জানালা দিয়ে দেখা একটি পুকুরের সুন্দর দৃশ্য
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
আপনাদের সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি সুন্দর সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সত্যি কথা বলতে এটা কোনো ফটোগ্রাফি ব্লগ নয়। এটা আমার ভালোলাগার একটি দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে নিজেকে সাজিয়ে সব সময় আমাদেরকে মুগ্ধ করে। আজ তেমনি একটা সুন্দর দৃশ্য আপনাদেরকে দেখাবো। আশা করছি ভালো লাগবে।
ঈদে আমি আমার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পথে সুন্দর রাস্তা, নানু বাড়িতে কাটানোর সময় সবকিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমি আগেই বলেছিলাম আমার নানু বাড়িতে গেলে এখন খুব একটা থাকা হয় না। তবে আমি একদিনের জন্য গেলেও সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে আসি। কারণ সবাই আমার খুবই আপন জন এবং তাদের সঙ্গে আমি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি ছোটবেলায়। আমার বয়সী যারা ছিল সবাই সম্পর্কে আমার খালামনি ছিলো আর আমি তাদের সঙ্গেই খেলা করতাম নানু বাড়িতে গেলে। নূরী নামে আমার এক খালামনি আছেন। তার সাথে আমি একটা সময় খেলাধুলা করেছি। এখন তার বিয়ে হয়েছে দুটো বাচ্চার মা। আর আমি নানু বাড়িতে গেলে প্রত্যেকবারই সেই খালামনির বাড়িতে বেড়াতে যাই।
শুনলাম খালামণি নতুন বাড়ি করেছে। তাই নতুন বাড়ি দেখতে আমার খালামণিরা আম্মু সবাই মিলে সেই খালামনির বাসায় বেড়াতে যাই। উনি যেখানে বাড়ি করেছেন সেটা একদম রাস্তার সাথে লাগানো কিন্তু ওনার ঘরে ঢোকার পর আমি অনেক অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ঘরের সাথে লাগানো অনেক বড় একটি বিল বা পুকুর।এটাকে সম্ভবত বিল বলা হয় কারণ এটা অনেক বড় ছিল। ওনারা নাকি জায়গা কিনেছিলেন যখন তখন এই পুকুরটা অনেক শুকনা ছিল আর তখনই ওনারা একবারে নিচে থেকে বিল্ডিং তুলেছে। আমি জানালায় বসে সবার সঙ্গে গল্প করছিলাম এবং আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন জানালার বাহিরে কত সুন্দর পরিবেশ।
বিশ্বাস করুন আমার সেখান থেকে একদম আসতে ইচ্ছা করছিল না। জানালা দিয়ে পুকুরের এত সুন্দর ঠান্ডা বাতাস আসছিল যা আমাকে শীতল করে দিচ্ছিল। এ বাসায় কোনো ফ্যানের দরকার নেই। আরো ভালো লাগছিল পুকুরের উপর ভেসে থাকা কচুরিপানাগুলো। সময় এই কচুরিপানা গুলো দিয়ে আমরা কত খেলেছিলাম। মাছ বানাতাম, পটল বানাতাম, বেগুন বানাতাম এবং সেগুলো রান্না করতাম। আমার খালামনির সঙ্গে সেই গল্পগুলোই করছিলাম। সব মিলিয়ে বিশ্বাস করুন আমি খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি সেদিন সেখানে।
একদম মন থেকে বলবেন এই পুকুরের দৃশ্যগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে গ্ৰামের দৃশ্য গুলো দেখার মতো। কিছু কিছু গ্ৰামের মধ্যে এর থেকেও বেশি সুন্দর দৃশ্য রয়েছে, যা আমাদের কে জুড়িয়ে দেয়। আপনি দেখছি আপনার খালা মনির বাসা থেকে খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং সেই দৃশ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। পুকুরের দৃশ্য টি আমার কাছে ও অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের প্রত্যেকটা দৃশ্য দেখার মতো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঘরের জানালা দিয়ে যখন এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায় তখন মনের মধ্যে অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করে। আপনার খালামণিরা দেখছি অনেক সুন্দর একটা জায়গা নির্ধারণ করেছে বাড়ি তৈরি করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর জায়গার বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঈদের সময় আপনি আপনার নানু বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি আপু। জানালার পাশে এরকম যদি নদী কিংবা পুকুর থাকে তাহলে তো বেশ ভালো ব্যাপার। কারণ নদীর পাড়ের খোলা হাওয়া যখন ঘরে প্রবেশ করবে তখন ঘর শীতল হয়ে যাবে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট দেখে।
আমারতো খুবই ভালো লেগেছে সেখানকার পরিবেশ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে আপনি বেড়াতে গিয়ে কত সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু খুবই ভালো সময় কাটিয়েছি সেখানে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বড় হওয়ার সাথে সাথে নানু বাড়িতে আর সেভাবে যাওয়া হয় না। ছোটবেলায় নানু বাড়িতে অনেক যেতাম। আপনি আপনার নানু বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে দেখা করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো আপু। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লেগেছে আমার। ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া বড় হওয়ার সাথে সাথে শৈশবে কাটানো সময় গুলো স্মৃতিতে পরিনত হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ব্লগ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগল। নানুবাড়ির স্মৃতিগুলো এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। খালামনির নতুন বাড়ি আর পুকুরের সেই দৃশ্য অসাধারন ছিলো।
[@redwanhossain]
আমার কাছে দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে জন্যই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।