ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসার মানুষ || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। প্রেম ভালোবাসা আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই আসে।অনেক সময় আমরা সফল হই আবার অনেক সময় দুজন ভালোবাসার মানুষকে আলাদা হতে হয় পরিবার কিংবা সমজের চাপে।তেমনি বাস্তব একটা ঘটনা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। যেটা দুজন ভালোবাসার মানুষকে ঘিরে লেখার চেষ্টা করেছি।ঘটনাটি আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগের একটি ঘটনা। তাই আজকের গল্প টি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
রেবা এবং মিজান একই গ্রামে বসবাস করে। তারা দুজনেই উচ্চ বংশের সন্তান। রেবা এবং মিজান ছোটবেলা থেকেই একে অপরকে পছন্দ করে। বলতে গেলে যখন তারা প্রেম সম্পর্কে কোন কিছুই বুঝতো না।শুধু তারা বুঝতো দুজন দুজনকে ছাড়া কখনোই থাকতে পারবে না। তখন কোনো মোবাইল ফোন ছিলনা।চিঠির মাধ্যমে একে অপরের কথাবার্তার আদান-প্রদান হত। এভাবে তারা আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং তাদের ভালোবাসা সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়।যদিও তাদের পাশাপাশি বাড়ি ছিল তারপরও কখনো তাদের সেভাবে দেখাশোনা হতো না। কারণ তাদের দুই পরিবার কেউ কাউকে সহ্য করতে পারতো না। যদি কেউ কখনো দেখে ফেলে তাই সেই ভয়ে তারা সব সময় লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলার চেষ্টা করত।
রেবা ক্লাস নাইনে পড়ত আর মিজান কলেজে পড়ে।যখন মিজানের কলেজ ছুটি হতো তখন সে রাস্তায় রেবার জন্য অপেক্ষা করত। এবার ছুটি হলে মিজান এবং রেবা কিছুটা রাস্তা একসাথে কথা বলতে বলতে আসতো আর বাড়ির কাছাকাছি আসলে তারা আলাদা হয়ে যেত। তাদের পরিবারের এই গন্ডগোলের মাঝে এক তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন।তিনি সব সময় দুই পরিবারে মধ্যে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা করতেন। কোনো ভাবে সেই তৃতীয় ব্যক্তি একদিন রেবা এবং মিজানকে দেখে ফেলে একসাথে। এই কথাটা সেই ব্যক্তি রেবার বাবাকে বলে দেয়।
রেবার বাবা তো রেগে মেগে আগুন। রেবার বাবা রেবার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এবং কি বাসা থেকে বের হওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। একদিন মিজান তার এক ছোট বোনের হাতে একটি চিঠি দিয়ে রেবাকে দিতে বলে। দুর্ভাগ্যবশত সেই চিঠিটা সেই তৃতীয় ব্যক্তির হাতে পড়ে এবং সে সাথে সাথে রেবার বাবাকে চিঠিটা দেখায়। এবার রেবার বাবা সিদ্ধান্ত নেয় রেবাকে অন্য ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিবে।
(চলবে)
তো বন্ধুরা আপনাদের কি মনে হয় রেবার কি অন্যত্র বিয়ে হবে? নাকি রেবা সব বাধা পেরিয়ে মিজানকে আপন করে নেবে। সবকিছু জানতে হলে অবশ্যই পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে। খুব শীঘ্রই চেষ্টা করব পরের পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রেবা ও মিজান এর প্রেম কাহিনী প্রেম কাহিনী টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বাড়ি আসার পূর্বে তারা একত্রিত হতো এবং বাড়ি আসার নিকটস্থ হলে আলাদা আলাদা হয়ে যেত। সত্যি সুন্দর প্রেম কাহিনী। ঠিক এমন ঘটনা বেশ কিছু আমারও জানা রয়েছে। যাহোক ভালো লাগলো পরবর্তী পর্বের আশায় থাকলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গল্পটি পড়ে গঠনমূলক একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার লেখা গল্প গুলো আমি সব সময় পড়ার চেষ্টা করি। আপনি বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে অনেক সুন্দর সুন্দর গল্প লিখে থাকেন। আজকে ঠিক তেমনিভাবে একটা গল্প লিখেছেন। যেটা আমি পড়ার চেষ্টা করেছি। এই গল্পের প্রথম পর্বটা শুরু থেকে পড়তে ভালোই লাগছিল। তবে শেষে তো একটা গন্ডগোল হয়ে গিয়েছে। ওই তৃতীয় ব্যক্তি দুই ফ্যামিলির মধ্যে ভালোই গন্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে। আর রেবা এবং মিজানের ভালোবাসার সম্পর্কের কথাও রেবার বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি চিঠিটাও দিয়ে দিলো। এখন দেখা যাক তাকে কি সত্যি সত্যি অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় কিনা।
দ্রুত শেয়ার করার চেষ্টা করব আপু পরবর্তী পর্বটি। প্রথম পর্বটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।