৪র্থ ম্যাচ || ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
09-12-2023
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
🌼 আসসালামুআলাইকুম সবাইকে 🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো আপনারা যারা খেলা প্রেমী মানুষ আছেন তারা নিশ্চয় খেলাধুলার খবর রাখেন। আমি এর আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। পাচঁ ম্যাচের সিরিজে দুটি জিতে এগিয়ে ছিল ভারত। আর অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল একটি ম্যাচ! পাচঁ ম্যাচ সিরিজের খেলা আগেই শেষ তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য পরের দুটি খেলা শেয়ার করতে দেরি হয়ে গেল। আজকে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো। তো ভারত মোটামোটি নিশ্চিন্তে ছিল তারা সিরিজ জিততে পারবে। কারণ তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই জয় ছিল ভারতের। তো গত পহেলা ডিসেম্বর সিরিজ জয়ের মিশন নিয়ে মাঠে নামে ভারত। আর অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামে সমতায় ফিরে আসার। হারলেই মিস হয়ে যাবে সমতায় ফেরা! তো টসে জিতে প্রথমেই বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া! মজার ব্যাপার হলো অস্ট্রেলিয়া ১ম ম্যাচের পরের তিনটি ম্যাচেই টসে জিতেছিল। প্রতিবারই বোলিং নিয়েছে।
ভারতের দুই ওপেনার জাইসওয়াল ও গাইকওয়াদ মাঠে নামে। ইনিংসের শুরুটা দারুণভাবে করেছিল দুজন মিলে। রান রেইট ঠিক রেখে পাওয়ার প্লে এর প্রথম ছয় ওভার কাজে লাগায় দুজন। ৬ ওভারের ভারতের সংগ্রহ ৫০ রান। কিন্তু জাইসওয়াল হার্ডির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! তারপর মাঠে আসে শ্রেয়াসায়ার! শ্রেয়াসায়ার এর ব্যাটিং আমার কাছে বরাবরই ভালো লাগে। স্লো বলেও হিট শট খেলতে পারে সহজে। কিন্তু সেদিন নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি শ্রেয়াসায়ার। ৮ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে শ্রেয়াসায়ার! ভারত তখন কিছুটা যে চাপে পরে যায় সেটা বুঝা যাচ্ছিল। ঠিক পরের ওভারের সুরিয়াকুমার ও আউট হয়ে যায়। মাঠে নামে রিংকু! বলতে গেলে গুড ফিনিশার রিংকি সিং! কম বলে বেশি রান করার সক্ষমতা রাখে রিংকু। গাইকওয়াদ ও রিংকু দুজন মিলে কিছুটা দেখে শুনেই ব্যাট করতে থাকে । আসলে ঐদিন পিচ যে স্লো ছিল সেটা বুঝায় যাচ্ছিল। ব্যাটসম্যানরা বলে স্ট্রাগল করেছিল রীতিমতো। দলীয় সংগ্রহ যখন ১১১ রানের তখন গাইকওয়াদ আউট হয়ে যায়। আসলে গাইকওয়াদ একটু ঠান্ডা মাথার প্লেয়ার। উইকেট বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করে।
গাইকওয়াদ আউট হওয়ার পর রানের গতিটা অনেকটা স্লো ছিল বলতে গেলে! কারণ আগের ম্যাচে যেখানে ২০০+ রান হয়েছিল সেদিন মনে হয়েছিল ২০০ হবে না। জিতেসকে নিয়ে আরেকটা পার্টনারশিপ করে রিংকু। সেদিন রিংকু না থাকলে ১৭০+ রান হতো না আসলে। পিচ হিসেবে ১৭০ রানই অনেক বলা যায়। ২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাড়াঁয় ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের। তারপর ব্যাটিং করতে নামে হেড ও ফিলিপ! হেড আসলে যতক্ষণ মাঠে থাকে ততক্ষণ রান হতে থাকে। যদি একবার দাঁড়িয়ে যাশ তাহলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়ে যায়। হেড শুরু থেকেই এটাকিং মোডে খেলতে থাকে। কিন্তু ফিলিপ তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি। ইনিংসের ৪র্থ ওভারের মাথায় ফিলিপ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। তারপর মাঠে আসে ম্যাকডারমট! কিন্তু হেড ১৬ বলে ৩১ রানের একটা ইনিংস খেলে এক্সার পাটিলের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে! অস্ট্রেলিয়া তখন কিছুটা চাপে পরে যায়। তারপর মাঠে আসে হার্ডি । কিন্তু হার্ডিও মাঠে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি। পাটেলের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপরে আর তেমন করে জ্বলে উঠতে পারেনি। আগের ম্যাচ জেতানো ম্যাক্সওয়েল সেদিন ছিল না। না হয় খেলাটা আরেকটু জমে যেত। তবে শেষ পর্যন্ত ওয়েড চেষ্টা করেছিল খেলাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেও ব্যার্থ হয়। সেই অবধি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ২০ রানের ব্যবধানে জিতে যায় ভারত। সিরিজ নিশ্চত করে এরই মাধ্যমে। ৩-১ এ জিতে পাচঁ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে থাকে ভারত। সেদিন প্লেয়ার অফ দা ম্যচ নির্বাচিত হয় এক্সার পাটেল! তো পরের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো। সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। সম্প্রতি আমি ইলেকট্রিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছি। এখন বিএসসি এর জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত দু বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। যাক,
নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,ব্লগিং,কুকিং,রিভিউ,ডাই ইত্যাদি করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ! ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া দারুন একটি খেলার রিভিউ দিলেন আপনি। যদিও খেলা গুলো দেখার সুযোগ হয় না বাচ্চাদের ঝামেলা সংসারের বিভিন্ন ঝামেলার কারণে। কিন্তু মাঝে মাঝে যদি এভাবে খেলার রিভিউ গুলো শেয়ার করেন দেখতে খুবই ভালো লাগে। দারুন একটি খেলার হয়েছে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বুঝতে পারছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
অনেক সুন্দর একটি ক্রিকেট ম্যাচের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে। আসলে সেদিন অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অত্যন্ত উত্তেজনাকর ম্যাচে পরিণত হয়েছিল। ১৭৪ রানের পুঁজি নিয়েও ভারত সেদিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুন একটি জয় তুলে নিয়েছিল।