রেকর্ড রান চেইস || পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকা
14-10-2023
২৮ আশ্বিন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন । আসলে খেলা দেখলে ভালো থাকাটা যেন আরেকটু বেড়ে যায়। আপনারা সবাই জানেন যে ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে। ক্রিকেট উন্মাদনা বলতে গেলে সারা ওয়ার্ল্ডে এখন। তো আজকে আমি আপনাদের সাথে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৮ম ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। সেই খেলাটি হয়েছিল পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকার মধ্যকার। এশিয়ার দুই পরাশক্তি বলা যায়! শ্রীলংকার সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স ভালো যাচ্ছে না। ভালো খেলেও হেরে যাচ্ছে। এদিকে পাকিস্তান আগের ম্যাচগুলাতে জিতেছে। তাই তাদের কনফিডেন্ট লেভেলটাও উপরে! তো সেদিন টসে জিতে প্রথমেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা! পাথুম নিসাংকা আর কুশাল পেয়েরা মাঠে নামে। শুরুতেই হোচঁট খেয়ে বসে কুশাল পেরেরা আউট হয়ে। হাসান আলীর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
কুশাল পেরেরা আউট হওয়ার পর মাঠে নামে কশাল মেন্ডিস! বর্তমান পারফর্মেন্স বিবেচনায় কুশাল মেন্ডিস ভালো খেলছে। তো কুশাল পেরেরা আর পাথুম নিসাংকা মিলে ১০২ রানের পার্টনারশিপ তুলে নেয়। নিজের ব্যাক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয় পাথুম নিসাংকা! ৫১ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। দলীয় সংগ্রহ তখন ১০৭ রান। এদিকে কুশাল মেন্ডিস স্ট্রাইক রোটেইট করে খেলতে থাকে। কুশাল মেন্ডিসের ক্লাসি শটগুলো ভালো ছিল। তারপর মাঠে নামে সামাবিক্রমা! তারা দুজনে মিলেও পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। রানের চাকা দুজনেই সচল রাখে। দুজনে মিলে ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলে। তার আগে কুশাল মেন্ডিস সেঞ্চুরির দেখা পায়। ৭৭ বলে ১২২ রান করে আউট হয় কুশাল মেন্ডিস। ততক্ষণে শ্রীংলকার রানরেইট বেশ ভালো ছিল! কুশাল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর মাঠে নামে এসালাঙ্কা! কিন্তু হাসান আলীর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর ডি সিলভা মাঠে নামে। এদিকে সামাবিক্রমা সেঞ্চুরি করে বসে।
দলীয় সংগ্রহ যখন ২৯৫ তখন ডি সিলভা আউট হয়ে যায়। তারপর আর তেমন বড় কোনো পার্টনারশিপ দেখা যায়নি। ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে শ্রীলংকা সংগ্রহ করে ৩৪৪ রান। বিশাল একটি রানের টার্গেটকে সামনে রেখে মাঠে নামে ইমামুল হক ও আব্দুল্লাহ শফিক! আব্দুল্লাহ শফিকের সেদিন ছিল ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচ। পাকিস্তানের ব্যাটাররা শুরুতেই দেখেশুনে খেলতে থাকে। এতো রানের তাড়া, খেলা দেখে মনে হচ্ছিল তারা কোনো টেনশন না নিয় খেলছে। কিন্তু ইমামুল হক বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৬ রান তখন মাধুসাঙ্কার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে ইমামুল হক। এদিকে আব্দুল্লাহ শফিক দেখেশুনে খেলতে থাকে। তারপর মাঠে নামে বাবর আজম। ভেবেছিলাম বাবর আজম হয়তো মাঠে থাকবে কিছুক্ষণ। কিন্তু ১০ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে বাবর আজম। তখন পাকিস্তান কিছুটা চাপে পরে যায়।
তারপর মাঠে নামে রিজওয়ান। পাকিস্তানের রিজওয়ানের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স বেশ ভালো যাচ্ছে। আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে গড়ে তোলে ১৭৬ রানে পার্টনারশিপ। নিজের ব্যক্তিগত প্রথম সেঞ্চুরি করে আব্দুল্লাহ শফিক! তারপর আব্দুল্লাহ শফিক নিজের ব্যক্তিগত ১১৩ রান করে আউট হয়! দলীয় সংগ্রহ তখন ৩৩.১ ওভারে ২১৩ রানের। মোটামোটি ভালো একটা পজিশনে খেলা চলে আসি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো জিততে পারবে না! পরে মাঠে নামে শাকিল! রিজওয়ান আর শাকিল মিলেও একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। দলীয় সংগ্রহ যখন ৩০৮ রান তখন শাকিল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। এদিকে রিজওয়ান নিজের ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি করে। তারপর ইফিতিখার এসে বিধ্বংসী ইনিংস খেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। ওয়ার্ল্ড কাপ ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রান চেইস করে জিতলো পাকিস্তান। ম্যান অফ দা ম্যাচ নির্বাচিত হয় রিজওয়ান।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাকিস্তান আনপ্রেডিক্টবল একটা দল। প্রথম দুই উইকেটের পতন। তারপর আবদুল্লাহ শফিক এবং রিজওয়ান এর কী অসাধারণ পার্টনারশিপ। এইরকম ম্যাচ খুব একটা দেখা যায় না। তবে সবচাইতে বেশি প্রশংসা করতে হয় রিজওয়ান এর। পায়ে ইঞ্জুরি নিয়ে কী অসাধারণ ব্যাটিং করল সে। সবমিলিয়ে দারুণ ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপ ইতিহাসে রেকর্ড রান চেস।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। রিজওয়ান আসলেই একটা প্লেয়ার, খুব ভালো খেলছে
সত্যি বলতে রেজওয়ান কিন্তু দারুণ খেলেছে। ইনজুরি হওয়া সত্ত্বেও সে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে সরে আসেনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সেঞ্চুরি অর্জন করে দলকে জিতিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে পাকিস্তান দুর্দান্ত খেলেছে এবং খুবই চমৎকার ব্যাটিং এর মাধ্যমে জয় নিশ্চিত করেছে। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রিকেট খেলার রিভিউটি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুম রিজওয়ান আসলেই খুব ভালো খেলেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ☘️