হাই ভোল্টেজ ম্যাচ || ভারত বনাম পাকিস্তান
14-09-2023
৩০ ভাদ্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
শুভ সকাল সবাইকে ☘️🦋। আশা করছি সকালের শুরুটা আপনাদের ভালো হয়েছে এবং আপনার ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সুস্থ্য থাকতে পারাটাই বড় বিষয় যে কথাটা আমি সবসময় ই বলি। কারণ সুস্থ্য না থাকলে আপনি কোনো কাজই করতে পারবেন না। আসলে আমি বিগত চার মাস ধরেই অসুস্থ। অনেক কিছুই মনের বিরুদ্ধে করতে হচ্ছে। তবে অসুস্থতাও আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। বরং ধৈর্যধারণ করা দরকার। আপনাদের কাছে দোয়া চাই।
আপনারা জানেন যে, এশিয়া কাপ চলছে। ইতোমধ্যে সুপার ফোরের লড়াই চলছে। যারা খেলাপ্রেমী মানুষ আছেন তারা হয়তো প্রতিনিয়তই খেলার খবর রাখছেন। আর ক্রিকেট খেলার প্রতি ভালো লাগা সেই ছোটবেলা থেকেই। বিটিভিতে প্রতিদিন খেলা দেখা হতো। এখন বিটিভি যেন হারিয়ে গেছে, ফোনেই নরমালি খেলা দেখা হয়। তো ১০ই সেপ্টেম্বর রোজ রবিবার, সেদিন খেলা ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ। ভারত আর পাকিস্তান মানেই অন্যরকম উত্তেজনা দর্শকদের মাঝে। এর আগের ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টির কারণে পরিত্যাক্ত হয়েছিল। তাই ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। যাতে বৃষ্টি হলেও পরদিন খেলা চলতে পারে।
শ্রীলংকার আকাশ সেদিনও ঘনকালোই ছিল। তো শুরুতে পাকিস্তান টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তানের বোলিং এ্যাটাক সবসময় বিশ্বমানের। তিন তারকা পেসার যেন পুরোদলকে কুপোকাত করার ক্ষমতা রাখে। প্রথমেই ভারত ব্যাটিং করতে নামে। রোহিত শর্মা আগের ম্যাচে আফ্রিদির বলে বোল্ড আউট হয়েছিল। তো রোহিত শর্মা সেদিন আফ্রিদি বলে যেন ডিফেন্সিভ খেলতে শুরু করে। পাশাপাশি শবনম গিলও ডিফেন্সিভ খেলতে শুরু করে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে রান দাড়াঁয় ৫৫। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেটই হারায়নি ভারত। আমি ধরেই নিয়েছিলাম আজ ভারত খেলবে। রান রেট ৬ এর উপরে রেখে ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। কিন্তু রোহিত শর্মার, শাদাব খানের বলে ক্যাচ তুলে আউট হয়। রোহিত ও শবনম গিলের পার্টনারশিপ ভাঙে ১২১ রানে।
ততক্ষণে রোহিত শর্মা হাফ সেঞ্চুরি ও শবনম গিল হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর শবনম গিল ও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো শবনম গিল মাঠে থাকবে আরও কিছুক্ষণ। কিন্তু শাহীন আফ্রিদির স্লোয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরে শবনম গিল। শবনম গিল ও রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর ভিরাট কোহলি আর কে এল রাহুল নামে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির জন্য কয়েক ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকে। গ্রাউন্ডস ম্যানরা অনেক চেষ্টা করেছিল গ্রাউন্ড শুকাতে কিন্তু আবারো বৃষ্টি শুরু হয়। শ্রীলংকার প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম বৃষ্টিবিলাসে পরিণত হয়। তো রিজার্ভ ডে থাকায় বাড়তি সুবিধা পায় ভারত ও পাকিস্তান। দর্শকরা আগ্রহে ছিল অনেক।
পরদিন আবার শুরু হয় খেলা। ভিরাট কোহলি আর কে এল রাহুল দুজন ফেয়ারনেস ক্রিকেটই খেলতে থাকে। আগের কয়েক ম্যাচে কে এল রাহুল খেলতে সুযোগ পায়নি। সেদিন যেন কেএল রাহুল সুযোগটা কাজে লাগায়। ভিরাট কোহলি ও কে এল রাহুল দুজনে রেকর্ড পার্টনারশিপ করে। সেদিন কে এল রাহুল ও ভিরাট কোহলি দুজনেই সেঞ্চুরির দেখা পায়। তারপর তাদের দুজনের রেকর্ড পার্টনারশিপ এ রানের পাহাড় সমান টার্গেট দেয় পাকিস্তানকে। ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোরবোর্ড দাড়াঁয় ৩৫৬ রানের। বিশাল রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান হিমশিম খেতে থাকে। রান রেইট যেখানে ৬ এর উপরে সেখানে পাকিস্তানের ব্যাটাররা প্রথমে দেখে শুনে খেলতে থাকে। কিন্তু ১৭ রানেই পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ইমামুল হক, জাসফ্রিট বুমরাহ এর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর বাবর আজম মাঠে নামে। কিন্তু বাবরের ব্যাটেও যেন সেদিন হাসেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৩ তখন বাবর আজম, হার্ডিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। ১১ ওভারের আগেই পাকিস্তান দুই উইকেট হারিয়ে বসে। আমি ধরেই নিয়েছিলাম পাকিস্তান হারবে। এতো রানের টার্গেট চেইঞ্জ করা সম্ভব না। তারপর ফখর জামাও সেদিন দাঁড়াতে পারেনি। শুরু থেকে স্ট্রাগল করতে ছিল ফখর জামান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! তারপর যেন পাকিস্তানের কেউই আর দাঁড়াতে পারেনি। একে একে চলতে থাকে যাওয়া আসার খেলা। কুলদীপ যাদব সেদিন একাই পাচঁ উইকেট তুলে নেয়। পাকিস্তান অলআউট হয় ১২৮ রানে। বিশাল ব্যবধানে ভারত জয়লাভ করে। এটা ছিল পাকিস্তানের জন্য লজ্জার হার। এতো বিশাল ব্যবধানে কখনো ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান হারেনি।
ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে ইতোমধ্যে ভারত! আজ আবার পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার খেলা। যে দলই জিতবে সে দল চলে যাবে ফাইনালে। যদি পাকিস্তান জিতে যায় তাহলে আবার দুদেশের মহারণ দেখতে পাবো। আমরা সবাই সেই মহারণ দেখার অপেক্ষায় আছি। আল্লাহ হাফেজ ☘️🦋
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি বলতে খেলা একটা সময় অনেক দেখতাম। কিন্তু এখন সময় স্বল্পতার কারণে খেলা দেখা হয় না। তবে মাঝে মাঝে নিউজ দেখা হয় সেখানে কিছুটা হলেও খবর পাই। আর আমার বাংলা ব্লগে ইদানিং অনেকেই দেখছি স্পোর্টস নিয়ে পোস্ট করে। এখান থেকেও কিছু জানা যায়। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া। সময়ে আমাদের অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ☘️
ভাই এই খেলাটি আমি দেখেছিলাম। প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য পরে রিজার্ভ ডে দেয়া হয়। ভারতের বিশাল রানের পাহাড়কে টপকাতে গিয়ে পাকিস্তান, মাত্র ১২৮ রান করেন। আর এই ম্যাচে ভারত বিশাল রানের জয় পায়। পাকিস্তানের এই হার লজ্জা জনক। ভারত একতরফা খেলা খেলেছে খুব ভালো লেগেছে খেলাটা। বিশেষ করে রাহুল এবং কলির খেলাটা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাই! পাকিস্তানের এটা লজ্জার হারই ছিল বলতে হয়
ম্যাচের প্রথম থেকে ভারতের পিটানি দেখেই বুঝেছিলাম আজ পাকিস্তানের কপালে শনি আছে। আফ্রিদি একটু মার খেলেই খেই হারিয়ে ফেলে।তবে পাকিস্তান ব্যাটিং বোলিং দুই দিকেই হতাশ করেছে। আর আই শবনম গিল না শুভমান গিল আর জাসফ্রিট বুমরাহ নয় জাসপ্রিত বুমরাহ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য ☘️
রিজার্ভে থাকার কারণে এই খেলাটা ভালোভাবে দেখতে পেয়েছিলাম। ভাই ভোল্টেজ ম্যাচে ভারত খুবই সুন্দর খেলা দেখিয়েছিল। প্রথম থেকেই যেভাবে ভারত খেলতে শুরু করেছিল তা দেখেই বুঝে ফেলেছিলাম তারা ৩০০ এর উপরে রান করে ফেলবে।
হ্যা ভাই! রিজার্ভ ডে তে দিয়েছিল বৃষ্টির কারণেই
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি খেলা শেয়ার করেছেন। আসলে ভারত পাকিস্তানের ম্যাচটি বেশ একতরফা খেলা হয়েছিল। ৮৪ বলে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। ক্রিকেটে আমার সবথেকে পছন্দের প্লেয়ার হচ্ছে বিরাট কোহলি। অবশেষে খেলাটিতে ভারত জয় লাভ করে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
ঠিক বলেছেন ভাই। বিরাট কোহলি বরাবরই ভালো খেলে, ঐদিনই ভালো খেলেছিল