প্রযুক্তি মানুষকে শুধু দূরে ঠেলে দেয় না কাছেও টানে || Original Photography by @hafizullah

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং ভালো থাকার চেষ্টায় আরো বেশী সচেষ্ট আছেন। আসলে কি করবো বা করতে পারবো সেটা বড় কথা না বরং কথা হলো কি করার বা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছি সেটা। হ্যা, এটা সত্যি যে চেষ্টার শেষে ফলাফলটা যদি কাংখিত না হয় তাহলে মানসিকভাবে দারুণ একটা আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। কিন্তু আমরা যদি সেই কাংখিত বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে হয়তো না পাওয়ার আঘাতটা অতোটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে না এবং মানসিকভাবে হাতাশা হওয়ার পথ তৈরী হবে না, এটা আমার নিজস্ব মতামত মাত্র।

আজকে অবশ্য আবারও সেই সময় নিয়ে কথা বলবো, কারন সময় অত্যন্ত দামী এবং সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবনটাও দামী হয়ে উঠতে পারে যদি আমরা সেই সময়গুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি। কারণ সময়ের সাথে সাথে চারপাশের পরিবেশ দারুণভাবে পরিবর্তন হচ্ছে, পরিবর্ধন হচ্ছে এবং আরো বেশী কাস্টমাইজ হচ্ছে। সুতরাং আমরা যদি সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারি নিজেদের, তাহলে হয়তো অনেক কিছু আমাদের জন্য সহজ হয়ে যাবে এবং অনেক লক্ষ্য খুব সহজেই পূরণ করা সম্ভব হবে। হ্যা, সময়ের সব পরিবর্তন যে আমাদের জন্য উপকারী হয় বা হবে সেটা কিন্তু আমি বলছি না। তবে ভালো বিষয়গুলোকে যদি আমরা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারি, তাহলে হয়তো সেটা আমাদের জন্য কাংখিত ফলাফল নিশ্চিত করতে পারবে।

এই সময়ের ক্ষেত্রে কিন্তু নানা ধরনের বিষয় আছে যেটাকে আবার আমরা কাংখিতভাবে গ্রহণ করতে পারছি না। যেমন ধরুন বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির নানা উৎকর্ষতা এবং এর নানাবিদ ব্যবহার। বিশেষভাবে স্মার্টফোন, আমরা হয়তো নানাভাবে একটা বিষয় উচ্চরণ করে থাকি, সেটা হলো সম্পর্কের ক্ষেত্রে দারুণ ভাঙ্গন তৈরী করছে এই স্মার্ট, প্রিয় মানুষগুলোর নিকট হতে অনুভূতির দিক হতে অনেক বেশী দূরত্ব তৈরী করছে, পাশাপাশি থেকেও একটা অদৃশ্য দেয়াল তৈরী হয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝে। অনেকেই তো সরাসরি বলে দেন, স্মার্টফোন আর ইন্টারনেরে কারনে সম্পর্কগুলো দুর্বল হচ্ছে এবং একে অন্যের নিকট হতে দূরে সরে যাচ্ছে।

হয়তো এটা অনেকটাই সত্য, আবার হয়তো অনেকটাই মিথ্যে, কারন আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট ডিভাইসগুলোর ব্যবহারের কারনে আমরা যেমন বিশ্বের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষগুলোর সাথে সহজেই সংযোগ তৈরী করতে পারছি, ঠিক তেমনি অজানা অনেক কিছুই জানার সুযোগ নিতে পারছি, নতুন অভিজ্ঞতা কিংবা অনুভূতি তৈরীর সুযোগ পাচ্ছি। আসলে প্রতিটি বস্তুর দুইটি দিক থাকে, তার একটা যেমন ভালো হতে পারে ঠিক তেমনি অন্যটি খারাপও হতে পারে, এখন আপনি আমি কোনটা গ্রহণ করবো সেটা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। আমিতো মনে করি ভালো মনের মানুষগুলো সর্বদা ভালোর দিকেই থাকে, আর খারাপ মনের মানুষগুলো সর্বদা ভিন্ন দিকে।

যাইহোক, মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসছি, মানে যেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আজকের এই লেখাটা সেটার দিকে আসছি। এই স্মার্ট ডিভাইসের কল্যাণেই কিন্তু নতুন নতুন সম্পর্ক তৈরী হচ্ছে, নতুন নতুন মানুষদের সাথে মেশার সুযোগ তৈরী হচ্ছে। এইতো সেদিন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন শুভ ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত হলো, এটা কিন্তু মোটেও প্রত্যাশিত ছিলো না কিন্তু সেটা সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও নতুন সুযোগের কারনে। নতুন একটা সম্পর্ক তৈরী করার সুযোগ তৈরী হয়েছে এই প্রযুক্তির কারনেই কিন্তু। তাইতো আমি এটা কখনো মনে করি না প্রযুক্তি সম্পর্কের মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং একে অন্যের নিকট হতে অনেক বেশী দূরে সড়ে যাচ্ছে। হ্যা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মানসিকতার দারুণ পরিবর্তন হচ্ছে, আর সেটাও কিন্তু আমাদের ইচ্ছায় হচ্ছে অনিচ্ছায় না।

শুভ ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতটা সত্যি দারুণ কিছু অনুভূতি তৈরীর সুযোগ করে দিয়েছে আমাকে, হ্যা, নতুন কারো সাথে সাক্ষাত মানেই তার সম্পর্কে নতুনভাবে আরো কিছু জানার সুযোগ পাওয়া, আর একজন ব্যক্তির ব্যাপারে আমরা যত বেশী জানতে পারবো, তার কাছাকাছি কিংবা সম্পর্ক মজবুত করার ততো বেশী সুযোগ পাবো। এই সুযোগটা কিন্তু প্রযুক্তিই আমাকে আরো ভালোভাবে এনে দিতে পারে। আসলে বিষয়টি বুঝানোর জন্যই এখানে আপনাদের নিয়ে আসছি। প্রযুক্তি উৎকর্ষতা আসে ভালো বিষয়টি মাথায় রেখে কিন্তু আমরা যদি তার উল্টো দিকটা ব্যবহারে বেশী মনোযোগি থাকি তাহলে সেই দোষটা অন্তত্য প্রযুক্তিকে দেয়া যায় না, আমার দৃষ্টিকোন এটাই বলে। হ্যা, আপনার ভিন্ন দৃষ্টিকোন থাকতেই পারে, সেটাকে কিন্তু আমি অস্বীকার করছি না।

বেশ ভালো কিছু মুহুর্ত উপভোগ করেছিলাম সেদিন শুভ ভাইয়ের সাথে, তারপর কিছুটা সময় এসকেএস শপিং সেন্টারে ছিলাম এবং সুযোগে কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম, তার মাঝ হতে কিছু দৃশ্য আজ শেয়ার করে নিলাম। আশা করছি দৃশ্যগুলো আপনাদের নিকট ভালো লাগবে।