অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-২৫)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। যদিও পরিবেশটা এখন কিছুটা ভালো দিকের আছে কারন সামনে শীতকাল তার পূর্বেই পরিবেশের মাঝে কিছুটা হলেও শীতের আবাস পাওয়া যাচ্ছে। সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার পরে বাহিরে বের হলেই হালকা শীতলতা অনুভব করা যায়। বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষ শেষ রাতের দিকে বেশ টের পাচ্ছেন শীত আসছে এবং শীতের শীতলতার অনুভূতি পাচ্ছেন। তাই আশা করতে পারি আগামী কয়েক মাস স্বাভাবিকভাবেই প্রকৃতি সুন্দর ও শীতল থাকবে এবং বেশ সুন্দর সময় পার করতে পারবো আমরা।
আজকে অবশ্য অনুভূতির গল্প শেয়ার করবো না না অনুভূতির সেই গল্প না বরং কলকাতা ভ্রমনের অনুভূতির গল্প শেয়ার করবো। আজকে শেয়ার কররো এই সিরিজের ২৫তম পর্ব, গত পর্বে আমি বলেছিলাম পরের পর্বে হাওড়া ব্রিজের দৃশ্য এবং অনুভূতি শেয়ার করবো। সত্যি বলতে এটা ছিলো আমাদের নিকট সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটা বিষয়, যদিও সেদিন আমরা বেশ ব্যস্ত সময় পাড় করেছিলাম এবং অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান ভিজিট করেছিলাম। সেদিন আবহাওয়া কিছুটা বৃষ্টিময় ছিলো এবং আমরা যখন ইন্ডিয়া মিউজিয়াম ভিজিট করে বের হয়েছিলাম তখন হালকা বৃষ্টিও পড়তেছিলো। কিন্তু তবুও আমরা হাওড়া ব্রিজ দেখার বিষয়টি বাদ দিতে চাই নাই।
এটা হুগলি নদীর উপর তৈরী করা এবং কোন ধরনের পিলার ছাড়া ক্যান্টিলিভার একটা ব্রিজ, যা দেখতে যেমন সুন্দর এবং আকর্ষণীয়, ঠিক তেমনি প্রতিদিন বিশ্বের ভিবিন্ন প্রান্ত হতে হাজার হাজার মানুষ এখানে ছুটে আছেন সুন্দর কিছু মুহুর্ত উপভোগ করার জন্য। আসলে এখানে গিয়ে সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছিলাম এটা জেনে যে, এই ব্রিজে কোন ধরনের নাট বল্টু ব্যবহার করা হয় নাই। আমি পত্রিকা ঘেটেও এটা চেক করেছিলাম। তাহলে বুঝেন এই রকম সুন্দর পরিবেশের মাঝে সুন্দর একটা ব্রিজ দেখার আগ্রহ কেন মানুষের মাঝে তৈরী হবে না। গতিশীল গাড়ি গতি নিয়ে ছুটে যাচ্ছে আর তার পাশে দাঁড়িয়েই মানুষ তার সৌন্দর্য উপভোগ করছে এবং ক্যামেরা মাধ্যমে দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করছেন।
আমরা গাড়ি হতে একটু দূরেই নেমেছিলাম, তারপর কিংপ্রস ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় হাঁটতে শুরু করলাম। যদিও একটা সময় আমার হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিলো। এটা শুনে সুমন ভাই তার স্যান্ডেল আমাকে দিয়ে আমার স্যান্ডেল তিনি নিলেন যাতে আমার হাঁটতে সুবিধা হয়। আমরা ব্রিজটির সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সাথে সাথে ফটোগ্রাফি করলাম ইচ্ছে মতো। তখনও দেখতেছিলাম বেশ সংখ্যায় বিদেশী নিজেদের ক্যামেরা সাহায্যে ব্রিজের উপরের দৃশ্য ক্যাপচার করছেন। আমরা হেঁটে পুরো ব্রিজটা পার হলাম। উপর হতে নদীর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করলাম। তারপর আরো সুন্দর কিছু মুহুর্ত দেখার জন্য লঞ্চে উঠার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিকে হাঁটা শুরু করলাম। পরের পর্বে সেই দৃশ্যগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলকাতা গেলেন আর হাওড়া ব্রিজ যাবেন না তাই কি হয়। হৃদয়ের টানে কলকাতা - পর্ব -২৫ শে হাওড়া ব্রিজ গেলেন।সেখানে গিয়ে নদীর ও তার চারপাশের পরিবেশ বিশেষ করে ব্রিজটির সৌন্দর্য সবাই মিলে উপভোগ করলেন।আবার লঞ্চে ও উঠেছেন নদীর সৌন্দর্য দেখতে? তবে তো কোনটাই বাদ পরেনি।ভালোই উপভোগ করেছেন। হয়তো সামনের দিনে দেখতে পাবো।সব সময় হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া ব্রিজ নাম শুনেছি।মুভিতে দেখেছি।কিন্তু কাছে গিয়ে দেখা হয়নি।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আবার দেখতে পেলাম।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সত্যি এটা কিভাবে হয় হি হি হি। দারুণ দারুণভাবে হাওড়া ব্রিজ উপভোগ করেছি, বিশেষ করে রাতের দৃশ্যগুলো বেশী আকৃষ্ট করেছিলো।
সত্যি ভাইয়া এখন শেষ রাতের দিকে বেশ শীত পরে। আর ফ্যান ছেড়ে দিয়ে ঘুমালে শেষে কম্বল খুঁজতে হয় 😅। হাওড়া ব্রিজের দৃশ্য দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। বিভিন্ন সিনেমায় এই ব্রিজ দেখেছিলাম। কিন্তু এভাবে কখনো দেখা হয়নি। অনেক ভালো লেগেছে আপনার এই পোস্ট দেখে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সকালে ভোরে উঠলে টের পাওয়া যায় বাহিরে শীত কেমন আছে, তবে শীতের আগমনি বার্তা দারুণভাবে প্রকৃতি ও মনকে আরো বেশী সতেজ করে তুলছে।
কলকাতার হাওড়া ব্রীজ দর্শনার্থীদের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি জায়গা। আমি যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম, তখন খুব ইচ্ছে ছিলো হাওড়া ব্রীজ দেখতে যাওয়ার। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য যাওয়া হয়নি। আপনারা এতো ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও সেখানে গিয়েছিলেন,জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই।
এই ব্যাপারটা ভাবলে আসলেই অদ্ভুত লাগে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
হুম এখন অবশ্য হাওড়া ব্রিজ আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সুন্দর লাইটিং এর কারনে, কালতো দেখলাম পূজো উপলক্ষে বেশ সুন্দর করে আলপনা এঁকে সাজানো হয়েছে।