প্রকৃতি নিয়ে যত মাথা ব্যথা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য আছেন। সুস্থ্যতা আর পরিবেশের বর্তমান অবস্থা দুটোই যেন কেমন হয়ে গেছে, হঠাৎ করেই যেমন প্রকৃতির দৃশ্যগুলো অচেন হয়ে যায় ঠিক তেমনি শরীরটাও হঠাৎ করে কেমন জানি হয়ে যায়। অর্থাৎ অসুস্থ্যতা যেমন এখন হুটহাট করে চলে আসে ঠিক তেমনি পরিবেশের পরিবর্তনও হুটহটা করে হয়ে যায়। আসলে আমরা ছোট বেলায় একটা কথা প্রায় শুনতাম লাইসেন্সের বাইসেন্স নেই, এটা অনাকাংখিত কিংবা হুট করে কোন কিছু ঘটে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বলা হতো। আমরাও প্রায় নানা বিষয়ে এই কথাটি বলে থাকতাম। কিন্তু বর্তমান সময়টা দেখে সেটাকে বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে। যদিও তখন আমরা না বুঝেই এটাকে বেশী বেশী বলতাম। কিন্তু এখন দেখছি বর্তমান পরিবেশের সাথে এটা বেশ ভালো ভাবেই মিলে গেছে।
আসলে এখন যা অবস্থা, কেউ ভালো এবং সুস্থ্য আছে সেটা শুনলেই কেমন জানি অবাক লাগে। আর অসুস্থ্য আছেন সেটা শুনলে মনে হয় ঠিকই আছেন। কারন পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এখন ভালো থাকাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। এইতো কিছু দিনের মাঝেই আমাদের অফিসের প্রায় অনেকেই হুটহাট করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। আগের দিন অফিস হতে সুস্থ্যতা নিয়ে বাড়িতে গেছেন কিন্তু পরের দিন ফোনের মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনি অসুস্থ্য আবার মাঝে মাঝে শুনছি পরিবারের অন্য সদস্যদের মাঝে কেউ কেউ অসুস্থ্য। এটা কেন হচ্ছে, হুট করে পরিবেশের এই রকম বাজে অবস্থা কেন হলো?
না এটা মোটেও হুট করে ঘটে নাই বা এই অবস্থায় আসে নাই। বরং আমাদের চরম অবহেলা এবং পরিবেশের বিষয়গুলোকে বুঝতে না পারার ব্যর্থতা এই অবস্থার জন্য দায়ী। দেখুন আমাদের স্কুল জীবনে শিক্ষকরা বার বার একটা বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিতেন সেটা হলো পরিবেশের কোন ক্ষতি করা যাবে না, বা পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। সড়কের মাঝে ক্ষতিকর কোন কিছু দেখলে সেটাকে সরিয়ে দিতে হবে। এই যে পরিবেশের প্রতি গুরুত্ব দেয়া কিংবা সেটা যত্ন করার বিষয়টি এখন আর স্কুল কলেজে বলা হয় কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু আমাদের সময় বেশ গুরুত্ব দেয়া হতো এবং ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দেয়া হতো।
মাঝে মাঝে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে স্কুলে অভিযান পরিচালনা করা হতো, স্কুলের পরিবেশ এবং চারপাশটা সুন্দর রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করা হতো। কিন্তু বর্তমান অবস্থানের কথা চিন্তা করুন, পরিবেশের এই দুর্দশার কারনটা আমাদের নিজেদের তৈরী এবং আমরা সে বিষয়ে একদমই কর্ণপাত করছি না। তাহলে এই রকম পরিস্থিতির জন্য আমাদের আগেই ভাবা উচিত ছিলো এবং সেটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার দরকার ছিলো। আসলে মানুষ ভুল করে এবং তারপর সেই ভুল হতে শিক্ষা গ্রহণ করে। আমরাও সেটা করি কিন্তু সকল ক্ষেত্রে না, বিশেষ করে পরিবেশের বিষয়ে একদমই না। তাই আজকের এই পরিবেশ সেটা আপনা আপনি তৈরী হয় নাই।
এখন আমরা যেমন অতিমাত্রায় গরমের কারনে আফসোস করি, গাছের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমানে না থাকার জন্য অন্যদের দোষারূপ করি, ঠিক তেমনি আবার অতিবৃষ্টির কারনে পরিবেশকে দোষারূপ করি এবং অনাবৃষ্টির জন্যও উপর ওয়ালাকে দায়ী করি, কি নিদারুণ আমাদের চরিত্র। দোষ করার সময় কোন কিছুর আগ পিছ চিন্তা করি না, তারপর সমস্যা হলেই অন্যদের দোষারূপ করি এবং উপরওয়ালেকও সেই দোষের মাঝে নিয়ে আসি। পরিবর্তন হোক আমাদের চিন্তা ভাবনার, সঠিক উপলব্ধি আসুক আমাদের মাঝে।
তারিখঃ জুলাই ১৪, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ধামরাই, ঢাকা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Posted using SteemPro Mobile
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
উপর ওয়ালারও হয়েছে যন্ত্রণা। বৃষ্টির দিলেও দোষ না দিলেও দোষ। রোদ দিলেও দোষ না দিলেও দোষ। তাহলে বেচারা কোথায় যাবে বলেন তো ভাইয়া? অনেক প্রয়োজনী একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া। আজকে আমাদের অবস্থার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। এটাও কিন্তু খারাপ বলেননি, এখন কেউ সুস্থ আছে শুনলেই কেমন যেন অবাক লাগে।
আসলেই ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। এবং আপনার পোস্টটি একটি শিক্ষনীয় বিষয়। এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।