"প্রপোজ" নাটক রিভিউ

নাটকের শুরুতে দেখা যায়, সিয়াম ফুলের তোড়া নিয়ে জেরিনকে প্রপোজ করতে যাই! জেরিনকে সিয়াম পছন্দ করে আবার লোরাকেও সিয়াম পছন্দ করে! যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলে জন্য সিয়াম এক সাথে দুই পাখি মারতে চেয়েছিল! কিন্তু তা আর হলো না। দুজনই সিয়ামকে রিজেক্ট করে দেয়! সিয়াম মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। কেনো কিছুতেই মন বসে না! সিয়ামের ফ্রেন্ড জ্যাক সেটা ভালো করেই বুঝতে পারে! জ্যাক অনেক কিছু করে সিয়ামকে খুশি রাখার জন্য! সিয়ামের বার্থডের দিন দুজন মিলে চলে যায় রেস্টুরেন্ট এ। একসাথে কেক কাটার জন্য। কিন্তু সিয়ামের মোড সেই আগের মতোই আছে! বার্থডের দিনও তার মন খারাপ! হঠাৎ-ই বিদ্যুৎ চলে যায়! তখনই ক্যান্ডেল জ্বালায় একটি মেয়ে! এক দেখাতেই সিয়াম সে মেয়েটিকে পছন্দ করে ফেলে। লাভ এট ফার্সট সাইট!

কিন্তু সিয়ামের সাহস নেই মেয়েটিকে গিয়ে প্রপোজ করার! সিয়ামের বন্ধু জ্যাক সাহস নিয়ে মেয়েটিকে বলেই ফেলে যে সিয়াম তাকে ভালোবেসে ফেলেছে! চেনা নেই, জানা-নেই হঠাৎ এমন প্রপোজাল পেয়ে মেয়েটি অবাক হয়ে যায়। ঐদিকে সিয়াম মুখ ঘুরে বসে থাকে! সিয়াম লাজুক ছেলে! মেয়েদের সাথে তেমন কথা বলতে চাই না! সিয়াম তখন তাড়াতাড়ি এসে তার ফ্রেন্ডকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলে মেয়েটির কাছ থেকে নিয়ে আসে! তখন দুজন মিলে বার্থডে সেলিব্রেশন করলো। কিন্তু মেয়েটি যাওয়ার সময় সিয়ামের দিকে তাকিয়ে চলে গেল! সিয়ামের প্রথম দেখাতেই মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায়!

পরদিন সিয়াম ভার্সিটির ক্যাম্পাসে বসে পড়তেছিল আর মেয়েটির কথা ভাবছিল। ঠিক তখন সোহা এসে হাজির! ভার্সিটির শুরু থেকেই সোহা সিয়ামকে পছন্দ করে! কিন্তু সিয়াম সোহাকে পাত্তা দেয় না। ভার্সিটির ভালো ছেলের মধ্যে সিয়াম একজন। সব টিচার জানে সিয়াম অনেক ভালো স্টুডেন্ট! ঠিক কিছুক্ষণ পর সোহার ফোন আসে! তার ফ্রেন্ড আসার কথা! তখনই ঘটে আরেক মীরকেল! দেখা হয়ে যায় নীরার সাথে! রেস্টুরেন্ট এ যে মেয়েটিকে দেখেছিল সে মেয়েটি এখন এই ভার্সিটিতেই পড়ে! নতুন এসেছে চট্রগ্রাম ভার্সিটি থেকে ক্রেডিটেড হয়ে! সিয়াম নীরাকে দেখেই মাথা ঘুরিয়ে ফেলে। সোহাকে যদি রেস্টুরেন্ট এর সব কথা বলে দেয় তাহলে মান সম্মান আর কিছু থাকবে না! সোহা তারপর নীরাকে নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ নীরার দিকে তাকিয়ে তাকে সিয়াম!

ভার্সিটির সব থেকে হার্ড টিচারের ক্লাস! সবাই স্যারকে ভয় পাই! সোহার কাছ থেকে কথা শুনে নীরাও ভয় পাচ্ছে। ক্লাস টেস্টে কেউ পাস করতে পারেনি। একমাত্র সিয়াম ছাড়া!! স্যার এসে সবাইকে কান ধরতে বলে। তখন নীরার প্রথম ক্লাস হওয়ায় তাকেও মাফ করে দেয়া হয়। সিয়াম তখন বার বার নীরার দিকে তাকাচ্ছিল! নীরাও সিয়ামের দিকে তাকাচ্ছে। দুজনের ভাবের আদা-প্রদান চলছে। সিয়াম নীরাকে ভালোবেসে ফেলে। কিন্তু বলবে কি করে! সোহাকে তখন বলে হেল্প করার জন্য। সিয়াম সোহাকে সবকিছু খুলে বলে! এদিকে সোহা সিয়ামের অনেক ভালো ফ্রেন্ড হওয়ায় নীরা ভাবে হয়তো তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলছে। নীরার কিছুটা মন খারাপ হয়ে যায় তখন !

কিন্তু যখন সোহাকে রিজেক্ট করে সিয়াম তখন সোহা সবকিছু নীরাকে বলে দেয়। পরদিন নীরা সিয়ামকে বলে ভালোবাসা যদি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে দরকার নেই! তখনই এক ঘটনা বাধিয়েঁ দেয় সিয়াম। ক্লাসে সব থেকে ডেঞ্জারাস টিচার, সবাই যাকে ভয় এনায়েত স্যারের সামনে প্রপোজ করে নীরাকে। আর স্যার তো তখন রেগে আগুন! দুই পরিবারের বাবা-মাকে আসতে বলে। নীরাকে আর সিয়ামকে ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়! দুজনই খুব ভেঙে পড়ে। ঠিক কিছুদিন পর দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, যদি দুই পরিবার তাদের ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কটা মেনে নেই তাহলে হয়তে স্যার বিষয়টা কম্প্রোমাইজ করবে। তারপর স্যারের কাছে বিষয়টা বলে। স্যার তখন তার প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়ে সিয়াম ও নীরাকে ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ করে দেয়। তারপর সিয়াম ও নীরার ভালোবাসার মধ্যে দিয়েই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।

নাটকটি প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল ভালো লাগবে না। একের পর এক প্রপোজ! আমার মনে হয় একটা ছেলে এতো প্রপোজ করে, একটা বেড সাইড তুলে ধরেছে! ছেলেটি যেখানে ভার্সিটির টপ স্টুডেন্ট! নাটকের স্টরিটা আরও স্ট্রং হওয়ার দরকার ছিল। তবে যায়হোক, স্যারেদের মাঝেও মায়া বলে একটা কথা আছে সেটা কিন্তু নাটকের শেষে দেখা গেছে। কেয়া পায়েলের অভিনয় সবসময় ভালো লাগে। রোমান্টিক নাটকে ভালোই অভিনয় করেছে ফারহান। আশা করি নাটকটা আপনারাও উপভোগ করতে পারবেন।