আবোল তাবোল জীবনের গল্প || কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। যদিও পরিবেশ ভালো থাকার সুযোগ আবার নষ্ট করে দেয়ার দারুণ চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। মাত্র দুদিন, তারপর আবার আগের অবস্থান। আসলে আমাদের জন্য সব কিছুই এখন বিপদজনক, একটু বৃষ্টি হলেই যেমন আমাদের সমস্যা বেড়ে যায়, আবার একটু বেশী উষ্ণ থাকলেও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কারন আমরা আমাদের চারপাশের পরিস্থিতি এমনভাবে নষ্ট করেছি যে এখন ভালো থাকার সুযোগই নেই। আমাদের জন্য এখন দরকার বারো মাস শীতকাল, তাতে যদি একটু রক্ষা হয় না হলে আর উপাায় দেখছি না।

বিষণ গরমে অস্থির হৃদয়ে ছুটে গিয়েছিলাম বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে, একটু শীতলতার পরশে নিজেকে আরো বেশী শীতল ও চঞ্চল করার নিমিত্তে। সত্যি বলছি খু স্বল্প সময়ের মাঝে দারুণ একটা ট্যুর হয়েছে এবার, এতো স্বল্প সময় এবং কম বাজেটে এটাই আমার প্রথম ট্যুর। কারন অল্প টাকায় ট্যুর আমার কাছে মোটেও ভালো লাগে না, না না আমি আবার অপচয় পছন্দ করি না তবে একটু ভিন্নভাবে উপভোগ করতে চাই। দেখুন ভ্রমণ মানেই নিজেকে একটু ভিন্নভাবে সতেজ রাখার চেষ্টা করা, সেটা যেমন হতে পারে পরিবেশগত দিক হতে ঠিক তেমনি সেটা হতে পারে খাবারের দিক হতেও।

IMG_20240525_111158.jpg

আবার ট্যুর এ গেলে খালি হাতে তো আর ফিরে আসা যায় না, বাড়ির সকলের জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতে হয়, না হলে আবার বাড়িতে ঢুকা বন্ধ করে দিতে পারে হা হা হা। পুরুষ মানুষ তো সব সময়ের জন্য নিরীহ প্রাণী, শান্তি রক্ষায় তারা সর্বদা সমাঝোতায় বিশ্বাসী হয়ে থাকে হি হি হি । যাইহোক কথা প্রসঙ্গে সত্য কথা সর্বদা বের হয়ে আসে, কারন কথায় বলে না সত্য কখনো চাপা থাকে না, এটাই বাস্তবতা। আসল কথায় ফিরে আসি। বেশ সুন্দর এবং নিরিবিলি একটা পরিবেশ পেয়েছিলাম এবার কক্সবাজারে। এর আগের অভিজ্ঞতাগুলো সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন হয়ে গেছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, চারপাশের খোলামেলা পরিবেশ। বিশেষ করে সুগন্ধা সি বিচে প্রবেশ করার মুল সড়কের দুই পাশের অনেক অবৈধ দোকানই উচ্ছেদ করা হয়েছে, যা পরিবেশটাকে আরো সুন্দর করে তুলেছে।

যদিও এই পরিবেশটা কতদিন ভালো থাকবে সেটা দেখার বিষয়। কিন্তু তবুও আমি এই উদ্যোগকে স্বাগতম জানাচ্ছি এবং যারা যেভাবে এই উদ্যোগের পিছনে থেকে সহযোগিতা করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারন পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের, বিশ্বের সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে এর ঐতিহ্য ধরে রাখার দায়িত্বও আমাদের। আমাদের আন্তরিকতা ও চেষ্টাই পারে সেটাকে ধরে রাখতে। এবার আগের তুলনায় বেশী নিরাপত্তা অনুভব করেছি এবং নির্বিঘ্নে ও নিশ্চিন্তে, দশ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এর মাঝেও দারুণ উপভোগ করেছি। শুধুমাত্র আমরাই নই, বেশ মানুষের উপস্থিতি আমাদের অবাক করেছে। এই রকম পরিবেশে এতো মানুষের উপস্থিতি দেখতে পাবো সেটা মোটেও কল্পনায় ছিলো না।

IMG_20240525_111123.jpg

আসলে মানুষ শান্ত এবং সুন্দর পরিবেশ চায়, সেটা যেভাবেই হোক তারা মিস করতে চায় না। তাইতো পরিবেশের অশান্ত পরিস্থিতির মাঝেও তারা সেখানে যেতে ভীত হয় নাই, মহা বিপদ সংকেতের মাঝেও তারা একটু শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছে। আরো একটা বিষয় ভালো লেগেছে সেটা হলো খারাপ পরিস্থিতির মাঝে স্বেচ্ছাসেবকদের সবর উপস্থিতি, অনাকাংখিত যে কোন পরিস্থিতি এড়াতে এটা খুবই প্রয়োজনীয় ছিলো। মানুষ ভ্রমণে এসে অসতর্ক কিংবা নিয়ম ভঙ্গ করতেই চাইবে কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সেটাকে স্বাভাবিক রাখার দায়িত্বটা দায়িত্বশীলদের পালন করতে হবে, সেটা যেভাবেই হোক।

প্রকৃতির এই সুন্দর সৃষ্টি এবং আমাদের ভালো লাগার সেরা সৈকত এর সৌন্দর্য টিকে থাকুক, ভালো মানসিকতার এই উদ্যোগটি সফলতা পাক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আসলে আজকে শুধুমাত্র ভালো লাগার অনুভূতি শেয়ার করলাম, তবে এখনো অনেক কিছু বলা বাকি আছে। পরবর্তীতে ভ্রমণ পোষ্ট হিসেবে বাকি অনুভূতিগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবো। গরমের মাত্রা একটু কমে আসুক, সুন্দর ও উপভোগ্য পরিবেশ ফিরে আসুক এই প্রত্যাশায় আজকে শেষ করছি আবোল তাবোল জীবনের গল্পের কথা।

IMG_20240525_111149.jpg

তারিখঃ মে ২৫, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

আমাদের শরীর ও মনকে মাঝেমধ্যে সতেজ করার জন্য এ ধরনের ট্যুর ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতের ভয়ংকর অপরূপ দৃশ্য দেখতে পেরে মনটা ভীষণ ভালো হয়ে গিয়েছিলো। আপনার মত আমার কাছেও একটা বিষয় খুবই ভালো লেগেছে যে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলো বেশ তৎপর। তারা পর্যটকদের সেফটির জন্য সব সময় কেয়ারফুল ছিলো। অনেক কম বাজেটে এত সুন্দর উপভোগ্য ট্যুর দারুন লেগেছে। কক্সবাজার ট্যুরে গিয়ে কয়েকটা দিন যে, কিভাবে চলে গিয়েছে সেটা বুঝতে পারিনি। কথায় আছে খুশির দিনগুলো খুব দ্রুতই চলে যায়। কক্সবাজার ট্রাভেলিং পোস্টগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।

 last month 

আসলেই মাঝে মাঝে এমন শর্ট এবং হঠাৎ ট্যুর দরকার আছে, জীবনের ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য। সত্যি দিনগুলো দারুণভাবে কেটেছিলো। ধন্যবাদ

 last month (edited)

হুম ভাই এইরকম চমৎকার ওভার বাউন্ডারি শর্ট এবং ট্যুরের দরকার আছে। এই দিনগুলো স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। ♥️♥️♥️

 last month 

ভাই ১২ মাস শীত থাকলে মানুষ বলবে এতো শীত আর ভালো লাগে না। যাইহোক এবারের কক্সবাজার ট্যুর কিন্তু একেবারেই শর্টকাটে শেষ করে ফেলেছেন। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত বা আশেপাশের জায়গা গুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে, বিদেশী পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণে আরও বেশি আগ্রহী হবে। এতো সুন্দর এবং বিশাল সমুদ্র সৈকত যদি বাহিরের কোনো উন্নত দেশে থাকতো,তাহলে যে তারা কিভাবে সাজিয়ে রাখতো,সেটা বলার মতো নয়। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

তা ঠিক বলেছেন, গরম আছে বলেই হয়তো শীতের চাহিদা তৈরী হয়েছে আবার শীত আছে বলেই গরমের আকাংখা থাকে। ধন্যবাদ

 last month 

আপনি তো দেখছি ১০ নম্বর সংকেতের মধ্যে কক্সবাজার গিয়েছেন। আসলে এই সময় তো সবাই ভয়ে অস্থির। তবে কম বাজেটে কম সময় থেকে সে বেশ ভালই এনজয় করলেন। আসলে বর্তমানে মানুষ গরমে একদম অস্থির হয়ে পড়েছে। তবে বারোমাস শীত দিলেও কিন্তু মানুষ সেটাও সহ্য করতে পারবে না। বলবে সারাদিন শীত সহ্য হচ্ছে না। কিন্তু শুধু শুধু ভাবির নামে বদনামিটা কেন করলেন বলুন তো।

 last month 

হুম, একদমই সাহসী হয়ে গিয়েছিলাম এবার হা হা হা। বেশ ভালো এনজয় করেছি এবার।

 last month 

ভালো কথা বলেছেন ভাই। চারপাশের পরিস্থিতি আমরা এমনভাবে নষ্ট করেছি, এখন আর ভালো থাকারই উপায় নাই। আর আপনারা যে দুর্যোগের সময়ে গিয়েছেন কক্সবাজার, বেশ দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়ে ভালোভাবে ফিরে যে এসেছেন, তাই শুকরিয়া! মানুষ মাত্রই এডভেঞ্চার প্রিয়। তাই এমন সময়েও বেশ অনেকেই গিয়েছিলো প্রকৃতির অন্যরকম রুপ দেখতে। আর প্রকৃতি ও তাদের নিরাশ করে নি। কক্সবাজার এখন অসময়ে ছাড়া সীজনে যাওয়াটাই বোকামো, যে পরিমাণ ভীড় হয় সীজনের সময়!!

 last month 

আসলেই প্রকৃতির একদম ভিন্ন রূপ দেখেছি এবার খুব কাছ হতে, নতুন একটা অভিজ্ঞতা তৈরী হয়েছে । ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 56355.98
ETH 2973.83
USDT 1.00
SBD 2.14