হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো এবং সুস্থ আছেন। অবশ্য ভালো থাকতে পারাই আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদিও আমি এর আগে বলেছিলাম আজকাল টাকা দিয়ে সব হয়। কিন্তু এখানেও একটা ফাঁক রয়েগেছে সেটা হলো মানসিকভাবে ভালো থাকা যায় না। কারন সেটা আত্মিক ব্যাপার আর সেটা আসে মনের প্রশান্তি হতে, ক্ষমতা কিংবা নেতৃত্বের সফলতা নিয়ে না। আসলেই টাকা দিয়ে ক্ষমতা কিংবা নেতৃত্ব কেনা যায়, হয়তো সবই পাওয়া যায় কিন্তু সম্মান কিংবা মানসিকভাবে ভালো থাকাটা হয় না। যাইহোক, এসব কথা অন্য কোন দিন বলা যাবে, আজকে চলুন অনুভূতির গল্প শুনি হৃদয়ের টানে কলকাতা। আজ সেটার ১৪তম পর্ব শেয়ার করবো এবং সেটা হলো ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি আর ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি দুটো কখনোই এক হতে পারে না, কারন একটাতে হয়তো সৌন্দর্য কিংবা ক্রিয়েটিভিটির নিদর্শন থাকে কিন্তু এখানে যেগুলো শেয়ার করবো সেগুলোর মাঝে লুকিয়ে আছে ভারত উপমহাদেশের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাঙালীর জাতীয় মূল। বলা হয়ে থাকে প্রতিটি জাতির মূল খুঁজে পাওয়ার প্রধান উৎস হলো সেই জাতির অতীত নিদর্শন সমূহ। আর এই কারণেই প্রতিটি জাতি তার অতীত নিদর্শন সমূহ যত্নে আগলে রাখে। অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে সেটা করতে হবেই। পৃথিবীর প্রতিটি দেশই বেশ গুরুত্ব দিয়ে এই রকম মিউজিয়াম তৈরী করে থাকে এবং সেগুলোকে সযত্নে আগলে রাখে।
আমরা যখন ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ভেতরে ঢুকি তখন অন্য রকম একটা অনুভূতি বিড়াজ করতেছিলো, যদিও আমাদের হাতে সময় কম ছিলো এবং দ্রুত সেটা দেখে বাহিরে আসার তাড়া ছিলো। কিন্তু তবুও ভেতরে ঢুকেই বিশাল সাইজের কতগুলো মূর্তি দেখে অবাক হয়ে যাই, মনে হচ্ছিল অতীতের মাঝে আমরা হারিয়ে যাচ্ছি, নিদর্শনগুলোর মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। সেই অতীতের নিদর্শনগুলো কতটা যত্নে এখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ভালো লেগেছে এখানে ফটোগ্রাফি করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা এক প্রকাশ স্মৃতি হিসেবেই আমার কাছে থেকে যাবে। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের নিকটও ভালো লাগবে।
চিত্রঃ দন্ডায়মান বুদ্ধ
চিত্রঃ ভূমিষ্পর্শ মুদ্রায় বুদ্ধ
চিত্রঃ দন্ডায়মান অবলোকিতেশ্বর
চিত্রঃ বরাহবতার (বিষ্ণুর বরাহ রূপ)
চিত্রঃ শিবের গজাসুর সংহার মূর্তি
চিত্রঃ অষ্টাভূজা দূর্গা
চিত্রঃ মৈত্রেয়
চিত্রঃ অবলোকিতেশ্বর
উপরের দৃশ্যগুলো সব বাহির হতে ক্যাপচার করা হয়েছে। বিল্ডিং এর বারান্দায় এগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছিলো। তারপর আমরা এক এক করে প্রতিটি রুমে প্রবেশ করি এবং আরো সুন্দর সুন্দর দৃশ্য ক্যাপচার করার চেষ্টা করি।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলকাতার ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম হতে বেশ সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে আপনি সর্বমোট ১৬টি ছবি শেয়ার করেছেন। আসলে আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফির মাঝে লুকিয়ে আছে ভারত উপমহাদেশের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাঙালীর জাতীয় মূল। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর আর মূল্যবান ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রিয় ভাইয়া, আপনার হৃদয়ের টানে কলকাতা ভ্রমণের ১৪তম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর ভিতরে ঢুকার অনুভূতি নিঃসন্দেহে ইউনিক ছিল আপনার। ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।