যৌতুককে না বলি || দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমি গত দুইদিন আগে যৌতুক নিয়ে একটি সুন্দর গল্প শেয়ার করেছিলাম। আজ সেই গল্পের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করছি ভালো লাগবে।
নদীর বিয়ের দুই বছর পার হয়ে গিয়েছে এর মধ্যে নদী এসএসসি পাস করেছে। নদীর অনেক ইচ্ছে সে আরো পড়াশোনা করবে। তখনই নদীর শ্বশুরবাড়ি থেকে সবাই বাধা দেয় যে আর পড়াশোনা করা যাবে না। এবার সংসারে তাদের নাতি-নাতনি চাই।নদী কিছুতেই রাজি হয় না পড়াশোনা বন্ধ করতে। আর তখন থেকে শুরু হয়ে যায় নদীর উপরে মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার।মাঝেমধ্যে মায়ের কাছ থেকে টাকা আনার জন্যও তাকে চাপ দেওয়া হতো।
নদী মাঝেমধ্যে তার মায়ের কাছে থেকে টাকা এনে দিত যাতে সংসারে কোন অশান্তি না হয়। আবার তাকে যে অত্যাচার করা হয় সেগুলো যেন কাউকে না বলে সেই ভয়ও দেখিয়ে রাখে তার শশুর বাড়ির লোকজন। তবে একটা সময় গিয়ে নদী বুঝতে পারে দিন দিন তার ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। এবার তাকে সবকিছু থেকে মুক্তি পেতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। একদিন নদীর মা নদীর সঙ্গে দেখা করতে আসে।বাড়ির সবাই নদীকে চোখে চোখে রাখে যাতে নদীর মাকে নদী কোন কথা না বলতে পারে। সবার চোখ এড়িয়ে নদী তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে। তার মা কাউকে কিছু বুঝতে দেয় না চুপচাপ বাড়ি থেকে চলে যায়।
এবং কিছুদিন পর এলাকার চেয়ারম্যানকে নিয়ে নদীর মা নদীর শশুর বাড়িতে আসে। তখনই নদীর পরিবারের সবাই বুঝতে পারে এবং গ্রামবাসীকে নিয়ে একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয়।সেই মিটিংয়ে নদী সবকিছু খুলে বলে এবং পুলিশ নদীর শশুর বাড়ির সবাইকে গ্রেফতার করে। এদিকে নদী তার মায়ের সঙ্গে নিজের বাড়িতে চলে যায়। গিয়ে আবারো পড়াশোনা শুরু করে। এখন সে ভালো একটা এনজিও তে চাকরি করে। তার মাকে আর মানুষের বাসায় কাজ করতে হয় না। মা-মেয়ে মিলে বেশ সুখের জীবন যাপন করছে।
অনেক মেয়েই আছে যৌতুকের বলি হয়ে তারা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার মতো ঘৃনিত পথ বেছে নেয়।কিন্তু নদী সেটা মোটেই করেনি সে প্রতিবাদ করেছে।এবং সবাই যাতে শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থাও করেছে। প্রত্যেকেরই উচিত নদীর মতো সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া। বন্ধুরা আসুন সবাই মিলে যৌতুককে না বলি।
আজ এখানেই শেষ করছি ।দেখা হবে পরবর্তীতে ।সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি যা সব সময় না বলাই উচিত আমাদের। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি । এই পর্বটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে। নদী খুব একটা ভালো কাজ করেছে সে যৌতুকের কাছে পরাজিত হয়নি ।সে তার পড়ালেখা চালিয়ে গিয়েছে। এবং মাকে জানিয়ে সবাইকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। এর থেকে ভালো কাজ আর হতে পারে না। এবং মা মেয়ে পরবর্তীতে ভালই আছে জেনে আরো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
নদীর মত আমাদের সবারই উচিত যৌতুকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িনো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি মনে করি একটা মেয়েকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে না দিয়ে, তার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য তাকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করা উচিত। লোকে যে যাই বলুক না কেন, তাদের কথা না শুনে নিজের মতো করে নিজের সন্তানকে ভালো পথে নিয়ে যাওয়া উচিত। যাই হোক নদীর শ্বশুর বাড়ির সবাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে এটা শুনে ভালোই লাগলো। আর সে বাবার বাড়িতে এসেছে এবং পড়াশোনা করে ভালো একটা চাকরি করতেছে, আর মায়ের সাথে সুখেই রয়েছে শুনে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আমরা মেয়ে একটু বড় হলেই তার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। সে আসলে কি চায় সেগুলো বোঝার চেষ্টা করে না। যাইহোক নদী অবশেষে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছে এটাই অনেক।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। আজকে এর শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে যৌতুক কখনোই কারো ক্ষেত্রে ভালো কাজ হতে পারে না৷ নদী তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে এবং সে যৌতুক মেনে নেয়নি শুনে খুব ভালো লাগলো৷ সে তার মাকে বলে সকলকে পুলিশে ধরে দিয়েছে এটি শুনে আরো ভালো লাগলো৷ একইসাথে সে এবং তার মা এখন অনেক সুখে আছে শুনে খুব খুশি হলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য৷
এটা জেনে ভালো লাগলো আপনি আমার গল্পের দুটো পর্বই বেশ ভালোভাবে পড়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।
আমি আপনি আমাদের সবারই উচিত যৌতুককে না বলা। যৌতুকের কারণে অনেক মেয়েদের জীবন যেমন নষ্ট হয়, তেমনি ফ্যামিলির উপরেও বড় ধরনের চাপ পড়ে। নদী শেষ পর্যন্ত নিজের শশুর বাড়ির সবাই কে পুলিশের কাছে দিয়ে ভালোই করেছে। মেয়েটা যৌতুক দিতে পারছিল না বলে আবার তাকে অত্যাচারও করেছিল। এসব কিছু সত্যি মেনে নেওয়ার মতো না। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়েছিল দেখে আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। নদী আবারো পড়ালেখা চালু করে চাকরি করছে দেখে ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। ঠিক বলেছেন আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যৌতুককে না বলা।