আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ সম্মান দেয়ার মানসিকতা ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকাটা খুব বেশী কঠিন আবার খুব বেশী সহজ, পুরো বিষয়টি আমাদের মানসিকতার উপর নির্ভরশীল। ভালো মনের মানুষরা কিন্তু সর্বদা ভালো থাকতে পারে এবং নিজেদের চঞ্চল রাখতে পারে কিন্তু খারাপ মনের মানুষগুলো? তারা কিন্তু কখনোই সেটা পারে না। আজকে পুনারায় আবোল তাবোল কিছু কথা বলবো, অবশ্যই সেটা জীবনের অভিজ্ঞতা হতে। আসলে এই বিষয়ে লিখতে আমার কাছে ভালো লাগে কারন বিষয়টি আমার মনের আকাশে আবার ভেসে উঠে এবং নিজেকে যাচাই করার আরো একটা নতুন সুযোগ পাওয়া যায়। হয়তো এটা আপনাদের কাছে ভালো লাগে না কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে। আমি প্রথমত, আমার জন্য লিখি কারন লেখাটা যদি আমার কাছে ভালো না লাগে, লেখা হতে যদি আমি নিজে কিছু উপভোগ করতে না পারি তাহলে আমার পাঠক মহোদয়রা কেন আমার লেখা পড়তে আসবেন এবং সেটা পড়ে তারা কখনোই তৃপ্ত হবেন না, এটা যেমন আমি বিশ্বাস করি ঠিক তেমনি এই নীতিতে ঠিক থাকারও চেষ্টা করি।
দেখুন যে কোন ক্ষেত্রে আনন্দটা মুখ্য হওয়া উচিত না হলে লেখা কিংবা কাজে কখনোই আনন্দ পাবেন না। আমি সেই ২০০৭ সাল হতে নানা ধরনের সোস্যাল মিডিয়ার সাথে সংযুক্ত হয়েছি, ব্যক্তিগতভাবে অনেক উচুঁ লেভেলের মানুষদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি এবং তাদের সাথে বেশ হৈ চৈ করে আড্ডা দিয়েছি, কারন সেখানে আনন্দটা ছিলো মুখ্য বিষয়। মজা কিংবা রসিকতার ক্ষেত্রে আমি কোনদিনও কুঞ্জুস ছিলাম না এবং এখনো নেই, যারা আমার সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন কিংবা আমার রসিকতা উপভোগ করেছেন, সারা জীবন সেটা তারা মনে রাখবেন, এটা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি। যাইহোক থাক সেসব কথা, যা বলতেছিলাম ভালো মানসিকতা নিয়ে। যারা ভালো মানসিকতা পোষণ করেন তারা মানুষদের সম্মান দিতে জানেন আর এই কারনেই তারা সর্বদা সকল ক্ষেত্রে সম্মানীত হওয়ার সুযোগ পান। আসলে প্রকৃত সত্যটা আমরা সবাই জানি, সম্মান দিতে না জানলে কখনোই সম্মান পাওয়া যায় না।
কিন্তু আমরা কি করি? সর্বদা সম্মানীত হওয়ার প্রত্যাশা করি কিন্তু তার জন্য অন্যদের কখনো সম্মান দিতে রাজি থাকি না মানে অন্যদের সম্মান দিতে কেমন জানি একটা কুণ্ঠবোধ হৃদয়ের মাঝে কাজ করে। আমরা অন্যদের যোগ্যতা নিয়ে নানা কথা শুনিয়ে থাকি, তাদের ব্যাপারে নানা ধরনের বানী দিতেও দেরী করি না কিন্তু নিজের ব্যাপারে, নিজের সম্পর্কে অন্যরা কিভাবে সেটা কখনো চিন্তা করি না, এটাই আসল বাস্তবতা আর আমরা দিন দিন এই বাস্তবতা হতে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। একটা ঘটনা বলি তখন স্কুলে পড়ি আমি, আমাদের এলাকায় একটা ক্লাব ছিলো। সেখানে আমরা প্রায় নানা বিষয়ে আড্ড দিতাম, তবে সব কিছুই থাকতো খেলাধূলা নিয়ে। সেখানে স্থানীয় রাজনীতিবিদরাও আসতো, নানা সময়ে তারা খেলাধূলা নিয়ে পৃষ্ঠপোষকতাও করতো। কিন্তু একজন ছিলেন একটু ভিন্ন ধরনের, নিজেকে খুব সম্মানী ভাবতেন কিন্তু অন্যদের সাথে কখনোই ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করতেন না। তো আমাদের খেলোয়াড়রা সবাই তাকে কখনোই সালাম দিতো না এবং সম্মান করতে দিদ্বাবোধ করতো, এটা বুঝতে পেরে উনি একদিন ক্লাবের সভাপতির কাছে নালিশ দিলেন আমাদের সকলের নামে।
খেলোয়াড়রা কেউ উনাকে সম্মান দেখায় না এবং তাকে কেউ সালাম পর্যন্ত দেয় না, এটা শুনে আমরা খেলোয়াড়রা হাসতে হাসতে শেষ। সত্যি দেখুন কতটা নিবোর্ধ এর মতো উনি নালিশ করেছেন। অবশ্য সভাপতি আমাদের সকলকে ডেকে বলেছিলেন উনাকে সালাম দিলে কি হয়? তোমরা তোমাদের সম্মান কেন নষ্ট করছো? আমরা কিন্তু পরবর্তীতে সভাপতির সম্মান রক্ষার্থে তাকে সালাম দিতাম কিন্তু সেটা কখনোই মন হতে আসতো না। আসলে বিষয়টি হলো সম্মান পেতে হলে আগে সম্মান দিতে হবে, মানুষের মনে সম্মান আপনা আপনি তৈরী হয় না, তার জন্য একটা উপলক্ষ্য লাগে। আর আমরা কখনোই সেই উপলক্ষ্যটা তৈরী করার চেষ্টা করি না। অন্যদের প্রতি সহযোগিতা কিংবা মানবতার বিষয়টি কখনোই আমাদের সম্মুখে আসে না বরং আমরা সর্বদা উন্মুখ হয়ে বসে থাকি, আশেপাশের সবাই কাছে আসবে এবং আমাকে সম্মান দেখাবে, কি দারুণ মানসিকতা আমাদের। মাঝে মাঝে এসব দেখে নিজেই হাসি।
এবার অন্য রকম একটা উদাহরণ দেই, সেদিন বাসে আসতেছিলাম অনেক যাত্রী ছিলো বাসে। তো জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি, শুধু আমি অনেক যাত্রীই দাঁড়িয়ে ছিলো। আসলে অফিস হতে ফেরার সময় অধিকাংশ সময় বাসে সীট না পেয়ে দাঁড়িয়ে আসি, কয়েকটি স্ট্যান্ড পার হওয়ার পর যথারীতি সীট পেয়ে খুশিতে বসে পড়ি। কিন্তু যারা যে সীটের সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকেন, সেই সীট খালি হলে উনি বসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন, এটা বলতে পারেন অলিখিত একটা নিয়ম। সেদিন উল্টোটা ঘটে গেলো, যে সীট খালি হয়েছে তার পাশে থাকা ব্যক্তি বসার পূর্বেই দূর হতে আরো একজন যাত্রী জোর করে সামনে এসে বসে পড়েন। এতে সামনে থাকা ব্যক্তিটি প্রতিবাদ করেন এবং একটা পর্যায়ে তাদের দুইজনের মাঝে বেশ ঝগড়া লেগে যায়, দুইজন দুইজনকে নানা ভাবে হুমকি দেয়া শুরু করেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, উনি অমুক নেতাকে কল করেন, আবার অপর ব্যক্তি উনিও আরেক নেতাকে ফোন করেন, দুইজন দুইজনকে আজ দেখে নিবেন, বাসের অন্য যাত্রীরা মিলেও তাদের থামাতে পারছেন না, বেশ দারুণ একটা হট্টগোল তৈরী হয়ে যায়। আমি যেহেতু নিরীত মানুষ তাই তাড়াতাড়ি নিজের সম্মান নিয়ে বাস হতে নেমে যাই, কি বুদ্ধি আছে না আমার? হি হি হি।
এরপরের দুইদিন, আমি আরো একটু বেশী সচেতন হওয়ার চেষ্টা করলাম, থাক বাবা সীট পাই আর না পাই কারো সাথে নিজের ক্ষমতা দেখাতে চাই না আর কাউকে ফোন করেও ডিস্টার্ব করতে চাই না। তাই আমার সম্মুখে থাকা সীটটি খালি হলে নিজে না বসে পাশের ভদ্রলোককে বললাম ভাই আপনি চাইলে বসতে পারেন, উনি লজ্জা পেয়ে বললেন না না কি যে বলেন ভাই, আপনি বসুন কোন সমস্যা নেই। এটা পর পর দুইদিন চেক করলাম, আমি তাদের বসার আমন্ত্রণ জানালেও তারা কিন্তু বসার আগ্রহ দেখান নাই, কারন আমি নিজ হতে তাদের সম্মান দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম তাতে তারা কিছুটা লজ্জাবোধ করেছেন এবং আমাকেই বসার অনুরোধ করেছেন। সত্যি আমরা কখনো কোন কিছুতে একটু ভিন্নভাবে দৃষ্টি দেয়ার চেষ্টা করি না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা অন্যের অধিকারকেও নিজের বলে বিবেচনা করি এবং মাজে মাঝে সেখানে জোর খাটাতেও চেষ্টা করি।
সত্যি আমাদের মাঝে বড্ড বেশী অভাব রয়েছে ভালো মানসিকতার, সেটার অনুপস্থিতির কারনেই আমরা যেমন অন্যদের সম্মান দিতে কুণ্ঠবোধ করছি ঠিক তেমনি অন্যরাও আমাদের সম্মানীত করতে দ্বিধাবোধ করছে। আসলে আমরা কিছু চাইলেও সেটা পাবো না আগে সেটা অন্যদের দেয়ার অভ্যেস তৈরী করতে হবে, তাহলেই হয়তো অন্যরা সেটা দেখে আমাদের কিছু দেয়ার চেষ্টা করবেন। সম্মান চাইলেও আসে না বরং সেটার জন্য ক্ষেত্র বা পরিবেশ তৈরী করতে হয়, সেটা যতদিন না তৈরী করতে পারবো ততো দিন অন্যদের নিকট হতে সম্মান প্রত্যাশা করাটা শুধুই বোকামি। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পারছেন, আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি।
Image Taken from Pixabay 1 and 2
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া।আসলে সম্মান এমনি এমনি আসে না সম্মান নিতে জানতে হয়। সম্মান দেওয়ার জন্য ঐরকম মন মানুসিকতা তৈরি হতে হয়।এমন কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কর্মকাণ্ড দেখলেই সম্মান তো দূরের কথা তাদের আশপাশে যেতে পর্যন্ত ভাললাগে না।এই দুনিয়াতে স্বার্থপর মানুষ চিনা অনেক বেশি জটিল।আপনার কথাগুলো সবসময় শিক্ষনীয় হয়।পড়তে অনেক ভালো লাগে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পায়।আবোল তাবোল জীবনের গল্পটা বেশ সুন্দর ভাইইয়া।জীবনটা তো আসলেই আবোল তাবোল।হি হি হি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই সিরিজটাই একটা শিক্ষা।জীবনের নানান কার্যকরী দিকগুলো নিয়ে যে এতো সুন্দর সুন্দর কথা বলেন,আসলেই ভালো লাগে।
সম্মান জিনিসটা অনেক দামী,অর্জন করতে প্রচুর সময় লাগলেও শেষ হতে কে সেকেন্ড লাগেনা।সম্মান নিতে হয়,অর্জন করা শিখতে হয়।
ভালো লিখেছেন,শুভ কামনা রইলো।
কি যে বলেন ভাই।মানুষ ব্যস্ত থাকে নিজেকে কি করে বড় করবে তাও আবার অন্যকে ছোট করে।তবে এতে হিতে বিপরীত ই হয় সবসময়।সম্মান না দিয়েই মানুষজন খালি সম্মান পেতে চায়।এতে সম্মান পাওয়ার বদলে অসম্মান ই পেয়ে যায়।
ভাইয়া আপনার আবোল তাবোল জীবনের গল্প মানেই কিছু না কিছু শিক্ষা।সম্মান জিনিসটা অর্জন করা অনেক কষ্ট কিন্তু হারিয়ে ফেলা অনেক সহজ।আপনি ঠিক বলেছেন, ভীর হলে বাসে উঠে কিছু সময় দাঁড়াতে হয় তারপর সিট পাওয়া যায়। দুজন মানুষ নিজেদের ক্ষমতা নিয়ে যুদ্ধ করে গেলেন। দিনশেষে চলার পথে আবার তাদের দেখা হবে। মুখ কি করে দেখাবেন তারা?? আল্লাহ ই জানেন।আপনি ঠিক করেছেন, বসতে বলাতে ওই লোকের বিবেক জাগ্রত হওয়ায় সে আর বসেনি। খুব ভাল লাগলো। সম্মান করলেই সম্মান পাওয়া যায়।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
যে সম্মান দিবে সে আপনা আপনি সম্মান পাবে। সম্মান কখনও জোর করে পাওয়া যায় না অথবা নালিশ করে পাওয়া যায় না। অনেকেই আছে তারা অন্যজনকে সম্মান করে না কিন্তু নিজেকে যদি কেউ না সম্মান করে তাহলে অনেক লজ্জাবোধ করে। বেশিরভাগ মানুষের ছোটদের কাছ থেকে এরকম সম্মান পায় না নিজেদের এরকম কাণ্ডের কারণে। আপনি তো দেখছি বাসে করে আসার সময় অনেক কষ্ট করেন। অনেকক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সিট না পাওয়ার কারণে। আমার মনে হয় ঝগড়া না করে দাঁড়িয়ে থাকাই ভালো। সবাই নিজের স্বার্থ নিয়ে থাকে। বড়রা অনেক সময় ছোটদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে শিক্ষা পেয়ে থাকে। খুবই ভালো লিখেছেন আপনি।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
জি ভাই ঠিক ভালো থাকার জন্য সবার আগে মন মানসিকতা দরকার ৷ যার আছে মন মানসিকতা ভালো সে প্রতিনিয়ত ভালো থাকবে ৷
,
এটা তো একদম যথার্থ বলেছেন ভাই সম্মান ছোট্ট হলেও এর মান অনেক বড় ৷ যেমন একজন শিক্ষক যে কি না সারা দিন সকল ছাত্র ছাত্রীদের সালাম আদাব পায় ৷ আসলে তিনি একজন সম্মানী ব্যাক্তি ৷ কারন সে আমাদের জ্ঞান দেন শিক্ষা দেন প্রতিনিয়তই মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য অনেক কিছুই শিক্ষা দিয়ে থাকেন৷ তিনিও কিন্তু ছাত্রদের সম্মানের সহিত পড়ায় ৷ আর তাই তাকে প্রতিনিয়ত সম্মান করা হয় ৷
এরা এটা বাস্তব যে কোনো কিছু নিতে হলে সবার আগে দিতে হবে ৷ সেটা হোক সম্মান বা অন্য কিছু ৷
একদমই ঠিক বলেছেন। কারো কাছ থেকে আমি যখন সম্মান আশা করছি, তখন আমাকে এটাও দেখতে হবে যে আমি সেই মানুষটাকে ঠিক কতটা সম্মান দিচ্ছি। সম্মান দেব না কিন্তু এক গাদা সম্মানের আশা করব, এটা সত্যিই একটা মরুভূমিতে মরীচিকা।আর আপনি যথেষ্ট বিনয়ী সেটা তো আমরা একদিনের হ্যাংআউটে আপনার কথাতেই বুঝতে পারি। আসলে এখানে প্রত্যেকটা মানুষ খুব বিনয়ী। আর এটা একদম ঠিক করেছেন যে ঝামেলার মধ্যে চুপচাপ সরে যাওয়াই ভালো। কারণ এতে নিজের সম্মানটা বজায় থাকে। আপনি সমস্যা মেটাতে যাবেন, হঠাৎ করে আপনাকেই দুটো বাজে ভাষা বা অন্য কোন খারাপ ব্যবহার করে বসলো, তখন আপনার সম্মান টা নষ্ট হবে। সবাই তো আর সবকিছুর জন্য নয়। আপনার জন্য এই ঝুটঝামেলা, ঝগড়াঝাটি নয়। আপনি ভীষণই নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ।ধন্যবাদ,আমাদের জীবনের শিক্ষা দেওয়ার জন্য।