সময় এবং প্রকৃতির প্রভাব || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। সত্যি বলতে নিজেকে নিজের সাথে নিজের মানসিকতার সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। কারন চারপাশের পরিবেশের সবটা যেমন নিজের মন মানতে চায় না ঠিক তেমনি সকল পরিস্থিতির সাথেও মানিয়ে নিতে চায় না, যার কারনে মাঝে মাঝে আমাদের নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আবার কখনো কখনো পরিস্থিতি আমাদের জটিল আবরণে ঢেকে দেয়। একটা বিপরীত মুখী অবস্থান কখনো আমাদের যেমন ভালো কিছু দিতে পারে না ঠিক তেমনি ভালো কিছুর প্রত্যাশাও করা যায় না।
তাইতো নিজেকে নিজের সাথে নিজের মানসিকতার সাথে মানিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরীর চেষ্টা করছি। আসলে মাঝে মাঝে পারি না, হৃদয় খুব বেশী অস্থির হয়ে যায়, পরিস্থিতির বিপক্ষে বিদ্রোহ করতে চায় কিন্তু কি আর করা, নয় ছয় ভেবে ভিন্ন কিছুর চিন্তা করে আবার পিছিয়ে আসতে হয়। আপনি যেখানে যাদের জন্য ক্রমাগতভাবে স্বার্থহীনভাবে কাজ করে যাবেন একটা সময় দেখতে পাবেন সেখানেই আপনি নানাভাবি অবহেলিত হচ্ছেন, আপনার হৃদয় এবং মানসিকতা উভয় আপনার বিপক্ষে বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিতে থাকবে কিন্তু তবুও নিজেকে নিজের সাথে সমাঝোতা করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতে হবে।
আমার দৃষ্টিতে সময় সেখানেই ব্যয় করা উচিত যেখানে ব্যয় করলে সময়ের সঠিক মুল্য পাওয়া যাবে, ভবিষ্যতের বিষয়টি যেখানে অধীক সুরক্ষিত থাকবে না হলে সেটা শুধু কষ্টকর এবং যন্ত্রণার বিষয় হবে একটা সময় পর। তখন না আসা যাবে ফিরে আর না নতুনভাবে নতুন কিছু শুরু করা যাবে। কারন সময়ের সাথে যৌবনের একটা দারুণ সম্বন্ধ রয়েছে আর সেটা একবার ভেঙ্গে গেলে পুনরায় তৈরী করা সম্ভব হয় না। এই জন্যই কোন কিছু করার আগে সেটা নিয়ে যেমন ভাবা উচিত ঠিক তেমনি সেটার ভবিষ্যৎ প্রভাব বা ফলাফলটা কেমন হবে সেটা নিয়েও চিন্তা করা উচিত।
আমরা আমাদের জায়গা হতে কখনোই এই কাজটি সঠিকভাবে করতে পারি না, আর না করতে পারার কারনেই একটা সময় পার করে পেছনে ফিরে তাকাই এবং আফসোস করতে থাকি। যেমন এখন আসফোস করছি প্রকৃতি নিয়ে, প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব এবং চরম উষ্ণতা নিয়ে। খুব বেশী অস্থিরতা প্রকাশ করছি সবুজ প্রকৃতি নিয়ে এবং হৈ চৈ করছি বেশী বেশী গাছ লাগানোর জন্য। কিন্তু কয়েক বছর পূর্বেও আমরা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে হাইওয়ে সড়কগুলোর দুই পাশে থাকা বিশাল বিশাল সাইজের গাছগুলো কর্তন করতেও দ্বিধাবোধ করি না, এর কঠিন প্রভাব নিয়ে চিন্তা করি নাই।
কিন্তু এখন আফসোস করলে কি হবে? সেখান হতে কি খুব সহজেই ফিরে আসা যাবে? সমস্যার কি খুব দ্রুত সমাধান করা যাবে। মোটেও না একটা জিনিষ ধ্বংস করতে হয়তো খুব বেশী সময়ের প্রয়োজন হয় না কিন্তু একটা জিনিষ গড়তে মাঝে মাঝে যুগের পর যুগ চলে যায়, সময়ের সাথে অনেক কিছুই পাল্টে যায়। আজকের এই অবস্থান একদিনে তৈরী হয় নাই বরং সময়ের সাথে সাথে আমরা নানাভাবে সবুজ প্রকৃতি ধ্বংস করেছি এবং চরম অবস্থায় আসতে বাধ্য করেছি। শুরুটা হয়তো আমি একটু ভিন্নভাবে আজকে শুরু করেছি কিন্তু শেষটা পড়ে হয়তো খুব সহজেই বুঝতে পারছেন কেন আমি এভাবে শুরু করেছি এবং আমার প্রকৃত উদ্দেশ্যটা কি ছিলো।
তারিখঃ জুন ০১, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Posted using SteemPro Mobile
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রকৃতির এই বিদ্রুপ প্রবাহের কারণ আমরা সবাই জানি আর এই পরিস্থিতিটা ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। যেহেতু পরিস্থিতিটা ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে সেহেতু এর সমাধান করতে গেলেই ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়ে পরিবর্তন করতে হবে।
একদমই, তবে সেই ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে আবার যেন বেশী দেরী না হয়ে যায় হি হি হি।
না ভাই, এইতো টুকটাক বৃষ্টি শুরু হলেই পদক্ষেপ কার্যকর করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সময়ের সদ্ব্যবহার অবশ্যই করা উচিত, নয়তোবা পরবর্তীতে আফসোস করতে হয়। তাছাড়া যেকোনো জিনিস ভাঙ্গা সহজ কিন্তু গড়া খুবই কঠিন। যাইহোক আমরা আসলে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে প্রচুর গাছপালা কেটেছি এবং সেটার শাস্তি এখন আমরা পাচ্ছি। আর আমরা যদি এখন বেশি বেশি গাছ না লাগাই,তাহলে আরও বেশি শাস্তি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পাবে। তাই অন্ততপক্ষে পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যেমনটা এখন আমরা আফসোস করছি প্রকৃতির সবুজতা নষ্ট করে, আসলে কিছু হারানোর পর আমরা সেটার গুরুত্ব বুঝি তার আগে নয়।
ঠিক বলেছেন ভাই, মানে দাঁত থাকতে আমরা দাঁতের মর্যাদা দেই না,আর এটাই হচ্ছে আমাদের স্বভাব।
সময় থাকা অবস্থায় না বুঝলে পরে সত্যি ই আফসোস করতে হয়।যেমন এখন আমরা করছি।যা কিছু আমাদের ভালো রাখে আমরা সেদিক থেকে সরে গিয়ে ক্ষনিকের ভালো লাগায় মন দিয়ে বসি।তাইতো আজ প্রকৃতি আমাদের সাথে বিরুপ আচরন করছে।আমরা নিজেদের স্বার্থে প্রকৃতির ধ্বংস করেছি বলেই আজ আমাদের এই প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।তাই সময় থাকতে আমাদের বুঝতে হবে আমাদের ভালোটা আসলে কি সে।
সেটাই, বিষয়টি আমাদের গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে এবং প্রকৃতি ধ্বংসের এই অবস্থা হতে ফিরে আসতে হবে। ধন্যবাদ
জীবনে কিছু মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করার পরও মূল্য বা অধিকার জন্মায় না, বোধ হয় এটা জীবনের চরম সত্য বা বাস্তবতার শিক্ষা । দিনশেষে যে যেই নামেই বিষয়টাকে সংজ্ঞায়িত করে - তা তো একই থাকে।
আবার দেখা যায় বাস্তবতা যা চায় আর মানুষ যা করে তার অবস্থান পরস্পরবিরোধী।
এই যেমন গাছ লাগানোর বিষয়টা, সেই মাস কয়েক আগে যখন গরমের দাবদাহ চলছিল তখন দায়ে পড়ে সবারই চৈতন্যোদয় হয়েছিল।
এটা অবশ্য আরেকটি অবস্থা যে আমরা দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে কর্তব্যের বিষয়ে সচেতন হই না।
এটাও বাস্তবতা, হা হা।
দুইটা জীবনঘনিষ্ট অনুভব শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার লেখা একদম প্রতিদিনের কিছু অর্থপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরে, যার মিল অনেকাংশেই খুঁজে পাওয়া যায়।