অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৯)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে আমার কলকাতা ভ্রমণের পর্বগুলোর কথা, ইতিমধ্যে আমি ২৮টি পর্ব শেয়ার করেছি যেগুলোর মাঝে ছিলো ভ্রমণের নানা স্বাদ। তবে এবার একটু ভিন্ন ধরনের অনুভূতি শেয়ার করবো আর সেটা হলো শপিং এর স্বাদ, হি হি হি । যদিও এই বিষয়টি আমাদের থেকে বেশী উপভোগ করে থাকে মেয়েরা। তবে এবার আমরাও সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলাম কারন না হলে আবার বাড়িতে ঢুকতে দিবেন না বাড়ির পিএম, হি হি হি। যথারীতি এই বিষয়টি আমার কাছে খারাপ লাগলেও এবার কিন্তু তেমনটা লাগে নাই, বরং অন্য রকম একটা অনুভূতি হৃদয়ে কাজ করেছিলো।
মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছুর মাঝেও যে এমন অনুভূতি কার্যকর থাকে সেটা কলকাতা গিয়ে শপিং না করলে বুঝতে পারতাম না। তবে এখন বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করছি আমাদের দেশের ক্রিকেটাররা বিদেশ যাওয়ার সময় একটা লাগেজ নিয়ে গেলেও আসার সময় কেন চার/পাঁচটা হয়ে যায় হা হা হা। একটু মজা করলাম আরকি, যদিও আমাদের চার পাঁচটা লাগেজ হয় নাই। কিন্তু সত্যি বলছি আরিফ ভাই বড় একটা লাগেজ নিয়ে আসছিলেন আসার সময়। অবিবাহিত তো তাই আগ হতেই প্রিপারেশন নিয়েছেন হা হা হা। তবে সেটা কিন্তু খালি আনেন নাই বরং পুরোটা ভরে আনছেন, যাকে বলে একদম টাইট ফিটিং হি হি হি।
যাইহোক, আমরা ভ্রমণের পর্ব শেষ করে শপিং এর প্লান করলাম শেষ দিনটায়। অবশ্য সকল ক্ষেত্রে মুল তদারকির দায়িত্বে ছিলেন আমাদের কিংপ্রস ভাই, কারন উনি না থাকলে একদিনে এতো রকমের শপিং অসম্ভব ছিলো। কারন ভিন্ন ভিন্ন আইটেমের জন্য আমাদের ভিন্ন ভিন্ন স্পটে ছুটে যেতে হয়েছিলো। কোন জিনিষের জন্য কোন স্পট বিখ্যাত সব কিছুর খবর ছিলো কিংপ্রস ভাইয়ের নিকট। আপনারা বিয়েসহ যে কোন শপিং এর জন্য অবশ্য কিংপ্রস ভাইয়ের পরামর্শ নিতে পারেন, হি হি হি। তবে কিংপ্রস ভাই না থাকলে আমরা হয়তো ২৫% শপিংও কমপ্লিট করতে পারতাম না।
খুব সকালে উঠেই আমরা নাস্তা সেরে নেই তারপর হাঁটতে হাঁটতে চলে যাই কলকাতা নিউ মার্কেটের দিকে, খুব বেশী দূরত্ব ছিলো না আমাদের হোটেল থেকে। সকালের দিকে খুব বেশী মানুষের উপস্থিতি ছিলো না, বেশ শান্ত পরিবেশ ছিলো তখন। অনেক দোকান তখনও পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। কিন্তু আমরা যেখানে যাবো সেটা কিন্তু ঠিক খোলা ছিলো। তাই কিংপ্রস ভাইয়ের সাথে কথা বলে উনি আসার আগেই আমরা প্রথম পর্বটা শেষ করার চেষ্টা করলাম।
কারণ আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো জুতোর শপিং শেষ করেই সেগুলো আবার হোটেলের রুমে রেখে তারপর বাকি শপিং এ যাবো। ঠিক তেমনটাই করলাম আমরা। এখানে অবশ্য আমাদের থেকে আরিফ ভাই বেশী শপিং করেছিলেন। আমি বোধহয় ৬-৭ জোড়া জুতো কিনেছিলাম, খুব একটা বেশী না কি বলেন আপনারা? হি হি হি। আমরা রুমে ফিরে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেই তারপর কিংপ্রস ভাইয়ের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। আজ তাহলে এই পর্যন্ত থাকলো।
তারিখঃ মার্চ ২৭, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আমি মন্তব্য করবো কি করে? হাসতে হাসতেই তো পেট ব্যথা। এমন সুন্দর করে পোস্টটি গুছিয়ে লিখেছেন যে না হেসে পারা গেল না। এবার তো শপিং করতে আপনার মজা লাগারই কথা। শুধু কি পিএম এর ভয় ৬-৭ জোড়া জুতা। সেগুলো কার জন্যে গো। হি হি হি। এখন খুব জানার ইচেছ পিএম সেদিন আপনাকে যত্ন করে কি কি খেতে দিয়েছিল। আর আরিফ ভাইয়ের বিষয়ে একটু সন্দেহ তো থেকেই গেল। কার জন্য এত শপিং। এরা কি ইনা মিনা আর টিনা? ব্যাপারটি সন্দেহ জনক! যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আজকের পর্ব পরে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাই মেয়েরা শপিং করতে যে কি পরিমাণে ভালোবাসে,সেটা তাদের সাথে শপিং করতে গেলেই বুঝা যায়। সারাদিন শপিং করলেও যেন শেষ হয় না তাদের শপিং। যাইহোক আপনি মাত্র ৬-৭ জোড়া জুতা কিনেছেন,এটা কিন্তু খুব কম হয়ে গিয়েছে 😂। কলকাতার নিউমার্কেটে শপিং করতে খুব ভালো লাগে। আপনার পোস্ট পড়ে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যাইহোক এরপর আর কোথায় কোথায় গিয়ে শপিং করেছিলেন এবং কি কি শপিং করেছিলেন, সেটা জানার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।