অবশেষে জয়ের দেখা || বাংলাদেশ বনাম ভারত
16-09-2023
০১ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। আজকে রোদের তাপমাত্রাটা বেড়ে গিয়েছে। সকাল থেকে কারেন্ট নেই। গরমে হাসফাসঁ অবস্থা! গাছের পাতাও যেন নড়াচড়া করছে না। তবে এই গরমের মাঝে লিখতে বসলাম। তো গতকাল বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যকার সুপার ফোরের শেষ ম্যাচ ছিল। ভারত ইতোমধ্যে ফাইনালে উঠে গিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পাকিস্তান ও শ্রীলংকার কাছে হেরে আগেই বাদ এশিয়া কাপ থেকে। তবে বাংলাদশের মানুষ নজর রেখেছিল পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকার ম্যাচে। বৃষ্টির কারণে যদি পরিত্যক্ত হতো তাহলে অবশ্য একটা চান্স ছিল বাংলাদেশের ফাইনালে উঠার। সেদিক বাংলাদেশের বেড লাক!
বৃষ্টির কারণে অবশ্য পরিত্যাক্ত হয়নি। তবে আমি চেয়েছিলাম ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তান ফাইনালে যাক। আরেকটা লড়াই দেখতে পাবো দুই দেশের মাঝে। সেটাও আর হয়নি। শ্রীলংকা দারুণ খেলে সেদিন জিতে যায় এবং ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে। যাক, গতকালকের ম্যাচে এতো আগ্রহও ছিল না দেখার। দেখলেই বা কি হবে? আগেই বাদ পরে গেছে এশিয়া কাপ থেকে। সুপার ফোরে বাংলাদেশ একটা ম্যাচও জিততে পারলো না! এটা নিয়ে দর্শকদের কষ্টও ছিল মনে। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে দারুণ ক্রিকেট খেলে আসছে। আগেরবারও ফাইনালে উঠেও ভারতের বিপক্ষে হেরেছে। ধরে নিয়েছিলাম এবারও হারবে।
তো শুরুতেই টসে জিতে ভারত বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। ব্যাটিং এ নামে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একাদশে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বার বার ব্যর্থ হওয়া নাইম শেখকে বাদ দিয়ে দলে সুযোগ পায় তানজিদ হাসান তামিম। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী প্লেয়ার তানজিদ তামিম। ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে অনেক আগেই। তো আমি ধরে নিয়েছিলাম বাংলাদেশের শুরুটা হয়তো ভালো হবে। ভারতের বিপক্ষে লিটন ভালোই খেলে। কিন্তু গতকাল তা আর দেখলাম না! শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরে লিটন । তারপর ব্যাটিং এ নামে এনামুল হক বিজয়! যাকে নিয়ে এতোদিন কথা হয়েছে। কেন নাইমকে বাদ দিয়ে বিজয়কে নেয়া হচ্ছে না।
ওয়ানডে প্লেয়ারদের ক্ষেত্রে বিজয়ের ব্যাটিং গড় ও ভালো। কিন্তু একাদশে তাকে সুযোগ দেয়া হয়নি আগের ম্যাচগুলোতে। মুশফিক যেহেতু দেশে চলে এসেছিল তাই এনামুল হক বিজয় সুযোগ পায়। কিন্তু সুযোগটাও কাজে লাগাতে ব্যর্থ এনামুল হক বিজয়! ভুল শটে ৪ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে বিজয়। বাংলাদশের ব্যাটিং কিছুটা চাপে থাকে তখন। শার্দুল ঠাকুর ও মোহাম্মদ সামি শুরুতে ভালোভাবেই আটকানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশকে। দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৯ রান তখন বাংলাদেশের ৪ উইকেট চলে যায়। খেলে দেখে মনে হচ্ছিল ১৫০+ আর করতে পারবে কি না মনে হয় না! কিন্তু ট্রাম্পকার্ড হয়ে দাড়াঁয় সাকিব ও তৌহিদ হৃদয়।
তৌহিদ হৃদয় আর সাকিব দুজনে তুলে নেয় হাফ সেঞ্চুরি! দুজনের পার্টনারশিপ যখন ১০১ তখন সাকিব আউট হয়ে যায়। সাকিব ব্যক্তিগত ৮০ করে সাজঘরে ফেরে। তারপর তাওহীদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। ৫৪ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে হৃদয়। শেষের দিকে এসে নাসুম ও শেখ মাহদীর ঝড়ো ব্যাটিং এ বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়াঁয় ৫০ ওভারে ২৬৫ রানের। তো সে লক্ষ্যকে তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই হোচঁট খেয়ে বসে। তানজিম সাকিবের বলে আউট হয় রোহিত শর্মা। ফর্মের তুঙ্গে থাকা রোহিত দাঁড়াতে পারেনি। ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেট তানজিম সাকিবের। তারপর তিলক ভার্মাকেও বোল্ড আউট করে তানজিম সাকিব। এরপর কে এল রাহুল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে খোলটাকে কিন্তু সেটাও পারেনি। তবে ভয়ের কারন হয়ে দাড়াঁয় শুভমান গিল।
দেখার মতো ইনিংস খেলে জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখে ভারত। কিন্তু সেটা আর শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ১২১ রান কর সাজঘরে ফেরে শুভমান গিল। তারপর এক্সার পাটেল আবার ভয়ের কারণ হয়ে দাড়াঁয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ৪২ রান করে সাজঘরে ফেরে। শেষে আর ভারত কাঙ্খিত লক্ষ্যের কাছে পৌঁছায়নি। ৬ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে খেলাটা দেখে আমরা কিছুটা স্বস্তি পেলাম। ফাইনালিস্ট হারাতে তো পারলাম। দীর্ঘ এগারো বছরের যে আক্ষেপ সেটা মুছে গেল। শেষ ২০১২ সালে এশিয়া কাপে জিতেছিল। যাক, বিশ্বকাপে হয়তো ভারত ভালো করেই মনে রাখবে বাংলাদেশ। দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। যাক, ফাইনাল খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে, বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ 🦋☘️
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হা ভাই,আপনার মতো আমারও খেলা দেখে ভালো লেগেছে। আসলে জয় দেখতে পেলে ভালো লাগাই স্বাভাবিক।অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিকতায় ভালো করছে না।তারপরও জয়টি দেখে ভিষণ ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে পোস্টটি লিখে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন। ভারতের সাথে সবসময় বাংলাদেশ শুধু হারে। এবার ভালো খেলেছে বলতেই হয়।
সচরাচর খেলাধুলা দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে আপনার মতই। অনেকদিন পর জয় দেখে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠেছে বাংলাদেশের সাপোর্টাররা। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার স্বরূপ দেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যা ভাই। ভালোই ছিল বাংলাদেশের খেলাটা
আমার কাছে সব সময় কেন যেন মনে হয়েছিল ভারতের কাছে বাংলাদেশে এই ম্যাচটা জিতে যাবে। ভারতের সাথে যেকোনো দল খেলতে গেলে একটু দুর্বল হয়ে যায়, কিন্তু আমি বাংলাদেশকে দেখেছি ভারতের সাথে যথেষ্ট চাঙ্গা হয়ে খেলে। এ ম্যাচটা তারা দারুণ খেলেছে তার ফলশ্রুত ম্যাচটি জিতেছে। খুব ভালো লেগেছে সুন্দরভাবে আপনি খেলাটি রিভিউ করেছেন।
হ্যা ভাই এটা ঠিক বলেছেন। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলে আসছে।
খেলায় হার-জিত থাকবে এটা সঠিক তবে যখনই নিজেদের দল জিতে যাবে তখন কিন্তু মনের মধ্যে একটি অন্যরকম ভালো লাগা জাগ্রত হয়। আর সেই ভালোলাগা মনটাকে যেন প্রফুল্ল করে তোলে। আমিও মোটামুটি খেলাধুলা দেখতে পছন্দ করি তবে সময় সাপেক্ষে দেখা হয় হয় না। যাই হোক বাংলাদেশের এই সুন্দর জয় নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যা ভাই! মাঝে মাঝে দেখতে পারেন খেলা, ভালোই লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
এশিয়া কাপের ৩৯ বছরের ইতিহাসে ভারত পাকিস্তান ফাইনাল কখনো হয়নি। এবারেও হবে না এটাই নিয়তি ছিলো ভাই। তবে কাল বাংলাদেশের জয়টা বেশ উপভোগ করেছি। কিন্তু জিতেই কী হলো বলেন। সেই সুপার ফোর থেকেই বিদায় নিয়ে নিতে হলো। তবে গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটিং বোলিং দুইটাই বেশ ভালো ছিল।।
হলে ভালোই হয়তো। একটা অন্যরকম ফিলিংস পেতাম। যাক, বাংলাদেশ ভালো খেলে জিতেছে
কালকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের খেলাটি বেশ সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি। আসলে বাংলাদেশ জয় লাভ করবে তা ভাবতে পারে নি। কারণ গত কয়েক ম্যাচে খুবই দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশ হেরেছে। গতকালের ম্যাচটি খুবই টান টানানো উত্তেজনা পূর্ণ ছিলো। অবশেষে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে জয় পেলো। খেলা দেখার এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই ভালোই লেগেছিল দেখতে খেলাটা। ধন্যবাদ আপনাকেও