"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৫ || মুলা গাজরের টক-ঝাল-মিষ্টি সবজি আচার
হ্যালো বন্ধুরা
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- মুলা
- গাজর
- লেবু
- কাঁচা মরিচ
- রসুন
- হলুদ সরিষা
- জোয়ান
- ধনিয়া
- জিরা
- মৌরি
- পাঁচফোড়ন
- শুকনা মরিচ
- সিরকা
- হলুদ গুড়া
- লবন
- সরিষার তেল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মুলা, গাজর, লেবুগুলোকে কেটে স্লাইস করে নিয়েছি, তবে স্লাইসগুলো একটু ভিন্নভাবে করেছি আমি যাতে দেখতে কিছুটা সুন্দর লাগে, আপনারা চাইলে গোল আকৃতির করেও কেটে নিতে পারেন।
তারপর একটা বাটিতে সবজির স্লাইসগুলো নিয়ে তাতে হলুদ গুড়া ও হালকা লবন দিয়েছি এবং সুন্দর করে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর পুনরায় প্লেটে ঢেলে নিয়েছি এবং কিছু সময়ের জন্যে রোদে শুকাতে দিয়েছি। যত বেশী সময় রোদে শুকাবেন ততো বেশী স্বাদের হবে আচারটি।
এরপর একটা কড়াই চুলায় বসিয়ে প্রথমে হলুদ সরিষাগুলোকে ভেজে নিয়েছি তারপর বাকি উপকরণগুলো ভেজে নামিয়ে নিয়েছি।
তারপর কড়াইতে তেল ঢেলেছি তার সাথে শুকনা মরিচ, রসুন কুচি এবং হালকা পাঁচফোড়ন দিয়েছি। কিছু সময় এভাবে রান্না করে নামিয়ে নিয়েছি।
এরপর ভেজে রাখা মসলার উপকরণগুলোকে সুন্দর করে ব্লেন্ডার করে নিয়েছি।
হালকা শুকিয়ে নেয়া সবজিগুলোকে পুনরায় বাটিতে নিয়েছি এবং পাঁচফোড়ন, শুকনা মরিচ ও রসুন দিয়ে গরম করা তেল ঠান্ডা করে সেগুলোর মাঝে ঢেলেছি।
এরপর ব্লেন্ডার করা মসলাগুলো নিয়েছি তার সাথে সিরকা দিয়েছি এবং পরিমান মতো লবন দিয়ে সুন্দরভাবে মাখিয়ে নিয়েছি, মাখানোর সময় খুব বেশী চাপ দেয়া যাবে না তাহলে সবজিগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে, তখন আচার না ভর্তা হয়ে যাবে, হি হি হি।
হয়ে গেলো আমাদের দারুণ স্বাদের মুলা গাজরের আচার। দেখুন দেখতে কেমন হয়েছে এখন, এরপর বৈয়ামে ভরে কয়েক দিন রোদে শুকাতে হবে, তাহলে এর প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।
আমি কিন্তু অফিসে আসার সময় গরম ভাতের সাথে ঠিক আচারের স্বাদটা চেক করে আসছি। সত্যি কিছুটা ভিন্ন রকম স্বাদের লেগেছে এবং মনে হয়েছে অনেকটা সালাদের আচার খাচ্ছি, হি হি হি। চাইলে আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন, মুলার আচার সত্যি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আপনার সেই প্রাণপ্রিয় মুলার সাথে গাজর, সেই সাথে লেবু। দিয়ে একটি মিক্সড সবজি আচার তৈরি করেছেন। যেটা দেখতে সত্যিই অসাধারণ এবং অতুলনীয় হয়েছে। তবে এর ক্রেডিট কিন্তু ফিফটি-ফিফটি। আপনার অর্ধেক ভাবির অর্ধেক।আপনি সবজি গুলো ঠিক আমের আচারের মতো করেছেন। আমরা আম আচার করার আগেও এভাবে কেটে নিয়ে হলুদ লবণ মাখিয়ে কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে নেই। যখন আমের পানি শুকিয়ে যায়, তখন আমরা আচার তৈরি করি। ঠিক সেভাবে আপনি এই সবজির আচার তৈরি করেছেন। আমার কাছে দারুন লাগলো।আপনার টেস্ট অনুযায়ী সালাতের আচার তৈরি হয়েছে এটি।তবে এটা ঠিক এই আচার রোধে পাঁচ থেকে সাত দিন শুকানোর পর এর সঠিক স্বাদ পাওয়া যাবে।♥♥
হ্যাঁ ভাইয়া আপনার চিন্তা ভাবনা সত্যি ভিন্ন ধরনের তার জন্যই আপনার আচার তৈরিতেও মূলাকে রেহাই দিলেন না। অবশেষে আচারের প্রতিযোগিতার জন্য মুলার চাহিদা এবং দাম দুটোই বাড়িয়ে দিলেন। মনে হচ্ছে সাথে গাজর দেওয়াতে একটু হলেও স্বাদ এসেছে তা না হলে হয়তো খাওয়াই যেত না। যাই হোক দেখে তো মনে হচ্ছে ভালোই হয়েছে খেতে কেমন হবে বুঝতে পারছিনা। খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক আচারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া আচার খেতে আমারও খুব ভালো লাগে বলতে পারেন আমার খুবই ফেভারিট তবে নিজে কখনোই প্রস্তুত করিনি প্রতিবারই মা প্রস্তুত করে রেখে দেয় সেটা খেতে থাকি আস্তে আস্তে।।
মূলা এবং গাজর দিয়ে সত্যিই ভিন্ন ধরনের এক আষাঢ়ের রেসিপি প্রস্তুত করেছেন আমি আসলে কখনো এরকম ভাবে চিন্তাও করতে পারিনি আচার প্রস্তুত করা যায়।।
যেহেতু ক্রেডিটটা ৫০-৫০ মনে হলো ভাবির আইডিয়াগুলাই ভালো ছিল আপনার থেকে।।
দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে দেখুন মজা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।। প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য এবারের প্রতিযোগিতায়।।
ঘরের ম্যানেজারকে তো খুব ভালোভাবেই ম্যানেজ করেছেন 😜। সেদিন যখন কনটেস্টের অ্যানাউন্সমেন্ট শুনেছিলাম তখনই ভেবেছিলাম আপনি মুলা নিয়েই হাজির হবেন। সেটাই অপেক্ষায় ছিলাম 🤭। এখন দেখি আবার মুলার সাথে গাজরও নিয়ে এসেছেন। এরকম আচারের কথা এর আগে কখনো শুনিনি। সম্পূর্ণটাই পুরোপুরি ইউনিক ছিল। খেতে যে কেমন হবে একদমই আইডিয়া করতে পারছিনা। তবে যেহেতু আচার আর এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন সুস্বাদু না হয়ে যাবে কোথায়। যাইহোক আইডিয়াটা সত্যি দারুন ছিল। আমাদের নুর আপুর যে কি হবে এই আচার দেখলে😆😆।
নুর আপুর জন্য পানির বোতল পাঠানোর ব্যবস্থা করছি, যাতে জ্ঞান হারালে সেটা কাজে লাগানো যায়, হা হা হা।
ভাইয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আগে থেকেই মনে মনে ধারণা করেছিলাম যে কেউ একজন মুলার আচার বানাবে কিন্তু সেটা যে আপনি হতে পারেন এটা কল্পনার বাইরে ছিল।😀 যাইহোক আপনি আর ভাবি মিলে বেশ দারুণ একটা আইডিয়া বের করেছেন তার জন্য ভাবিকেও অভিনন্দন। ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন যে ঘরের ম্যানেজার কে ঠিক না রাখলে রেসিপির সত্যিই বারোটা বাজিয়ে দিবো 🤣 মুলা,গাজরের আচার আমি এই প্রথম দেখলাম তাই এর স্বাদ কিরকম হতে পারে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না, আশাকরি গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালোই লাগবে। সবমিলিয়ে একেবারে নতুন একটি আচারের রেসিপি দেখলাম আর এই নতুন রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
শেষ পর্যন্ত এটাও দেখিয়ে ছাড়লেন,আপনি ভাই পারেন বটে!সাথে আমাদের ভাবিকেও যোগ করলেন।যাই হোক,দেখতে সুন্দর লাগছে।তবে এই আচার খাওয়া যাবেনা, মানে আমি খাবোনা এই আরকি।😜
সত্যি এটা দারুণ ছিলো, খালিতো বিরুদ্ধচারণ করে গেলেন একবার টেস্ট করে দেখুন কি মজার জিনিষ মুলো, হি হি হি
আপনার পোস্ট টা দেখে আরো কনফিডেন্স পেলাম। কারণ আমি তো মিষ্টি আচার বানাই নি। প্রায় সবাইই মিষ্টি আচার বানিয়েছেন দেখলাম। তবে আমি মনে করি যে কোন জিনিস মাল্টি টাস্কে ব্যাবহৃত হলে বেশী ভালো লাগে। এই যেমন এই আচার ভাত, রুটি, মুড়ি সব কিছুর সাথেই যায়।আমার আর আপনার রেসিপি প্রায় এক। শুধু কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট এবং পদ্ধতি অল্প আলাদা। ভালো লাগলো বেশ।
আচারের ইউনিক রেসিপি প্রতিযোগিতা যেহেতু আর আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে মূলা লাভার আছে।তাই কনটেস্ট এর এনাউন্সমেন্ট এর পর ভেবেছিলাম যে মূলার আচার অবশ্যই পাবো।আমার মিস্টার আবার মূলা পছন্দ করে। তাই মূলার আচারের রেসিপি টি আমার প্রয়োজন ছিল। আপনার রেসিপি টি এতো সুন্দর করে দেখিয়েছেন যে আমার বাসায় তৈরি করতে খুব সুবিধা হবে। গরম ভাতের সাথে অনেক ভালো লেগেছে আপনার কাছে জেনে আরও নিশ্চিত হলাম।আপনার প্রতিযোগিতার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ঘরের ম্যানেজার মুলা পছন্দ করে বলেই আপনিও মুলাতে বিশ্বাসী 🙂 আর সামনের হ্যাংআউটে আমি নুর আপুর মন্তব্য শুনতে চাই কারণ এই কনটেস্টের এনাউন্সমেন্ট ঘোষণা করার সময় নুর আপু বলেছিল হাফিজ ভাই যেন মুলা নিয়ে হাজির না হয় হা হা হা 😆 কথায় আছে না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়। তবে যাই বলেন আচারের রেসিপিটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। আর পরিশেষে যখন একটি প্লেটে আলাদা ভাবে পরিবেশন করেছেন তখন ভাতের সাথে খাওয়ার একটা লোভ জেগেছে।
আমার তো মনে হয় এটি একটি সময়োপযোগী ইউনিক আচার। বহু আচার খেয়েছি কিন্তু মুলা গাজরের টক-ঝাল-মিষ্টি সবজি আচার কখন ও খাওয়া হয়নি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।