -৬
এইটা মাছ ভুনা।মাছটা অনেক বড় সাইজের ছিল। খেতে খুবই ভালো ছিল। মাছ রান্নাটা সবার খুবই পছন্দ হয়েছিল। যেহেতু উনারা গ্রামের মানুষ তাই সবগুলো খাবার একটু ঝাল ঝাল করে রান্না করেছিল। খেতে বেশ মজার ছিল।
ফটোগ্রাফি -৭
এবার যে খাবারের ফটোগ্রাফিটি শেয়ার করছি এগুলো হচ্ছে দেশি মুরগির মাংসের ভুনা। এগুলো তাদের বাড়ির মুরগি ছিল। অনেকদিন পর সেদিন দেশি মুরগির মাংস খেয়েছিলাম। কারণ আমাদের শহরে দেশি মুরগি খুব একটা পাওয়া যায় না। দেশি মুরগির নামে সব সময় সোনালি মুরগি বিক্রি করে থাকে দোকানদাররা। যাইহোক দেশি মুরগির মাংস রান্নাটাও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি -৮
এতগুলো খাবারের আইটেম থাকবে আর ঘাটি বা ডাল থাকবে না তাতে হতে পারে না। এটা ছিল বুটের ডাল বড় মাছের মাথা দিয়ে। বুটের ডাল খেতেও বেশ মজার হয়েছিল।
তো যাই হোক বন্ধুরা এই ছিল আমার বেশ কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি। আরো খাবারের আয়োজন ছিলো সেমাই, পায়েস, বিভিন্ন ধরনের ফলমূল, মিষ্টি, দই, সালাদ এবং কোক। রান্না গুলো আমার দেবরের চাচী শাশুড়ি করেছিলেন উনার রান্নার হাত খুবই ভালো এবং প্রত্যেকটা খাবার খুবই মজার ছিল। তো যাইহোক বন্ধুরা সেদিনের ভুরিভোজটা বেশ ভালই হয়েছিল। আজ আমি আপনাদের কাছ থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
প্রথমবার তাদের বাড়িতে গিয়েছেন তাই অনেক আয়োজন করেছে খাবারের। প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে লোভনীয় লাগছে। মিক্স সবজির আইটেমটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের খাবার আমারও খুব পছন্দ। পটল ভাজির এমন রেসিপি আমিও কখনো খাইনি। খাবার গুলো অনেক সুস্বাদু ছিল নিশ্চয়ই।
মিক্স সবজি টা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আপু। আমি শুধু সবজি দিয়ে অনেকটা ভাত খেয়ে ফেলেছিলাম। তাছাড়া অন্যান্য খাবারও খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দেবরের বউ সঙ্গে এমন ভালো সম্পর্ক কিছু পরিবার খুব কম দেখা যায়। আসলে এমন বড় ভাবি পেতেও ভাগ্য ভালো মানুষ বলেই আপনার সাথে তারাও খুব ভালো। দোয়া করি সব সময় এমন ভাবেই থাকেন।ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি যে কতটা খাবারের মজার মজার আইটেম ছিলও। খেতেও মনে হয় বেশ সুস্বাদু হয়েছিলও সব খাবার।
দোয়া রাখবেন আপু সারাটা জীবন যেন এভাবেই মিলেমিশে থাকতে পারি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেশ কয়েকটি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর করে প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী সংগ্রহ করেছেন। আসলে এতো সুন্দর সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফী দেখলে আমার জিহ্বায় জল চলে আসে।
খাবার গুলো সত্যিই অনেক লোভনীয় এবং বেশ সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি সবগুলোই লোভনীয় ছিল।আর বেগুন যেভাবে ভাজা দেখলাম এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আমাদের বাসায় অন্যভাবে রান্না করে।আর পটল রান্নার চাইতে ভাজি আমার একটু বেশি ভালো লাগে।যাইহোক ভাই ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমিও কখনো এভাবে বেগুন, পটল ভাজা খায়নি। এই প্রথমবার খেয়েছিলাম তবে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
জ্বি আপু ঠিক বলেছেন,যেখানে দুই প্রকারের বাজি রয়েছে ডিম রয়েছে সবজি রয়েছে, মাছ মাংস রয়েছে। সেখানে ডাউল না থাকলে বিষয়টা কেমন দেখা যায়। ডাউল আমার পছন্দের একটি খাবার। আমরা সাধারণত সকালবেলা ডাউন ভুনা দিয়ে রুটি ও রাতের বেলা পাতলা ডাইল খেয়ে থাকি। তবে এখন যেহেতু প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তাই রাতের বেলা বেশি অংশ সবজি আর ভাজি দিয়ে খাওয়া হয়। আপনার শেয়ার করা সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এত খাবারের মাঝে ডাউল না থাকলে কি চলে।সব মিলিয়ে পারফেক্ট ছিল সব খাবার। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেশ কয়েকটি মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আলু ভাজি আমার ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। তাছাড়া মাছ ভুনা এবং দেশি মুরগির ভুনা অনেক বেশি লোভনীয় ছিলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার কিছু রেসিপির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আলু ভাজি আমার ছেলেরও খুবই পছন্দের খাবার ভাইয়া। তাছাড়া সবগুলো খাবারই অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার দেবরের শ্বশুরবাড়িতে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখতে পাচ্ছি ।আসলে গ্রামের লোকজন বেশ আয়োজন করে রান্নাবান্না করে ।খাবারগুলো খেতে বেশ মজাই লাগে সাধারণ খাবারে যেন অসাধারণ টেস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। আর দেশি মুরগি তো এখন পাওয়াই যায় না ।আপনি ঠিকই বলেছেন শহরে দেশি মুরগির নামে সোনালি মুরগি বিক্রি করে ।বেশ ভালো লাগলো আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের লোকজনের রান্নার কোনো তুলনা হয়না।তারা সাধারন খাবারকেও অসাধারণ বানিয়ে ফেলে। আমার তো সবগুলো খাবারই খুবই মজা লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার দেবরের বউয়ের সাথে আপনার সুসম্পর্কের কথা আপনার অনেক পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। আর এমন সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারাটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। যাইহোক আপু, দাওয়াত খেতে গিয়ে আপনি খুব সুস্বাদু ও মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি খাবার খুবই লোভনীয় ছিল, তাইতো দেখে লোভ লেগে গেল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মজার ও সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমি ব্যক্তিগতভাবে সবার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করি। এই দুই দিনের দুনিয়া সবার সঙ্গে মনমালিন্য করে কি লাভ হয় ভাইয়া। যাইহোক ধন্যবাদ খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।