কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণ (পর্ব-৩)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। যদিও চারপাশের পরিস্থিতির একটা প্রভাব আমাদের মানসিকতার উপর পড়ে এবং তার কারণে হয়তো সব সময় চঞ্চল থাকাও সম্ভব হয় না। তবুও আমাদের চেষ্টায় গতিশীল থাকতে হবে, সুন্দর মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। যাইহোক, আজকে কক্সবাজার- অনুভূতির সতেজতায় আনন্দ ভ্রমণের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো।
ভোরের সেই স্নিগ্ধতা ছাড়ানো মুগ্ধকর দৃশ্যগুলো দেখার পর আর ঘুমাতে পারি নাই। তারপর জানালা দিয়ে প্রকৃতির দৃশ্যগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। সবুজ মাঠ, কৃষি জমি, খাল আবার কোথায় কোথায় সবুজ গাছের সারি সারি। দৃশ্যগুলো সত্যি বেশ মুগ্ধকর ছিলো। ট্রেনে ভ্রমণ করার এই একটা মজা, দারুণভাবে বাহিরে প্রকৃতি ও সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। রোদ উঠার আগ পর্যন্ত পরিবেশটা বেশ শান্ত এবং শীতল ছিলো, যা প্রকৃতির প্রতি আকর্ষণটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিলো। মুলত সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত এই রকম পরিবেশ ছিলো। কিন্তু সূর্য উঠার পর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
আমি কিন্তু খুব একটা ট্রেনে ভ্রমণ করি নাই, কেন জানি আমার মাঝে কখনো ট্রেনে ভ্রমণ করার আগ্রহ হতো না। এক বন্ধুর বাড়ি গফরগাঁও ছিলো সেই সুবাধে দুইবার ট্রেনে ভ্রমণ করেছিলাম সেখানে যাওয়ার জন্য। সত্যি বলতে ভালো লাগে না আমার কাছে ট্রেনের শব্দটা। আর কলকাতা থেকে ফেরার সময় ট্রেনে ফিরেছিলাম, বাংলাদেশ বর্ডারে প্রবেশ করার পর সেটার মজাও চলে গিয়েছিলো, এতো আস্তে এবং ধীরে ধীরে ট্রেন চলেছিলো তার অনুভূতি না প্রকাশ করাই ভালো। পরে না আবার দেশ বিরোধী হয়ে যাই হি হি হি। তবে ইন্ডিয়ার ভেতরে যতটা পথ ছিলো সেখানে ট্রেনের বেশ গতি ছিলো। সেই তুলনায় আমাদের দেশের ট্রেনগুলো গতি অনেক কম। কক্সবাজার যাওয়ার সময়েও একই অবস্থা ছিলো, মাঝে মাঝে একটু স্পিড বাড়তো আবার সেটা খুব দ্রুত হ্রাস পেতো।
ট্রেন ছুটছে আর গন্তব্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি, ধীরগতি হোক কিংবা বেশী স্পিড থাকুক, দেশের ট্রেন তবুও সেটা ভালো। কারন বাসে হলে হয়তো রিস্কটা একটু বেশী হয়ে যেতো, কষ্টও অনেক বেশী হতো, সেই তুলনায় অনেক বেশী নিরাপদ এবং ভালো ছিলো। প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে করতে যানজটযুক্ত পরিবেশে যেতে পারছি না, অন্তত এই জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেয়া উচিত আমাদের সবার। ঢাকা-কক্সবাজার এর এই লাইনটা সচল থাকুক সব সময় সেই প্রত্যাশা করছি।
যেহেতু সুমন ভাই গুগল ম্যাপ অন করে রেখেছিলেন তাই কিছুটা যাওয়ার পর পর জিজ্ঞেস করেছিলাম আর কত সময় লাগবে বা আর কতদূর বাকি আছে। যাকে বলে উত্তেজনা আরকি, যেহেতু সময়সূচী অনুযায়ী আমাদের ট্রেন একটু দেরী করেই পৌঁছেছিলো কাংখিত স্টেশনে। চট্টগ্রামে একটু বেশী সময় লেট করেছিলো বলে এমনটা হয়েছে। না হলে আমাদের ট্রেন সঠিক সময়েই পৌঁছাতে পারতো।
ট্রেন হতে নামলাম, চারপাশের দৃশ্যগুলো একটু দেখার চেষ্টা করলাম। তারপর সব কিছু ঠিকঠাক মতো নামিয়েছি কিনা সেটা চেক করে নিলাম। হাঁটতে হাঁটতে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের সেই প্লাটফর্মে চলে আসলাম। যারা আগে নেমেছিলেন সবাই সেখানে এসে দেখি যার যার মতো ফটোগ্রাফি করায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন। সুবিধা মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা শুরু করে দিলাম হি হি হি। এরপর একটু সামনে এগিয়ে অটোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছুটা সময়। অবশ্য এখানেও একটা বুদ্ধি ছিলো, সেটা প্রকাশ করছি না কিন্তু।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ট্রেন ভ্রমণটা তাহলে বেশ ভালোই ছিল আপনাদের। চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে করতে গিয়েছিলেন, এটা শুনে কিন্তু অনেক বেশি ভালোই লেগেছে। ট্রেন ভ্রমণের সময় এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে তো খুব ভালো লেগেছে। আসলে এরকম সুন্দর প্রকৃতি না দেখে কি আর ঘুমানো যায়। এগুলো দেখলেই তো চোখ একেবারে জুড়িয়ে যায়। মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে করতে এসেছেন। তারপর আর কি কি করলেন, এগুলো কিন্তু জানার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
মানসিক প্রশান্তি অনেক বেশি দরকারি। সবকিছুর মাঝেও আমরা যদি মানসিক প্রশান্তির খোঁজে পছন্দের জায়গা গুলোতে যাই তাহলে অনেক ভালো লাগে। ভাইয়া আপনার ভ্রমণের সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ট্রেন ধীরগতিতে চললে খুবই বিরক্ত লাগে। আমাদের দেশে যে জাপানের মতো বুলেট ট্রেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কেটিএক্স ট্রেন কবে হবে😂। যাইহোক কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের তো ভালোই ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া বাংলাদেশের ট্রেন কিছুটা আস্তেই চলে। ট্রেন চালক যাত্রীদেরকে প্রকৃতি দেখতে ও উপভোগ করতে সাহায্য করে,হা হা হা। যায়হোক ভাই বাস থেকে ট্রেন হাজার গুনে ভালো। বাসে জার্নি করলে এত সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারতে না। তাছাড়া জানজটের ব্যাপার তো ছিলই। লাষ্টে কি যেন একটি বুদ্ধির কথা বলতে গিয়ে বললেন না,সেটা জানতে চাই আমার অবুজ মন,হে হে হে। ধন্যবাদ।