"লাভ স্টেশন" নাটক রিভিউ
22-01-2023
০৯ মাঘ ,১৪২৯ বঙ্গাব্দ
আসসালামুআলাইকুম সবাইকে
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন! শীতের শেষ সময়টা উপভোগ করার চেষ্টা করছেন! এইতো আর কিছুদিন পরেই বসন্ত! প্রকৃতির রূপ তখন অন্যরকম সাজে সাজবে! যায়হোক, দুূদিন আগে একটা নাটক রিলিজ হলো। নাম হচ্ছে লাভ স্টেশন। নাটকটি রিলিজ হওয়ার পর থেকে ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছে দেখছি। আশা করি আপনাদের কাছেও নাটকটি ভালো লাগবে!
নাটকের কিছু তথ্য
নাম | লাভ স্টেশন । |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | মহিদুল মহিম |
প্রযোজক | তানভির আহমেদ অপু। |
অভিনয়ে | জোভান, সাবরিনা পড়শি। |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট ০১ সেকেন্ড। |
আবহ সংগীত | আবরাল সাহির |
মুক্তির তারিখ | ২০ই জানুয়ারী , ২০২৩ইং |
ধরন | রোমান্টিক , ড্রামা |
ভাষা | বাংলা। |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
জোভানঃ
ফারহান আহমেদ জোভান।পড়শিঃ
সাবরিনা পড়শি ।কাহিনী সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, পড়শি ও জোভান সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে আসে টিকেট সংগ্রহ করার জন্য। দুজনেই লাইনে দাড়াঁয়। তখন পড়শির মায়ের ফোন! বাসা থেকে কিছু না বলেই সিলেট এসে পরেছে পড়শি! গান পড়শির জীবনের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। কিন্তু সমস্যা হলো তার মা বাবা গান পছন্দ করে না। পড়শি তার প্যাসন ঠিক রেখে আগাচ্ছে! সব ছাড়তে পারবে কিন্তু গান ছাড়তে পারবে না! লাইনে দাড়িঁয়ে পড়শি উচ্চ ভয়েসে কথা বলছিল তার মায়ের সাথে! তখন পাশে থাকা জোভানের কাছে বিরক্ত লাগছিল! তারপর দুজনের মাঝে কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়! জোভান আর বেশি কথা বলেনি।
টিকেট সংগ্রহ করে জোভান! সিলেট থেকে ঢাকাগামী! কিন্তু পড়শি ট্রেনের টিকেট পায়নি! পড়শি তখন বিপদে পড়ে যায়! কিভাবে সে যাবে ঢাকা! টিকেট ছাড়া যাওয়াও যাবে না! পড়শি অনেক টেনশন করছিল, সেটা জোভান দেখেছিল। তার কাছে মনে হলো পড়শিকে হেল্প করা দরকার! জোভান তখন পড়শিকে তার টিকেট দিয়ে দেয়। বিনিময়ে পড়শি জোভানকে একটা থ্যংকস পর্যন্ত দেয় নি! জোভান কিছুটা রাগ করে। তখন অচেনা একটা লোক আসে! পড়শির কাছে টাকা চাই এসে। কিন্তু সে টাকা দেয়নি! যাওয়ার সময় জোভানের সাথে ধাক্কা লাগে! মানিব্যাগ হাতিয়ে নিয়ে যায়! এখন জোভান পড়ে যায় বিপদে! ঠিক তখন পড়শির কাছে টাকা চাই জোভান কিন্তু পড়শি মুখের উপরে না করে দেয়!
কিছুক্ষণ পর মাইকে এনানাউন্স করে দেয় সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেন যাবে না। মালবাহী একটা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে পরে গেছে! তখন পড়শি পরে যায় বিপদে! ঢাকা যাবে কি করে? পড়শি তখন জোভানকে কনভেন্স করার চেষ্টা করে! জোভান তখন ফাইনালি রাজি হয় দুজনে একসাথে ঢাকা যাবে! কিন্তু এতো রাতে গাড়ি পাওয়া যাবে না! রাতটা রেলস্টেশনে পড়শির গান শুনে কাটিয়ে দেয় জোভান! জোভান পড়শির প্রেমে পড়ে যায়! তাকে ভালো লাগে জোভানের! সকাল হলেই দুজন সিলেটের একটা রিসোর্টের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়! যাওয়ার পথে দেখা হয় সবুজ ভাইয়ের সাথে! সবুজ ভাই পড়শিকে দেখে ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকে। পড়শি সেটা মোটেও ভালোভাবে নেই নি। তখন দুজন প্লেন করে পুলিশের ভয় দেখায় সবুজ ভাইকে! সবুজ ভাই অর্ধেক রাস্তায় নেমে চলে যায়! তারপর দুজনে চলে যায় রিসোর্টে! যাওয়ার সময় জোভানের সাথে পড়শির একটি সেলফি সেটা ওয়াটসএপ এ দিতে বলে। জোভানের নাম্বার দেয় পড়শিকে!
জোভানের বাবার রিসোর্ট সিলেটে ও ঢাকায়! রিসোর্ট দেখাশোনার দায়িত্ব জোভান নেয়। কিন্তু পড়শি নাম্বার নেয়ার পর একদিনও ফোন দেয়নি! হঠাৎ একদিন বাসা থেকে মিথ্যে বলে পড়শি রিসোর্টে আসে গান শোনাতে! সেখানে জোভান উপস্থিত ছিল! পড়শি জানতো না যে এটা জোভানদের রিসোর্ট! যখন জানতে পারে যে জোভানদের রিসোর্ট এটা তখন অনেক খুশি হয় পড়শি! তারপর থেকে তাদের প্রতিদিনই কথা হতো! জোভান ঠিক করে তার মনের কথাগুলো পড়শিকে বলে দিবে।
এরই মাঝে পড়শির বাবা পড়শির জন্য ছেলে ঠিক করে ফেলে! পড়শি অনেক রিকোয়েস্ট করে তার মাকে ছেলে যদি গান পছন্দ না করে তাহলে সে বিয়ে করবে না! কিন্তু পড়শির হাসবেন্ড গান পছন্দ করে না! এদিকে পড়শি ও তার হবু স্বামীকে নিয়ে যায় জোভানদের রিসোর্টে! যখন জানতে পারে পড়শি অন্য কাউকে বিয়ে করছে তখন জোভান চলে যেতে চাই রিসোর্ট ছেড়ে বান্দরবনে। জোভান রেলস্টেশনে দাড়িঁয়ে আছে। ঠিক তখন গিটার বাজাতে বাজতে স্টেশনে এসে হাজির পড়শি! ফাইনালি দুজন সিদ্ধান্ত নেয় দুজন বিয়ে করবে। সেখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
ব্যক্তিগত মতামত
ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি তাহলে নাটকটি আমার কাছে ভালোই লেগেছে। নাটকের প্লট দারুণ ছিল। প্রথমবার নাটকে অভিনয় করেছে পড়শি! অভিনয় দেখে মনেই হয়নি যে নাটকে অভিনয় করছে! খুব সুন্দর করে পড়শি তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে একজন গায়িকা হিসেবে যার কিনা গান পছন্দ! আর জোভানের কথা কি বলবো! বরাবরের মতো দর্শক যেমনটা আশা করে জোভানের কাছ থেকে তেমনটাই হয়েছে। নাটকটি দেখলে আপনারাও উপভোগ করতে পারবেন আশা করি। আরেকটা কথা সিলেটের কিছু সুন্দর জায়গার নিদর্শনও দেখা গেছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটির লিংক
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
twitter share link
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নাটকের কিছু কিছু অংশ আমি দেখেছি ভালোই লেগেছে আমার কাছে,বিশেষ করে গাজা না খেয়ে দুইবেলা চুইংগাম চাবান ঐঅংশাটা।😜।জোবানের অভিনয় বে সুন্দর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হাহাহা!! বেডা পকেট মেরে দিয়েছিল পরে 🤣। আপনাকে ধন্যবাদ আপু 🌼
না ভাইয়া পড়শী এর আগেও ঈদের একটি নাটক করেছে। তবে জোভানের নাটক আমার বেশ ভালই লাগে। তবে আপনি এত সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ করলেন যে, পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে নাকটটি একবার ইউটিউবে দেখতে হবে। সুন্দর রিভিউ করেছেন।
তাহলে আপু আমার মিসটেক হয়েছে! আমি জানতাম পড়শি এই প্রথম নাটক করেছে! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পড়শী সবার কাছে গায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করলেও প্রথমবারের মতো নাটকে নায়িকা চরিত্র দেখে ভালোই লেগেছে। এই নাটকটি আমিও কয়েকদিন আগে দেখেছি। পড়শীর অভিনয় দক্ষতা দারুন ছিল। জোভান সব সময় দারুন অভিনয় করে। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো। নাটকটি সত্যি অনেক ভাল ছিল।
আমার কাছেও পড়শির অভিনয় ভালো লেগেছিল এই নাটকে আপু! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
আমি মাঝেমধ্যে জোভানের অনেক নাটক দেখে থাকি। কারণ ওর নাটকগুলো হয়ে থাকে অনেক রোমান্স ধরমি, যা দেখতে বেশ ভালো লাগে। হয়তো এই নাটকটি আমার আজও দেখা হয়নি। তবে আপনার এত সুন্দর রিভিউ পড়ে মনে হল যেন এতদিন না দেখে মিস করেছি।
জি দেখলে নাটকটি উপভোগ করতে পারবেন আশা করি। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর একটি নাটক লাভ স্টেশন। সিলেটের রেল স্টেশন যে লাভ স্টেশেনে পরিনত হবে সেটা কে জানতো। পড়শির গান অনেক সুন্দর। আর সুন্দর ভাবেই দুজনের মিল হয়েছে সেই লাভ স্টেশনেই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি ভাইয়া। নাটকটি দারুণ ছিল