গ্রামীণ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। প্রকৃতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে, উষ্ণতার মাত্রা বেশ হ্রাস পেয়েছে, তবে তার থেকে বড় বিষয় হলো বৃষ্টির শীতল পরশ একটু হলেও সবার হৃদয় ঠান্ডা করেছে। বহুল কাংখিত বৃষ্টির পরশে সবাই বেশ চঞ্চল হয়ে উঠেছে পুনরায় । সত্যি বলতে টানা গরমের তীব্রতায় আমার মতো অনেকেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন, শুধু আমি একা নই বরং আমাদের বাড়ির প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো। অফিসে আমরা ম্যানেজাররা প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম, ছাত্রদের কথা না হয় বাদই দিলাম। এমন তীব্র গরমের সুস্থ থাকাটা সত্যি বেশ মুশকিল, সেটা এবার কঠিনভাবে উপলব্ধি করেছি আমরা সবাই।
তবে সেই উপলব্ধিটা কতটা সময় আমরা ধরে রাখতে পারবো তা নিয়ে কিন্তু দ্বিমত রয়েছে, যদিও বর্তমান কার্যকলাপ দেখে অনেকেই হৈ চৈ করা শুরু করে দিয়েছেন। সেদিন দেখলাম দৈনিক প্রথম আলোতেও এটা নিয়ে একটা কলাম লিখেছেন এক ভদ্রলোক, যদিও তার খুব একটা প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। কারন আমাদের সমাজের বর্তমান অবস্থা হলো অনেকটা এমন, দায়িত্বশীলতা দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন আর আমরা যার যার অবস্থান হতে সেটা পড়বো কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না। কারন যার যার অবস্থান হতে কেউ একটুও নড়বেন না, সুতরাং যেমন আছে তেমনই থাকবে, পরবর্তন শুধু স্বপ্নই রয়ে যাবে।
হৈ চৈ নিয়ে কথা বলছিলাম, পরিবেশ এবং উষ্ণতা নিয়ে যখন পরিবেশবীদরা কথা বলতে শুরু করলেন। তারা যখন উপস্থাপন করলেন উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ হত্যা করা হয়েছে, সবুজ বনায়ন ধ্বংস করা হয়েছে এবং প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে। সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানান দিয়ে অনেকেই গাছের পেছনে ছুটা শুরু করলেন, এতো এতো লক্ষ নতুন গাছের চারা রোপন করবেন সেই ধরনের ঘোষণাও দেয়া হয়ে গেলো। কিন্তু কথা হলো গাছ কখন এবং কিভাবে লাগাতে হবে, কোথায় কোন পরিমানে লাগাতে হবে। অঞ্চল এর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কোন ধরনের গাছ নির্বাচন করতে হবে, সেই সকল বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা না নিয়েই ছোটাছুট শুরু হয়ে গেলো।
তাহলে একটু চিন্তা করে দেখুন আমাদের উপলব্ধির প্রকৃত অবস্থান কোথায়? আমরা কি শুনলাম আর কি করা শুরু করে দিলাম। এটাই বাস্তবতা এবং আমাদের প্রকৃত অবস্থা। আমরা যা করি, চিন্তা ভাবনা করে করি না আবার আমরা যা বুঝি প্রকৃত বিষয়টি না বুঝেই লাফালাফি করা শুরু করে দেই। শুরু হতে শেষ পর্যন্ত আমরা কোন কিছুর সাথে থাকি না, শুরুতে কিছুটা চঞ্চলতা দেখাই তারপর হতাশা নিয়ে লুকিয়ে যাই, ফলাফলটা এই জন্যই সর্বদা শূন্যের মাঝে বন্দি থাকে। আমাদের অবস্থান হতে আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারি না, কারন বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করার প্রয়োজন সেগুলো বাদ দিয়ে আমরা অন্য কিছু করার চেষ্টা করি, সেখানেও আবার অজ্ঞতা থাকে জড়িয়ে অক্টোপাসের মতো।
দেখুন সত্যটা সর্বদা সত্যই থাকে, আমরা যতই চেষ্টা করি কৃত্রিম রং দিয়ে সেটাকে ঝকঝকে করার কিংবা নতুন আবরণে ঢেকে ফেলার, কোনটার ফলই সুন্দর হবে না যদি না আমরা প্রকৃত বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে সেটা না করি। যেমন এখন গাছ লাগানোর বিষয়টি, সবার আগে আমাদের গাছ নির্বাচন করতে হবে অঞ্চল বিবেচনায়। তারপর আমাদের উপযুক্ত সময় নির্বাচন করতে হবে সেগুলো রোপন করার ব্যাপারে, এরপর সঠিক জায়গা খুঁজতে হবে সেগুলো যেন টিকে থাকতে পারে সেটা বিবেচনা করে। কারন গাছ লাগালেই হবে না, সংখ্যা প্রচার করলেই কাজ হবে না, বরং সেগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে এবং যথাযথভাবে সেগুলোর পরিচর্চা করতে হবে, তবেই হয়তো সেগুলো একেকটা বড় বড় অক্সিজেন এর ফ্যাক্টরি হিসেবে দাঁড়াতে পারবে।
তারিখঃ এপ্রিল ১২, ২০২৪ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Posted using SteemPro Mobile
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রচন্ড গরমের পর অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পেলো সবাই।কিন্তু আসল কথা হলো,খারাপ সময় পার হয়ে গেলে সেই সময়টাকে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।আমাদের কষ্টের অনুভূতি গুলোর কথা মনে করে বেশী বেশী গাছ লাগাতে হবে সবাইকে।ভালোবাসলেই কেবল ভালোবাসা পাওয়া যায়। নয়তো না।তাই প্রকৃতিকে ভালোবাসলে আমরা ও প্রকৃতির ভালোবাসা পাবো।আসুন,সবাই গাছ লাগাই।চমৎকার কিছু লেখার সাথে সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো ও ভালো লাগলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি মনটাকে একদম চাঙ্গা করে দিলো গো ভাই। তার উপর আপনার এমন সুন্দর লিখনী সব কিছুই ছিল বেশ। সত্যি বলতে গরম এমন ছিল যে আমরা সবাই কম বেশী অসু্স্থ্য হয়ে পড়েছিলাম। তবে আপনার কথা গুলো সত্যই আমরা শুধু লেখবো আর বলবো কাজের বেলায় ঠনঠনাঠন। বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো।
এই জন্যই তো গরমের দিনগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া হচ্ছিল। এত বেশি গরম পড়ছিল যার কারণে সকলেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিল। আপনার শেয়ার করার গ্রামীণ প্রাকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ভুট্টা গাছের ফটোগ্রাফি গুলো।
প্রকৃতির সবুজ সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হলে অবশ্যই বৃক্ষরোপণ করতে হবে তবে পরিবেশের সাথে মিল রেখে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। যেকোনো কিছুর ক্ষেত্রেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হলে যেমন যত্ন নিতে হয় তেমনি বৃক্ষ রোপনের পাশাপাশি সেগুলো পরিচর্যা করতে হবে।
জি ভাইয়া, এখন অন্তত কিছুটা উষ্ণতা কমেছে, তবে প্রচন্ড গরম এবং শীতল হওয়ার কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে, আমাদের ঘরেও সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এখন অনেকটা ভালোই রয়েছে। আসলে ঠিক বলেছেন খবরে দেখা যায় তারা অনেক কিছুই করে ফেলছে, কিন্তু সঠিকভাবে কি করা হয় এটা হচ্ছে কথা। তেমনি গাছ হত্যার কথা শুনে একেবারে গাছ লাগিয়ে ফেলবে, এটাও অনেকটা অবিশ্বাস্য। কথায় আছে খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। অবস্থাটা এরকম হলো। তবে আপনার প্রাকৃতিক পরিবেশের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
দীর্ঘ তাপদ্রাহর পর এই সস্তির বৃষ্টির শীতল পরশ সবার মন কে শীতল করে দিয়েছে।এই গরমে সবাই কম বেশি অসুস্থ হয়েগেছিলো।আমারো ঠান্ডা এবং বমি হিয়েছিলো। এখন আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি।খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে। 🙏🫡
দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩/৪ দিন বৃষ্টি হওয়াতে ওয়েদার এখন অনেকটাই শীতল হয়ে গিয়েছে। আমরা বাঙালি জাতি আসলে এমনই। কোনো কিছু শুনলে লাফালাফি শুরু করে দেই,কিন্তু পরবর্তীতে আর খবর থাকে না। যাইহোক আমাদের উচিত উপযুক্ত সময়ে অঞ্চল ভেদে গাছ নির্বাচন করে, বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করা। তারপর গাছ গুলোর সঠিক পরিচর্যা করা। নয়তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পরবে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়েদার এখন অনেকটাই ঠান্ডা প্রায় সব জায়গাতে। ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও সবার শরীর এবং মন প্রশান্ত হয়েছে। আসলেই আমাদের এই সমাজকে পরিবর্তন করা স্বপ্নই থাকবে। আমরা যতই বলি গাছ লাগানোর কথা কিংবা প্রকৃতিকে বাঁচানোর কথা অন্যদিকে দেখা যাবে আমরা নিজেরাই সেগুলোকে ধ্বংস করছি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল।
আসলে কথাগুলো ঠিকই বলেছেন এই গরমে সুস্থ থাকাটাই মুশকিল, আমিও প্রায় ২-৩ বার এই গরমে অসুস্থ হয়ে গেছিলাম তবে আল্লাহর রহমতে এখন সুস্থ আছি। আপনার কথাগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে এর ভিতরে লুকোচুরিময় কিছু আনন্দ থাকে যেগুলো সত্যি অনেক চমৎকার। যাইহোক আপনি আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।