বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট
প্রথম দিনঃ
আমার বাংলা ব্লগ- ৩য় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট প্রথম পর্ব এখানে পড়ুন
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন, তারপর কমিউনিটির মডারেটর
@tangera তানজিরা ম্যাডামের কথা লিখে প্রকাশ করতে অনুরোধ করেন। আসসালামু আলাইকুম, প্রথমেই আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে সবাইকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। চোখের পলকেই তিনটি বছর কেটে গেল আমার বাংলা ব্লগের সাথে।আমার বাংলা ব্লগ এর অবদানের কথা বলে শেষ করার নয়।আমার মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি এখানে।এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে? পেয়েছি বড় একটি ফ্যামিলি, আর এই ফ্যামিলির অভিভাবক প্রতিনিয়তই একটির পর একটি সুযোগ এনে দিচ্ছেন আমাদের জন্য।দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার ফ্যামিলির জন্য।আসলে এমন একজন অভিভাবক পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
"আমার বাংলা ব্লগ" তার সদস্যদের জন্য যেভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছে তার কোন তুলনা হয় না।বিশেষ করে আমরা যারা গৃহিণী রয়েছে তাদের জন্য তো এটি একটি বড় পাওয়া।যেতে হচ্ছে না ঘরের বাইরে, ছোটখাট প্রয়োজনীয় চাহিদা গুলো মেটাটে পারছি এখান থেকেই।এবার আমার সরচেয়ে আনন্দের ব্যাপারটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি।নরমালি হাজব্যান্ড সবসময় আমার যাকাত ও কুরবানী দিয়ে থাকে।কিন্তু এবছর আমি আমার নিজের টাকায় যাকাত দিয়েছি।
আর কুরবানীর জন্য টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। এর চেয়ে আর বড় ব্যাপার কি হতে পারে? নিজের টাকায় কিছু করতে পারলে আসলেই মনে অনেক শান্তি পাওয়া যায়।এ বছর সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতে দেখেছি আমার বাংলা ব্লগের ইউজারদের।নিজের জন্য এবং তার পরিবারের জন্য অনেকেই অনেক কিছু করতে পেরেছেন আমার বাংলা ব্লগের কারণে, যা প্রতিনিয়ত আমরা ইউজারদের পোস্ট থেকে দেখতে পেয়েছি।সত্যিই এটি অনেক আনন্দের ব্যাপার।আর সবচেয়ে বড় কথা এখানে আমরা আমাদের নিজেদের লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারছি।আবারও সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা
@rme দাদা, শুরুতেই দাদা বলেন বেশ চাপের মাঝে আছেন যেটা বলে বুঝানো যাবে না। তারপর নতুন কোম্পানী নিয়ে কথা বলেন, অনেক কাজ সেখানে বাকি আছে। তারপর দাদা হাসপাতালের বিষয়টি বলেন, বৌদি ঠিক আছেন কোন সমস্যা নেই। আজ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো আমার বাংলা ব্লগ। আমার বাংলা ব্লগতো আসলে আনন্দের জন্যই করেছিলাম, তারপর বিনিয়োগ করেছি। আমার টার্গেট ছিলো এটা, বর্তমানে আপনারা জানেন যে বিনিয়োগের নামে অর্থ লুট হয়, লোকজনের কাছ হতে পয়সা-কড়ি নিয়ে ভেগে যায়। এই ধরনের স্ক্যাম এখন খুব বেশী। সেই জন্য আমার একটা টার্গেট ছিলো যে, আমার বাংলা ব্লগে জিরো ইনভেস্টমেন্ট যেন থাকে এবং অলয়েজ যেন থাকে অর্থাৎ এখানে কেউ যেন একটা ফুটো পয়সাও যেন পকেট হতে খরচ না করে।
শুধুমাত্র একটাই ইনভেস্টমেন্ট সেটা হলো মেধা, নিজের মেধা ইনভেস্টমেন্ট করে, কোন শারীরিক পরিশ্রমও করা লাগবে না জাস্ট ব্রেন পরিশ্রমটুকু করেই এখানে আপনি আপনার ক্রিয়েটিভিটি অর্থাৎ সৃষ্টিশীলতা, আপনি আপনার যেসব বিষয়ে গুন থাকে, হবি থাকে অনেকের, গুনহীন কোন মানুষ হয় না পৃথিবীতে, একদম জিরো ব্রেনের লোকের মাঝেও কিছু না কিছু গুন থাকে। কারো না কারো মাঝে একটা সুপ্ত প্রতিভা থাকে, কেউ না কেউ কোন কিছুতে দক্ষ থাকে। এমন একটা মানুষ খুঁজে পাবেন না যে কোন বিষয়ে দক্ষ না, এমন একটা মানুষ খুঁজে পাবেন না যে সব কিছুতেই দক্ষ।
যদি কেউ সব কিছুতে দক্ষ বলে বুঝতে হবে সে আসলে কোন কিছুতেই দক্ষ না। এখন কথা হলো এইগুলো শো আপ করে, জিরো ইনভেস্টমেন্ট করে, জাস্ট লেখালেখি করে ক্রিয়েটিভিটি, মেধা খাটিয়ে মানুষের সাথে এনগেজমেন্ট করে, যেমন আমরা একটা ফ্যামিলির মতো, তার সাথেও যদি কিছু ইনকাম করা যায়, এটা একটা বেশ ভালো, আমার পরিকল্পনায় ছিলো এটা। আর দ্বিতীয় পরিকল্পনা ছিলো যে, বাংলা ভাষাকে প্রমোট করা। বাংলা ভাষাতো আসলে নেগলেক্টেড ভাষা, এতো নেগলেন্সি আমাদের কারনে হয়েছে অর্থাৎ বাঙালিরাই বাংলা ভাষাকে নেগলেক্ট করে। এখন অন্যান্য ভাষার মানুষরা তো আমাদের নিচু চোখে দেখবেই। রাশিয়ানদের ভেতর এতো বড় একটা দেশ রাশিয়া তার ৯৫% জনগণই ইংরেজী জানে না। কারণ তারা বলে ইংরেজী কেন শিখবো? কি কারণে শিখবো ইংরেজী? তাদের ইংরেজী দরকার হয় না কারন তারা মাতৃভাষায় সব কিছু করে। চায়নার ১০% মানুষও ইংরেজী জানে না। কই তাদের কোন সমস্যা হয় না। জাপানের ১-২% মানুষ ইংরেজী জানে তাদের কোন সমস্যা হয় না। কারণ তাদের নিজেদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা আছে এবং সে কারণেই তারা এগিয়ে যাচ্ছে।
আর আমরা একটু টাকা-কড়ি হলেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করে দেই। সেটা আমি করেছি, সবাই করেছে। কিন্তু তাই বলে আমাদের ছেলে-মেয়েকে বাংলা শিখাই না তা না, আমি তো আমার ছেলেকে সব সময় উৎসাহীত করি বাংলা শেখার জন্য, আমার প্রথম কথা হলো নিজের মাতৃভাষাকে যদি আপনি হেয় প্রতিপন্ন করেন, আপনি আসলে দেশের কলংক, আপনার দ্বারা কিছুই হবে না। আগে নিজের মাতৃভাষা ভালোভাবে শেখা তারপর বিদেশী ভাষা শেখা। ইংরেজী তো একটা বিদেশী ভাষা ছাড়া আর কিছু না, ওটায় এমন কোন গরিমা নেই যে ওটা না শিখলে আমি মূর্খ। ওটাও একটা ভাষা বাংলাও একটা ভাষা, বাংলা আর ইংরেজী দুটো আলাদা কিছু না।
স্টিমিটে একটা সময় বাংলার খুবই খারাপ অবস্থা ছিলো, বাংলায় কেউ পোষ্ট লিখলে সে পোষ্ট কিউরেশনে যেতো না। আপনারা হয়তো জানেন না, স্টিমিটে আমি একদম প্রথম থেকেই ছিলাম। মাঝখানে তিন চার বছর আমি করিনি। বিয়ে করার পর আমি এসব ছেড়ে দেই, নতুন কাজ নিয়ে আমি একটু ব্যস্ত হয়ে থাকি। যাইহোক, স্টিমিটে তখন আমার একটা ব্লগে ৪০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম হতো, তারপরও আমি ছেড়ে দিয়েছি। কারণ আমি মজা পেতাম না, তখন বাংলায় কোন কমিউনিটি ছিলো না, যদিও আমি টাকার জন্য কখনো স্টিমিট করিনি মজার জন্য করতাম। তারপর বহুকাল পরে যখন আবার আমার ভাই যখন তার কিছু ফ্রেন্ডদের স্টিমিট শেখাতো তখন দেখলাম যে কমিউনিটি সিস্টেম আছে, এটা আগে কিন্তু ছিলো না। তখন থেকে একটা চিন্তা ভাবনা ছিলো যে, আমার বাংলা ব্লগ ক্রিয়েট করি। একটা ঝোঁকের মাথায় করেছিলাম, ১১ জুন রাত ১০টা এগারো মিনিটে সম্ভবত করেছিলাম খাওয়ার পরে। আমার বাংলা ব্লগে ইনকামটা আপনারা জানেন ফ্রি, এখানে জিরো ইনভেস্টমেন্টে ইনকাম।
এখানে প্রথম বছর আমিতো হিসেব রাখি সব কিছুর, এখান হতে প্রায় ১৪ কোটি ভারতীয় রুপির মতো ইনকাম করেছে ইউজাররা, যদিও বড় অংশ এ্যাডমিন মডারেটররা করেছেন প্লাস কিউরেটর, যে একাউন্টগুলো আছে কিউরেশনের। তাদের একটা বড় অংশ অর্থাৎ ৫০% সেখানে গিয়েছে। এসবিডি ছিলো তখন ৫০% যায় নি, কিউরেটররা সাধারণত ২৫% এর কম পায় ১২-১৩% এমন। কিন্তু যখন এসবিডি বন্ধ থাকে তখন কিউরেটরা ইনকামের ৫০% পায়। এসবিডিও একটা ভেল্যু আছে আলাদা। দ্বিতীয় বছর এসবিডি অফ ছিলো প্রায় পুরো বছরটা জুড়ে। এবছর ইনকামটা অনেক কম ছিলো। এই বছর কিছুটা সময় এসবিডি পেয়েছি। ইনকামটা আবারো বেশ কিছু বেড়েছে। ২০২৫ এর আগে স্টিম এর দাম উঠার এমন কোন সম্ভাবনা নেই। যা উঠেছিলো মাঝ খানে এটা একটা সার্টেন টাইম ছিলো আসলে। এখন অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির আমাদের সাথে ব্লগিং এ তেমন একটা গুরুত্ব নেই। আমাদের মেইন কাজটা হলো, লিখে যাও পোষ্ট, শেয়ার করে যাও ক্রিয়েটিভিটি আর মজা করো তার সাথে সাথে যা ইনকাম হবে তা একটা বেশ ভালোই ইনকাম হবে।
এসবিডি যদি শতভাগ চালু থাকে জেনারেল ইউজাররা প্রত্যেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবে ২০২৫ সাল নাগাদ, এটা হচ্ছে আমার ক্যালকুলেশন। এখন দেখা যাক কতদূর কি হয়? হালভিং এর পরে আমার প্রেডিকশন ছিলো যে তিন থেকে চার মাস পরে বিটকয়েনের দাম বাড়ায় ইফেক্ট পড়বে। আর সেটা শুরু হলে অল্টকয়েন ফল করবে যেটা এখন চলছে। একদম প্রথামিক পর্যায় দাম বাড়ার, তারপর বিটকয়েন যখন একদম পিক হাইতে উঠে যাবে তখন ওটার ফল শুরু হবে। তখন মানুষ বিটকয়েন বেঁচে দিয়ে অল্ডকয়েন কেনা শুরু করে। তখন অল্টকয়েন উঠবে অর্থাৎ ২০২৫ সালে। তা সেদিকে তাকিয়ে আমরা আশা করেই থাকি। দেখা যাক কতদূর কি দাঁড়ায়? সবাই পোষ্ট করে যান। তারপর দাদা বলেন এখন আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তির কেক কাটবেন বাড়িতে। সবাইকে অনুষ্ঠান এনজয় করতে বলেন দাদা। দাদা যাওয়ার আগে একটা গিভওয়ে দিয়ে যান।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং এবারের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ কমিউনিটির বাছাইকৃত কিছু ইউজারের ভিডিও শুভেচ্ছা, ভিডিও লিংক এর মাধ্যমে উপস্থিত সবাই সেটা উপভোগ করেন। তারপর শুভ ভাই সকলের অনুভূতি জানতে চান। তারপর উপস্থিত ইউজারের মাঝ হতে বাছাইকৃত কিছু ইউজারের অনুভূতি সরাসরি ভাগ করে নেয়ার সুযোগ দেন। সবাই স্টেজে আসেন এবং তৃতীয় বর্ষ পূর্তিতে নিজেদের অনুভূতি ভাগ করে নেন। তবে মাঝে মাঝে আকর্ষণ ছিলো গিভওয়ে নিয়ে।
তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আরিফ ভাইকে আমন্ত্রণ জানান বিশেষ হ্যাংআউটের কুইজ সেগমেন্টটি পরিচালনা করার জন্য। আরিফ ভাইকে সহযোগিতা করেন, কমিউনিটির মডারেটর সিয়াম ভাই, এ্যাডমিন সুমন ভাই এবং আমি। আরিফ ভাই পর পর দশটি কুইজ শেয়ার করেন এবং বিজয়ীদের পরবর্তীতে রিওয়াডর্স পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন। তারপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ হতে একে একে ১১টি কুইজ ধরা হয়, দারুণ আনন্দময় ছিলো এই সেগমেন্টটি। সবাই বেশ এনজয় করেন। সব শেষে এ্যাডমিনদের পক্ষ হতে একটা বড় গিভওয়ে দেয়া হয় এবং প্রথম দিনের আয়োজন সমাপ্ত হয়।
দ্বিতীয় দিনঃ
দ্বিতীয় দিন যথা সময়ে আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট শুরু করা হয়। দ্বিতীয় দিনের হ্যাংআউটের সূচীতে ছিলো ইউজারদের নিয়ে এন্টারটেইন্টমেন্ট আসর, এই দিন উপস্থিত ইউজারের সংখ্যা ছিলো ৭৮ জন যেখানে প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন ৯৪জন। সময় হওয়ার সাথে সাথে শুভ ভাই দাদার অনুমতি নিয়ে হ্যাংআউটের মুল পর্ব শুরু করেন। তারপর সবাইকে যথারীতি সুন্দরভাবে তাকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। এরপর আবারো তৃতীয় বর্ষপূর্তির অফিসিয়াল থিম সং বাজানো হয়।
তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আরিফ ভাইকে আমন্ত্রণ জানান বিশেষ হ্যাংআউটের কুইজ সেগমেন্টটি পরিচালনা করার জন্য। আরিফ ভাইকে সহযোগিতা করেন, কমিউনিটির মডারেটর সিয়াম ভাই, এ্যাডমিন সুমন ভাই এবং আমি। আরিফ ভাই পর পর দশটি কুইজ শেয়ার করেন এবং বিজয়ীদের পরবর্তীতে রিওয়াডর্স পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেন। তারপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ হতে একে একে ১0টি কুইজ ধরা হয়, বেশ আনন্দময় ছিলো সেগমেন্টটি। সবাই বেশ এনজয় করেন যথা নিয়মে।
কুইজ সেগমেন্ট এর পর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। তারপর অনুষ্ঠানসূচী অনুযায়ী এন্টারটেইন্টমেন্ট এর আসর শুরু করেন। গান এবং কবিতা আবৃত্তিতে দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠে এই আসরি। একে একে
@joniprins,
@tithyrani,
@selinasathi1,
@saymaakter,
@neelamsamanta,
@purnima14,
@rayhan111 এবং
@ah-agim কবিতা আবৃত্তি করেন আর
@bristychaki,
@santa14,
@saikat890,
@afrinkhanupoma,
@samhunnahar,
@aongkon,
@limon88,
@tuhin002,
@bristy1,
@mohinahmed,
@nevlu123 এবং
@mahbubul.lemon গান পরিবেশন করেন, দারুণ উপভোগ্য ছিলো এই আসরটি। যদিও ফাঁকে ফাঁকে ছিলো প্রতিষ্ঠাতা দাদা এবং এ্যাডমিন মডারেটরদের পক্ষ হতে গিভওয়ে।
তৃতীয় দিনঃ
তৃতীয় দিন যথা সময়ে আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট শুরু করা হয়। তৃতীয় দিনের হ্যাংআউটের সূচীতে ছিলো অনেকগুলো সেগমেন্ট বিশেষ করে তিনটি প্রতিযোগিতার ফলাফল, এই দিন উপস্থিত ইউজারের সংখ্যা ছিলো ৮১ জন । সময় হওয়ার সাথে সাথে শুভ ভাই দাদার অনুমতি নিয়ে হ্যাংআউটের মুল পর্ব শুরু করেন। তারপর সবাইকে নিয়ে নিয়ে অফিসিয়াল থিম সং উপভোগ করেন।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং সবচেয়ে আকর্ষণীয় সেগমেন্টটি শুরু করেন। তৃতীয় বর্ষপূর্তির আয়োজনে কমিউনিটির এ্যাডমিন মডারেটরদের নিয়ে বিশেষ এন্টারটেইন্টমেন্ট পর্ব। শুরুতে আমি
@hafizullah আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নিজের লেখা কবিতা আবৃত্তি করি। এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন
@winkles ভাই দারুণ শায়েরী শেয়ার করেন, এটা ছিলো ভিন্ন রকমের কিছু। এ্যাডমিন
@nusuranur আপু প্রথমে রেকর্ডকৃত গান শেয়ার করেন কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় লাইভ গান পরিবেশন করেন। অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স)
@rex-sumon সুমন ভাই স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম)
@moh.arif আরিফ ভাইও কবিতা আবৃত্তি করেন। এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং)
@shuvo35 শুভ ভাই যথারীতি গান পরিবেশন করেন। মডারেটর
@alsarzilsiam ভাই স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। মডারেটর
@kingporos ভাইকবিতা আবৃত্তি করেন।
এরপর মডারেটর
@tangera তানজিরা ম্যাডাম তার সময়ে দারুণ একটা গেম পরিচালনা করেন। এটা ছিলো অনুষ্ঠানসূচীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং মজার একটা ইভেন্ট। কাংখিতভাবে আপু তিনজন ইউজার বাছাই করেন এবং গান পরিবেশন করার সুযোগ করে দেন। কিন্তু প্রথম সুযোগ পাওয়া কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা দারুণভাবে ফেঁসে যান এবং তারপর সকলের অনুরোধে রেকর্ডকৃত গান শেয়ার করেন। বেশ মজার গেম ছিলো এটা। এরপর জাফরিন আপুর পক্ষ হতে দারুণ একটা গান পরিবেশন করা হয়। এ্যাডমিন
@swagata21 দিদি গান করেন, দারুণভাবে সবাই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করে সবাই।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং বর্ষসেরা পুরস্কার ঘোষণা করেন বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী। বেস্ট ব্লগার নির্বাচিত হয়েছেন
@monira999 @tasonya @mohinahmed এবং
@ronggin। কোয়ালিটি পোস্টার
@narocky71 @samhunnahar @tania69। বিনোদন গান ও কবিতা
@bristychaki @afrinkhanupoma @aongkon @mahbubul.lemon @selinasathi1 @tithyrani। বেস্ট মন্তব্যকারী
@shimulakter @emon42। ধারাবাহিক পাওয়ার আপ
@tangera । সর্বোচ্চ পাওয়ার আপ
@nevlu123। বেষ্ট কন্ট্রিবিউটর
@rne দাদা। বেষ্ট advisor
@blacks দাদা এবং বেষ্ট supporter
@tanuja বৌদি। সবাইকে নিজের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ দেন শুভ ভাই।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক আয়োজিত ডাইয়া প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন এবং বিজয়ীদের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ করে দেন। এরপর দাদা ফিরে আসেন এবং লোগো প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন। এবার অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো অনেক কম,তবে অধিকাংশের অংশগ্রহণ কাংখিত ছিলো না, এর কারনগুলো দাদা পরবর্তীতে পোষ্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন বলে জানান। এরপর লোগো প্রতিযোগিতার ইউনার এবং রানারআপ এর নাম ঘোষণা করেন। বিজয়ীদের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ দেয়া হয়।
এরপর কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা কর্তৃক আয়োজিত এ্যাডমিন মডারেটরদের বিশেষ ডাইয়া প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন। শুরুতেই দাদা বিজয়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। প্রত্যেকের কাজই সুন্দর হয়েছে বলে দাদা জানান। যদিও দাদার ইচ্ছা ছিলো সবাইকে বিজয়ী করার। একসাথে সবাইকে বিজয়ী করার বিয়ষটি ভালো দেখায় না, তাই দাদা নতুন করে মার্কিং করেন। তারপর প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করেন।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং এই সপ্তাহের সুপার এ্যাকটিভ তালিকা প্রকাশ করেন। তারপর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গিভওয়ের জন্য। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে ইউজারদের জন্য গিভওয়ে চলতে থাকে। এরপর সর্বশেষ সেগমেন্টটি শুরু করার ঘোষণা দেন শুভ ভাই, সেটা হলো আনলিমিটেড ডিজে পার্টি। ডিজে পার্টি শুরু হওয়ার আগে শুভ ভাই পুরো তিন দিনের আয়োজন নিয়ে নিজের অনুভুতি শেয়ার করেন এবং তিনি বিদায় নেন। প্রায় রাত একটা পর্যন্ত চলে ডিজে পাটি আর এটা পরিচালনা করেন কমিউনিটির মডারেটর সিয়াম ভাই।
ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন এবং মডারেটদের, যারা রিপোর্টটি তৈরী করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।
@hafizullah
Community TEAM
@rme ADMIN ✠ Founder 🔯
@blacks ADMIN Co-Founder & Operations Head ♛【IND】
@winkles ADMIN Executive Admin 🇮🇳 ✨
@hafizullah ADMIN Executive Admin 🇧🇩 ✨
@swagata21 ADMIN Community Admin 【IND】
@nusuranur ADMIN Community Admin 🇧🇩 ✨
@rex-sumon ADMIN Regulatory compliance Admin ✨
@moh.arif ADMIN Witness & Dev Team Admin ✨
@shuvo35 ADMIN Social Media & Marketing ✨
@rupok MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@kingporos MOD Community Moderator 🇮🇳 ✨
@alsarzilsiam MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@tangera MOD Community Moderator 🇧🇩 ✨
@abb-school MOD Steem School ✍
@shy-fox MOD Extreme Curator
@amarbanglablog MOD Primary Curator ♛♝
@curators MOD Secondary Curator ♝
@photoman MOD Secondary Curator ♝
@royalmacro MOD Secondary Curator ♝
@abuse-watcher MOD Steem Watcher
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এইবারের ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানটি একেবারেই ভিন্ন মাত্রায় পালন করা হয়েছে। যেখানে অনেক আনন্দ হয়েছে।আর দাদার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পেরেছি, তাছাড়া প্রতিটি সেগমেন্ট সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো হয়েছিল।তানজিরা আপুর গেমটি দারুণ ছিল।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দারুণ উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে তৃতীয় বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউট যেন সবার কাছেই স্পেশাল ছিল। একদম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই জয়েন থাকার চেষ্টা করেছে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করেছে আমিও ঠিক একই ভাবে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি।
৩য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী পুরো অনুষ্ঠান ই ভীষণ উপভোগ্য ছিলো৷ বিশেষ করে তানজিরা আপুর কুইজে দাদার ফেঁসে যাওয়ার সময় টা! অবশেষে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর দাদার রেকর্ডেট গান শোনার সুযোগ পাওয়া আমাদের সকলের জন্যই বিশাল বড় পাওনা ছিলো! ❤️❤️ তানজিরা আপুকে আবারো ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা। 🙏❤️
তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ হ্যাং আউট অনুষ্ঠানটি দারুন উপভোগ করেছিলাম।যদিও কারণবশত দ্বিতীয় দিন থাকতে পারিনি তবে বাকি দুইদিন বেশ উপভোগ করেছিলাম।আপনি সবগুলো সেগমেন্ট জাস্ট অসাধারণ করে বর্ণনা করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ হ্যাংআউট হয়েছে তিন দিন পর্যন্ত। এই তিন দিন সত্যি খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম আমরা সবাই একসাথে। বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেটেছে এই তিনটা দিন। যেগুলো কখনোই ভুলতে পারবো না আমরা চাইলেও। এই দিনগুলোর কথা সারা জীবনই মনে থেকে যাবে। আসলে এখানে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত সারা জীবন মনে থাকবে। আপনি পর্বের মাধ্যমে এই তিনদিনের হ্যাংআউট আমাদের মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এটা সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউটে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হয়েছিল।তিনদিনই খুব বেশী ইনজয় করেছিলাম।তবে বেশী ভালো লেগেছে আমার ৩য় দিনে।কারন এই দিনটিতে বড় দাদা,এডমিন মডারেটর ভাইয়া ও আপুর গান,কবিতায় অনেক বেশী ভালো লেগেছিল।দাদার গান আমি ডাউনলোড করে রেখেছিলাম।ওই সময়টাতে আমি শুনতে পাইনি।পরের দিন শুনেছিলাম।আমার মনেই হয়নি গানটি দাদা গেয়েছেন।সত্যি দারুন লেগেছে গানটি।বছর ঘুরে আমরা আবার আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে চাই।আল্লাহ সে পর্যন্ত নেক হায়াত দান করুন সবাইকে,আমিন।
প্রথমবার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা। টানা তিনদিনের উল্লাস বেশ লাগল৷ নিজেও পার্টিসিপেট করলাম। কবিতা পড়ব ভেবেই অংশগ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু সবার সাথে আনন্দে গা ভাসাতে গিয়ে গানও গেয়ে ফেললাম। আমার বাংলা ব্লগের জন্য অনেক শুভকামনা। ভালো থাকুন সবাই৷
এবারের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। প্রতিটি সেগমেন্ট ভীষণ উপভোগ করেছি। দাদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন। বর্ষসেরা ব্লগার নির্বাচিত হয়েছি বলে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। তাছাড়া অনেক দিন পর বিনোদন পর্বে অংশগ্রহণ করলাম। যাইহোক এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।