ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসার মানুষ || শেষ পর্ব
"হ্যালো",
রেবার বাবা তো রেগে মেগে আগুন। রেবার বাবা রেবার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এবং কি বাসা থেকে বের হওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। একদিন মিজান তার এক ছোট বোনের হাতে একটি চিঠি দিয়ে রেবাকে দিতে বলে। দুর্ভাগ্যবশত সেই চিঠিটা সেই তৃতীয় ব্যক্তির হাতে পড়ে এবং সে সাথে সাথে রেবার বাবাকে চিঠিটা দেখায়। এবার রেবার বাবা সিদ্ধান্ত নেয় রেবাকে অন্য ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিবে।
(চলবে)
এবার রেবার বাবা খুব দ্রুত পাত্র দেখা শুরু করে রেবার জন্য। কিন্তু রেবা প্রত্যেকবার পাত্রের সঙ্গে বা পাত্রের পরিবারের সঙ্গে এমন সব আচরণ করে যে বিয়ে গুলো একের পর এক ভেঙে যায়। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন এক বড়লোক চাকরিজীবী ছেলে রেবাকে দেখতে আসে। কিন্তু এবার রেবা সেটা জানতো না। ছেলেটি দূর থেকে রেবাকে দেখে পছন্দ করে এবং পরিবারের সঙ্গে বিয়ের দিন ঠিক করে। এটা রেবার বাবা প্লান করেই করেছিল যাতে করে রেবা কোন অঘটন না ঘটাতে পারে। বিয়ের আগের দিন রেবা হঠাৎ জানতে পারে যে পরের দিন তার বিয়ে।রাতে তার বাবা মসজিদে এশার নামাজ আদায়ের জন্য যান সেই সুযোগে রেবা মিজানের বাড়িতে যায়।
মিজানের বাবা মিজানকে আদেশ দেয় যাতে সে রেবাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে আসে। কারণ তারা কখনোই এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। মিজান তখন নিরুপায় কারণ সে বেকার।মিজান বাধ্য হয় রেবাকে ফিরিয়ে দিতে।রেবা তখন কোন উপায় না পেয়ে বিয়েতে রাজি হয়। বিয়ের প্রায় কয়েক বছর কেটে যায়। এখন রেবার ঘরে দুটো ছেলে সন্তান। বেশ সুখের সংসার তার।মিজানও পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করছে।বিয়ে করেছে তার ঘরেও এক ছেলে এক মেয়ে।
রেবা যখন বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে তখন মিজানের সঙ্গে তার সব সময় দেখা হয়। কেউ কারো সঙ্গে কথা বলে না শুধু নীরব হয়ে চেয়ে একে অপরকে দেখে এবং চোখের জল ফেলে।কতগুলো বছর কেটে গেছে তারপরও তাদের একে অপরের প্রতি টান এবং ভালোবাসা একই রকমই আছে।এখনো তারা একে অপরকে সেই আগের মতই ভালোবাসে বরং আরও বেশি ভালোবাসে। সত্যিকারে ভালোবাসা মনে হয় এমনই হয়।যাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই শুধু নিঃস্বার্থ ভালবাসায় থাকে। এভাবেই হয়তো তাদের বাকিটা জীবন কেটে যাবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের "ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালবাসার মানুষ" গল্পটির শেষ পর্ব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি। কিন্তু আজ দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বেশ খারাপ লাগলো রেবা আর মিজানের জন্য। তবে আমার মনে হয় ভালোবাসার সুখ শুধু মিলনে নয় বিরহেও থাকে ভালোবাসার সুখ। তবে সত্যিকারের ভালোবাসায় সব সময়ই থাকে সম্মান আর শ্রদ্ধা। ধন্যবাদ এমন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বিরহেও যে সুখ আছে এটা তারই প্রমান আপু। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বেকারত্বের কাছে ভালোবাসা সত্যি অসহায় হয়ে পড়ে একসময়। মিজানের যদি কোন চাকরি থাকতো, তাহলে হয়তো সে পালিয়ে রেবাকে বিয়ে করে নিতে পারতো কিন্তু সে ছিল বেকার। আজ দেখতে দেখতে রেবার বিয়ে হয়ে যায় আর সন্তান হয়। সেই সাথে মিজানেরো বিয়ে হয়েছে আর চাকরি হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। তার সন্তানও রয়েছে শুনে ভালো লেগেছে। আসলে ভালোবাসা যদি সত্য হয় তাহলে সেই ভালোবাসা একে অপরের জন্য সারা জীবন থাকে। আর ঠিক তেমনিভাবে বিয়ের পরেও তাদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসাটা রয়েছে। সুন্দর করে লিখলেন আপনি আজকের এই গল্পটা।
এটা ঠিক বলেছেন আপু ভালোবাসা সত্যি হলে যতই বিচ্ছেদ হোক না কেনো ভালোবাসা একই রকম থাকে।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
বিয়ের আগে ভালোবাসা কিংবা টান এগুলো ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার এত বছর পরেও টান থাকাটা আমার কাছে খুব বেশি একটা ভালো কিছু মনে হয় না আপু। রেবা এবং মিজানের ভালোবাসার গল্পটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। তবে তাদের যদি অন্য জায়গায় বিয়ে না হয়ে, তাদের নিজেদের ভিতর বিয়েটা হয়ে যেত তাহলে হয়তো ভালোবাসার পরিপূর্ণতাটা পেত।