অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা
17-12-2023
০৩ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
জীবন ও জীবিকার তাগিদে কে কখন কোথায় চলে যায় বলতে পারা যায় না। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আমরা নিজেরা কর্মব্যস্ততার কারণে একেক জন একেক জায়গায় চলে যায়। কিন্তু 'বন্ধুত্ব' বলেও তো একটা কথা আছে। বন্ধুত্ব ব্যাপারটাই অন্যরকম! যার সাথে আপনি সব শেয়ার করতে পারে সেই হলো আপনার বন্ধু! মন খারাপের দিনে যে পাশে থাকে, সাহস দেয় সেও আপনার খুব কাছের কেউ! যদিও সম্পর্কটা রক্তের না তবুও বন্ধুত্বে যেন রক্তের থেকে বেশি টান থাকে! ছোট বেলায় যাদের কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে ক্লাস করেছি, জম্পেস জমিয়ে আড্ডা দিয়েছি তারা অনেকেই এখন ব্যস্ত! শত ব্যস্ততার মাঝেও বন্ধুর সাথে সময় কাটাতে পারলে মন্দ হয় না!
গতকাল আমাদের বিজয় দিবস ছিল! বিজয় দিবস উপলক্ষ প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যোগদান করে এবং তাদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার করে। আসলে বিজয়ের দিনে এটাই বাঙালির সবথেকে বড় পাওয়া! নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এখনও টিকে রয়েছে! বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্যে দিয়েই সারাদেশে পালন করা হয়ে থাকে। তো প্রতিবছরই ১৬ই ডিসেম্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা হয়! আমাদের নান্দাইলের চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আগের মতো সেই আমেজটা এখন কাজ করে না। আর বন্ধুরাও যে যার মতো ব্যস্ত! এজন্য একা একা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে কোনো মজাই পাওয়া যাবে না। আগে বন্ধুদের সাথেই বিজয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা হতো!
আমি ভেবেছিলাম এবার যেহেতু নান্দাইলে বন্ধুবান্ধব এখনও আসেনি তাই কিশোরগঞ্জ এ যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম। কারণ সেখানে আমার খুব কাছের একজন বন্ধু রয়েছে। যার সাথে দীর্ঘ পাচঁটি বছর পড়াশোনা করেছি, একই ড্রেস পরে স্কুলে গিয়েছি! যদিও ব্যস্ততার কারণে তার সাথে দেখা হয়না। সে কিশোরগঞ্জ এ থাকে, আইলেটা করছে। বাহিরে দেশে পারি জমাবে খুব শীঘ্রই। তাই ভাবলাম তার সাথে দেখা করা যাক। পলাশকে আগেই বলে রেখেছিলাম গতকাল যেন বের হয়! আমি সেই নান্দাইল থেকে কিশোরগঞ্জ এসেছিলাম! কিশোরগঞ্জ এর ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল মাঠ সম্পর্কে আশা করি সবাই মোটামুটি জানেন! সেখানে প্রতিদিনই অনেক মানুষ আসে ঘুরতে! যেহেতু ১৬ই ডিসেম্বর সে উপলক্ষে আরও বেশি মানুষ সমাগম ঘটে।
পলাশকে দেখলাম গুরুদয়াল মাঠের একপাশেই দাঁড়িয়ে আছে! অনেকদিন পর তাকে দেখে বুঝায় যাচ্ছিল অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। আগের থেকে মোটা হয়েছে কিছুটা, হাহা! যাক পলাশকে নিয়ে কিছুক্ষণ মাঠের এখানে দাঁড়ালাম। পাশেই গুরুদয়াল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল! সাধারণত ১৬ই ডিসেম্বরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিশোরগঞ্জ এর পুরাতন স্টেডিয়ামে হয়ে থাকে! আর সেখানে অনেক স্কুল ও কলেজ অংশগ্রহণ করে। গুরুদয়াল কলেজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় হয়েছিল আর সেটা গুরুদয়াল কলেজে এসে প্রদর্শন করছিল! সাংস্কৃতিক কিছুক্ষণ দেখে গুরুদয়াল মাঠের চারপাশ হাটাঁহাটিঁ করলাম! মাঠের ভিতরটা অনেক পরিবর্তন হয়েছে! আগে খুব কম স্টল ছিল, ফুচকার দোকান ছিল! এখন মনে হয় ৫০০ এর মতো ফুচকার দোকান বসে গেছে! মজার ব্যাপার হলো সবগুলো ফুচকার দোকানই মোটামোটি ভালো ভীড় ছিল!
হাটঁতে হাটঁতে দুজন নিজেদের কনভার্সেশন শুরু করলাম! পলাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানার চেষ্টা করলাম! সে যেহেতু আইলেটস শিখছে সেটার ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারলাম! ওর থেকে জানতে পারলাম ডিপ্লোমা করেও আইলেটস দিয়ে ভালো কোনো দেশে পড়তে যাওয়া যায়! আমার কাছে অবশ্য ভালোই লাগছিল জেনে! তবে কেন জানি বাহিরের দেশে যাওয়ার ইচ্ছে আমার একদমই নেই। নিজের দেশে অল্প টাকার চাকরি পেলেও শান্তি! তবে মাঝে মাঝে আবার ভাবী এ চোর-বাটপারের দেশে থেকেই বা কি হবে! যেখানে দূর্নীতিবাজরা প্রতিনিয়ত সব লুটে নিয়ে খাচ্ছে! এসব ভাবলে আসলে দেশে থাকার ইচ্ছেটাই চলে যায়।
পলাশকে নিয়ে আবার গুরুদয়াল মাঠের সমানের দিকে চলে গেলাম। গুরুদয়ালের টং চা খেতে দারুণ লাগে। অনেকদিন পর রং চা খেলাম। চা খেতে অনেক কথাই হলো! আসলে বন্ধুর সাথে কথা বললে কোনদিক দিয়ে সময় চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। গতকাল আসলে ভালো কিছুক্ষণ সময় কাটিয়েছি পলাশের সাথে।
Device | Oppo A12 |
---|---|
Photogrpher | @haideremtiaz |
Location | w3w |
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা করতে পেরে দেখছি ভীষণ ভালো লাগতেছে আপনার।আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। ঠিক কথা বলেছেন ভাই জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখন আমরা সকলেই ব্যস্ত আর তেমন সময় হয়ে ওঠে না ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে মিশতে। অনেকদিন দেখা হয় না বন্ধুদের সাথে। তেমনিভাবে আপনি পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করতে পেরেছেন অনেক ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আসলেই ভাই জীবন জীবিকার তাগিদে এখন আর সময় হয়ে উঠে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে 🌼
আসলে অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হলে বেশ ভালো লাগে। আর আপনাদের বন্ধুত্বের সাথে দেখা হয়েছে ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে একত্র স্থানে। এদিকে নিজেদের খোঁজখবর নেওয়া পারিপার্শ্বিক অবস্থা জানতে চাওয়া সব মিলেই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখছি।
আসলেই ভাইয়া ভালো সময় কাটিয়েছিলাম বন্ধুর সাথে 🌼
প্রতি বছর মানুষ অপেক্ষা করেন ডিসেম্বর মাসের জন্য। কারণ ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতির গর্বের দিন। বিজয় দিবস খুব সুন্দর করে এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখেন। বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যাক অবশেষে আপনি অনেক দূরে গিয়ে বন্ধুর সাথে দেখা করলেন। খুব সুন্দর একটি সময অতিবাহিত করলেন। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই আপু, ডিসেম্বর ১৬ তারিখ আমাদের বিজয় দিবস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আর সে দিনটি নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়ে থাকে 🌼
কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজটা আমার খুব পরিচিত। সেখানে আমার এক রিলেটিপ পড়াশোনা করে। তবে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য সেখানে চলে গেলেন। এটাই বন্ধুত্বের টান। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে আড্ডা দিলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🌼
একটা সময় আমরাও বেশ কয়েকজন বন্ধু বান্ধব মিলে, বিজয় দিবসের দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতাম। কিন্তু এখন আর হয়ে উঠে না সেসব। বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঘুরাঘুরি করতে এবং সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে। কিন্তু জীবন জীবিকার তাগিদে হয়তোবা সময় কাটানোর সুযোগ হয়ে উঠেনা ততোটা। যাইহোক আপনার বন্ধু পলাশের সাথে দেখা করতে তাহলে কিশোরগঞ্জ চলে গিয়েছেন এবং দুই বন্ধু মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করেছেন। সব মিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাইয়া, এখন আর সেভাবে সময় সুযোগ হয়ে উঠে না। তবে দিনগুলো মিস করি