প্রকৃতির সাথে অনুভূতির কথামালা || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং ফাল্গুনের সুন্দর মুহুর্তগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করছেন। এই সময়টা সত্যি দারুন ভালো লাগে, প্রকৃতির চারপাশের দৃশ্যগুলো কেমন জানি মুগ্ধকর হয়ে উঠে, ফুলে ফুলে চারপাশটা ভরে উঠে এবং মুগ্ধকর পরিবেশে হৃদয় আন্দোলিত হতে থাকে। সত্যি বলতে আমাদের ঋতুগুলো বেশ বৈচিত্রময় এবং প্রতিটি ঋতুর মাঝেই দারুণ একটা আকর্ষন থাকে। যদিও পরিবেশের পরিবর্তনের কারনে তেমনটা আর আগের মতো পরিলক্ষিত হয় না, কিন্তু তবুও একটা ভালো লাগা এখনো কাজ করে।
আজকে প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো আর তার সাথে যথারীতি নিজের অনুভূতির কথামালা। আমার বাংলা ব্লগের বিশেষ আয়োজন রবিবারের আড্ডার অতিথি এমরান হাসান ভাই তার সেশনের সময় দারুণ একটা কথা বলেছিলেন, আজকে সেই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো। আমরা ছোট বেলায় একটা কথা বেশ শুনতাম, প্রতিটি শিশু হলো কোমল হৃদয়ের, তাদের যেভাবে শেখানো হবে বা যে শিক্ষাটা তখন দেয়া হবে সেটা সে সারা জীবনের জন্য আয়ত্ব করে নিবে। কিন্তু যখন যে বড় হবে, তার সাথে সাথে তার হৃদয়টাও শক্ত হতে শুরু করবে, তাই যা শেখানোর ঐ কোমল হৃদয় থাকা অবস্থায় সেখাতে হবে। এটা যে শুধু শুনতাম তা কিন্তু না বরং এর বাস্তবায়নও অনেক দেখেছি। যার কারনে আগের দিনের মাতা-পিতারা খুব চেষ্টা করতেন শিশু থাকা অবস্থায় তাদের ভালো অভ্যেসগুলো গড়ে তোলার জন্য।
যদিও বর্তমান মাতা-পিতারাও সচেতন কিন্তু পূর্বের মতো অতো বেশী যত্নশীল না, এখনকার শিশুরা কোন কিছুর জন্য বায়না করার সাথে সাথেই সেটা পেয়ে যায়, কোন বিষয়ে কান্না জুড়ে দিলেই সেটা হাসিল হয়ে যায় আগে কিন্তু এমনটা হতো না। যার কারনে সেই কোমল হৃদয়ের শিশুরা এই বিষয়টি ভালোভাবেই বুঝে যায় যে, কান্না কিংবা জেদ করলেই কোন কিছু খুব সহজেই হাসিল করা যায়, আর এই জন্য এটা তারা নিয়মিত নিজেদের চাহিদা পূরণ করার জন্য করে থাকে। এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি, একবার এক মুরুব্বী আমাকে এই কথাটা বলেছিলো, খারাপ কিছুর জন্য যদি বাচ্চারা কান্না করে তাহলে কি আপনি সে জিনিষটি তাকে দিবেন? আমি বললাম না, তখন তিনি উত্তর দিলেন তাহলে বর্তমান বাবা-মা’রা কেন এই বিষয়টি বুঝতে চান না। দেখুন আপনার সন্তান আগুনে হাত দিতে চাচ্ছে, সে জানে না আগুনে হাত দিলে কি হবে? এখন সে যদি কান্না করে আগুনে হাত দেয়ার জন্য আপনি তার কান্না দেখে কি তাকে আগুনে হাত দেয়ার সুযোগ করে দিবেন?
খুব সুন্দর যুক্তিযুক্ত এবং কঠিন একটা প্রশ্ন করেছেন, সত্যিইতো, আমরা যদি এই বিষয়টি খুব সহজেই বুঝতে পারি তাহলে বাকি বিষয়গুলো কেন বুঝতে পারি না? নাকি আমরা বাকি বিষয়গুলো বুঝার চেষ্টা করি না? সে যাইহোক বাস্তবতা সর্বদা ভিন্ন থাকে আমরা যা করি বা শিখি তার সাথে আমাদের বাস্তবতার বিস্তর ফারাক থাকে। এখন আসি এমরান হাসান ভাইয়ের কথায়, হৃদয় অনেকটা নরম মাটির মতো, তাকে দিয়ে যা চাইবেন সেটাই করাতে পারবেন। কিন্তু সেটা যদি শুকিয়ে যায় কিংবা শক্ত হয়ে যায় তাহলে কিন্তু কিছুই করানো সম্ভব হবে না, বরং জোর করার ফলে সেটা ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হবে। হ্যা, এই বিষয়টিতেও আমি একমত, তবে সেটার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, সেই সময়টা পার হয়ে গেলে সেটা কিন্তু আর সম্ভব না। এখন আসি সেই সময়টা কখন? ধরুন আপনি স্টিমিটে নতুন জয়েন করলেন, স্টিমিট সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না?
এই অবস্থায় স্টিমিটের প্রতি আপনার একটা আগ্রহ তৈরী হবে এবং এই ক্ষেত্রে আপনার হৃদয় কাঁচা মাটির মতো নরম থাকবে। এই সময়টায় আপনি যা শিখতে চাইবেন বা যা সেখার চেষ্টা করবেন, স্টিমিটে আপনি যতদিন থাকবেন ততোদিন এই বিষয়গুলো আপনার স্মরণে থাকবে, কিন্তু আপনি যদি প্রাথমিক অবস্থাটা কোনভাবে পার করে দেন, তারপর আপনার মনের মাঝে ইনকাম করার একটা লোভ জাগ্রত হয়ে উঠে তাহলে কিন্তু আস্তে আস্তে আপনার মনটি শক্ত হয়ে যাবে এবং তখন ভালো কিছু শেখার পরিবর্তে ভিন্ন পথে বেশী ইনকাম করার আগ্রহ বেশী থাকবে। এটাই বাস্তবতা। সুতরাং যে কোন ক্ষেত্রে নতুন অবস্থায় আপনার মন থাকে কোমল আর সেই সময়টা যদি আপনি ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে আপনার যাত্রা কিংবা জার্নিটা আরো বেশী সুন্দর ও সফলময় হয়ে উঠবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আশা করছি আজকের বিষয়টির সাথে আমার অনুভূতিগুলো আপনাদের বোধগম্য হয়েছে। অবশ্য আপনাদের মাঝে ভিন্ন অনুভূতি থাকলে কিংবা আপনারা আমার সাথে সহমত পোষণ না করলেও নিজেদের অনুভূতিগুলো নিঃসংকোচে প্রকাশ করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই স্বাগতম জানাবো। সবশেষে পুনরায় আশা প্রকাশ করছি আজকের ফটোগ্রাফিগুলোও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে, দৃশ্যগুলো আমাদের গ্রামের বাড়ীর কাঁচা সড়ক হতে ক্যাপচার করেছি।
তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ইমরান হাসান ভাইয়ের কথাগুলো সেদিন সত্যিই অনেক ভাল ছিল। আসলে যখন আমরা ছোট থাকি তখন আমাদের হৃদয় অনেক কোমল থাকে। তখন আমরা যেভাবেই নিজের মানসিকতা গড়ে তুলি। কিংবা সেভাবেই মানসিকতা গড়ে ওঠে। আর এর জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয় বাবা-মায়ের এবং পরিবারের লোকজনদের। আসলে বাচ্চারা জেদ করলে সেটা যদি অন্যায় আবদার হয় কিংবা অপ্রয়োজনীয় হয় তাহলে কখনোই পূর্ণ করা উচিত নয়। তেমনি প্রত্যেকটি সেক্টরেই আমরা যদি শুরু থেকে নিজের মানসিকতাকে সেট করে নেই এবং সেভাবেই চলার চেষ্টা করি তাহলে সবকিছুই সুন্দর হবে। আপনার লেখাগুলো পড়ে দারুন লাগলো ভাইয়া।
জ্বী সেটাই, কিন্তু দেখুন বর্তমান প্রজন্মের বাবা-মা’রা সন্তানদের প্রতিটি জেদ পূর্ণ করে থাকেন যার কারনে সন্তানরা এই রকম হচ্ছে।
এক একটা কথার সাথে এক একটা কথা মিলিয়ে দারুন উদাহরণ দিলেন ভাইয়া। বেশ ভালো লাগলো আমার, আপনার আজকের পোস্ট পড়ে। আসলে এটা ঠিক ভাই ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদেরকে যা শেখানো হবে তারা আজীবন সেই শিক্ষাটা বহন করে চলবে। যেকোনো কাজের শুরুতেই যদি জানার এবং শেখার আগ্রহ থেকে এগিয়ে যাওয়া যায় তাহলে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। লোভ কখনোই ভালো কিছু বয়ে আনে না। তবে আপনার কথাগুলো পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আর ফটোগ্রাফি গুলোও দারুন ছিল।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। বাস্তবতা আমাদের অনেক কিছু শেখার সুযোগ করে দেয় কিন্তু আমরা সত্যি সবগুলো শিখতে বা গ্রহণ করতে পারি না।
বসন্তের আঁচর ফুল ফুটবে না তা কি করে হয় ।চারিদিকে বিভিন্ন ফুলের সমারহ দ্বারা বেষ্টিত অনেক জায়গায় গিয়েছি সুন্দর সুন্দর ফুলের দৃশ্য ভালোই উপভোগ করেছি। এমনকি মাঠে গিয়ে বন্যফুলের দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে মিস করি নাই। যাইহোক, আজকে দারুন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আমাদের ছোট্টবেলা শিশু কালে কোমল হৃদয় থাকে বর্তমান যুগে বাচ্চারা কোন কিছু আবদার করার আগেই পেয়ে যায় কিন্তু আমাদের সময় তা হতো না ।অনেক কান্নাকাটির পরেও অনেক সময় অনেক কিছু পাই নাই । এই প্লাটফর্মে আমাদের ইনকাম করা বা টাকা পয়সা রোজগার করার চাহিদা বেশি থাকলে হয়তো অনেক কিছু জানতে পারবো না সেজন্য শিক্ষা অনেক বড় একটা বিষয় সেই দিকে অগ্রসর হলে সব কিছুই পাওয়া যাবে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন ফাল্গুন মাসের প্রকৃতি সত্যি যেন মনোমুগ্ধকর।ইমরান হাসান ভাইয়ের কথা গুলো একদম ঠিক ছোট থেকে আমাদের বাবা মা আমাদের যা শেখান আমরা ব্যক্তি জীবনে বড় হয়ে সেই শিক্ষা অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করি।এখনকার বাবা মা'রা সচেতন কথাটা যেমন ঠিক তেমনি তাদের ভুল ও আছে।ছোট বাচ্চারা বায়না করার সাথে সাথেই এখন তাদের সব ইচ্ছা পূরণ এখনকার গার্ডিয়ান দের জন্য একটা বিরাট রকমের ভুল।যাইহোক প্রতিটি কথা বাস্তবসম্মত এবং যৌক্তিক ছিল ভাইয়া।দারুন ফটোগ্রাফির সাথে কথাগুলো চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার হৃদয় শক্ত হয়ে গেলে ঠান্ডা ফ্রিজের পানি দিয়ে ঘন্টা খানিক ভিজিয়ে রাখবো, তাহলেই নরম হয়ে যাবে🤪🤪।যাই হোক ইমরান ভাই এর আড্ডার সময় আমি ছিলাম না, তবে কথা গুলো বাস্তব।আমরা যে কোন কিছু শুরুতেই ভালো করে শিখলে পরবর্তীতে সমস্যা হয় না।যখন পুরোনো হয়ে যাই তখন শেখার আগ্রহ কমে হয়।আসলে কষ্ট করে অর্জন করা সব কিছুর মাঝে শান্তি আছে।প্রতিটি কথাই বেশ সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে
আমি এটা কমবেশি জানি ভাই শুনে যে বাবা-মা ছোটকাল থেকে বাচ্চাদের যে শিক্ষাটা দেয় শিক্ষাটা এই ছেলেরা বেশি গ্রহণ করে থাকে। তবে আমাদের চারপাশে যা অবস্থা তাতে সন্তানের শিক্ষা দেয়ার পরেও তাদেরকে নিজেদের কন্ট্রোলে রাখা অনেক কঠিন। তবে কাঁদা কে যেমন কাঁচা কালে অনেক কিছু বানানো সম্ভব, ঠিক তেমনি ছোটকাল থেকে বাচ্চাদেরকে অনেক কিছু বানানো সম্ভব। যেটা বড় হয়ে গেলে আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
প্রথম কথা হলো অনেকদিন পর কলাগাছের ছবি দেখলাম! শেষ কবে দেখেছি মনেও নেই! যায়হোক, মুরব্বির সাথে আমিও একমত! বর্তমান ছেলে মেয়েরা চাওয়ার আগেই সেটা পেয়ে যায়! আর তাদের পিতা মাতা তাদের সেটা দিয়েও দেয়। এর ফল কিন্তু ভালো হয়নি! তাদের মধ্যে এটকা টেনডেন্সি কাজ করে তখন! আমার চাই! না পেলে শুরু করে কান্না! যতক্ষণ না দিবে ততক্ষণ কান্না থামে না। অথচ আমরা সারাদিন কান্না করেও মা-বাবাদের কাছ থেকে কিছু পায়নি! যা পেয়েছি সেটা দিয়ে আবার সন্তুষ্ট থেকেছি। আর এমরান হাসান ভাইয়ের কথাটাও যুক্তিযুক্ত ছিল। মানুষের হৃদয় প্রাথমিক অবস্থায় কোমল হৃদয়ের মতো থাকে! সেটাকে যেভাবে গড়ে তোলা সেটা কিন্তু সে আকারেই ধারণ করে! প্রাথমিক অবস্থায়ই যদি আর্নিং করার চিন্তাভাবনা এসে যায় তাহলে সে হৃদয় হয়ে যায় শক্ত। মাঝে মাঝে ইটের মতো আচরণ করে!