সুমির জীবনের কিছু কথা
"হ্যালো",
ভালো আছি কথাটা বলতে হয় তাই বলছি ভালো আছি তবে সব দিক থেকে চিন্তাভাবনা করতে গেলে মনে হয় আদৌ কি আমি আপনি ভালো আছি?আজ আমি সুমির জীবনের কিছু কথা শেয়ার করব।আমার এক প্রতিবেশীর ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি ভালো লাগবে।
দিন দিন সুমির জীবনটা বিষিয়ে উঠছে। এ বয়সে শশুর শাশুড়ি বাবা-মা সবার সহযোগিতা নিয়ে সংসার করার বয়স তার। আর সেই বয়সে দিনের পর দিন কষ্ট করে সংসার সামলিয়ে নিজে রোজগার করতে হচ্ছে। বিয়ের আগে থেকে সুমি স্বপ্ন দেখত যেনো তার একক পরিবারে বিয়ে হয় এবং শহরে বিয়ে হয়। মানুষ যা চায় তাই পায় না। তার শহরে বিয়ে হয়েছে ঠিকই তবে একক পরিবারে নয়, যৌথ পরিবারে।
অনেকে এখন হয়তো বলতে পারেন সবাইতো যৌথ পরিবার চায় সে একক পরিবার কেন চাইলো? সুমির বাবারা পাঁচ ভাই সবার আলাদা আলাদা বাসা কখনো কারো সঙ্গে গন্ডগোল ঝগড়া দেখেনি সে। কিন্তু তার বাড়ির পাশে একটি বড় বাড়ি ছিলো চার পরিবার একই বাড়িতে ছিলো। রোজ সেই বাড়িতে কিছু না কিছু নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো। তাই সে মনে মনে চাইত একক পরিবার।যাইহোক এবার আসি মূল কথায়।বিয়ের পর থেকে ভাসুর দেবর দুই জা শাশুড়ি শ্বশুর সবাইকে নিয়ে সংসার তার। মুখে মুখে সবার মিল থাকলেও কেউ কারোর ভালো সহ্য করতো পারতো না।
তার স্বামী আবার গন্ডগোল ঝগড়া পছন্দ করতেন না। তাই তারা আলাদা বাসা নেয়।তখন বেশ ভালোই ছিলো।কোনো অশান্তি ছিলোনা। তবে সংসার চালাতে বেশ কষ্টই হয়েছিলো।তারপরও সবকিছু সামলে নিতো তারা দুজন।তারপর তাদের ঘর আলো করে তাদের সন্তান যখন পৃথিবীতে আসলো তখন তার শাশুড়ি কান্নাকাটি করতো শেষ বয়সে নাতির সাথে থাকবে।তাই তারাও অনেক ভেবে আবার নিজেদের বাসায় আসে।
সত্যি কথা বলতে আসার পর বেশ কয়েক মাস ভালোই ছিলো।কিন্তু আবারো সেই আগের ঘটনাগুলো ঘটতে শুরু করে তাদের সাথে। আসলে দিনশেষে নিজেদের একটা বাসস্থান থাকা খুব দরকার। যেখানে নিজে স্বাধীনমতো চলতে পারা যায়। শশুর শাশুড়ীর অনেক থাকলেও নিজের আছে বলতে পারার মতো কিছু করা দরকার।তারাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের জন্য কিছু করার।
শুধু সুমিই না আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকেরই নিজেদের জন্য কিছু একটা করা উচিত।হয়তো একদিন শুনি নিজের কাঙ্খিত লোককে ঠিকই পৌঁছাবে। তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন আপনি দিন শেষ একটা বাসস্থানের খুব দরকার নিজের মতো স্বাধীন ভাবে থাকার জন্য। সুমি পাশের বাড়ির ঝগড়া ছোট থেকে দেখেই একক পরিবারের প্রতি ইচ্ছে জন্মেছিল। সুমির স্বামী অনেক ভালো তাই সে হট্টগোল পছন্দ করে না আলাদা বাসা নিয়েছেন আবার মায়ের কথায় বাড়িতে যায় কিন্তুু আবার আগের ঘটনার সমূখীন হয় আমার মনে হয় সুমির তার শ্বাশুড়িকে নিয়ে আলাদা থাকা দরকার। সুমির শ্বশুড়ি তার নাতিকে কাছে পাবে সুমিও একটি নিরিবিলি পরিবেশ পাবে।ধন্যবাদ আপনাকো।
দিনশেষে আমাদের সবারই উচিত নিজের মতো করে থাকা। তাই নিজেদের একটি বাসস্থানের খুব দরকার। যেখানে কথা শোনানোর কেউ থাকবে না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।