সোনালী দৃশ্য- প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালো আছেন এবং শৈত্যপ্রবাহের হিমেল শীতল বাতাস বেশ দারুণভাবে উপভোগ করছেন। আমি করছিতো আমার মতো, যেমন আজকে পানির অপচয় করা হতে বিরত রয়েছি, শীতের ঠান্ডা পানিকে কেন কষ্ট দেই আমরা, সেটা আমার বুঝে আসে না। দেখুন প্রথমে আগুন জ্বালাই তারপর পানিকে পুড়ে সিদ্ধ করি, তারপর গোসল করি। আচ্ছা বলুন তো এতো কষ্ট করে গোসল করার কোন মানে হয়? পানিরও তো একটা জীবন আছে, তাকে এভাবে পুড়ে জীবনটা তছনছ করার কোন মানে আছে? আমি জানিতো আপনারা কি উত্তর দিবেন, কারন আমরা সত্যি পানির স্বপক্ষের লোক না বরং বিরোধীদের পক্ষের লোক, তাইতো সত্যিটা বলবেন না, হা হা হা।

আসলেই মাঝে মাঝে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়, কতদিন এভাবে গোসল করা হতে বিরত থাকতাম, বাড়িতে কেউ টেরই পেতো না, পাবে বা কি করে? তখন কি এতো আধুনিক ব্যবস্থা ছিলো। বেশীর ভাগ সময় আমরা পুকুর অথবা নদীতে চলে যেতাম গোসল করতে। আমার ক্ষেত্রে অধিকাংশ দিন পুকুরে, আমাদের একদম বাড়ির পাশেই বিশাল একটা পুকুর ছিলো। আর যেদিন স্কুল বন্ধ বা অন্য কোন কারনে ফাঁকি দিতাম (দেখুন আমি কিন্তু পড়ার ভয়ে কোনদিনও স্কুল ফাঁকি দেই নাই, আগে বলে দিলুম, না হলে আপনারাতো উল্টোটা ভেবে বসে থাকবেন, হা হা হা) সেদিন সরাসরি পাসপোর্ট ছাড়া নদীতে চলে যেতাম। আহ সুন্দর ছিলো নদীর পানিগুলো, বর্তমান দৃশ্যগুলো দেখলে সত্যি মায়া কান্না হয় নদীর জন্য। আসল কান্নাতো কাঁদতে পারি না, তাই মায়া কান্না কান্দি। দারুণ উপভোগ করতাম তখন নদীতে গোসল করার বিষয়টি।

IMG_20221223_165328.jpg

IMG_20221223_165318.jpg

IMG_20221223_165324.jpg

হ্যা, যেটা বলতে চাইছিলাম, বাড়িতে এসে সুন্দর করে বলে দিতাম গোসলতো নদীতে করেছি তুমি দেখবে কিভাবে? আহ সেদিন কত সুন্দরভাবে পানির জীবন বাঁচিয়েছিলাম, আজ বড্ড বেশী অসহায় হয়ে গেছি, তাইলেও পানির জীবন বাঁচাতে পারি না, বরং নিরব দর্শক হয়ে আগুনে পানির জীবন তছনছ করার দৃশ্য দেখতে হয়, ভেতরে ভেতরে একটা দারুণ মায়া কাজ করে কিন্তু সরকারী দলের কঠিন চোখ রাঙানি এবং আগ্রাসী মনোভাবের কারনে সেটাকে ভেতরেই দাফন করে রাখি, ভুলেও প্রকাশ করতে পারি না। আসলে শান্তি প্রিয় মানুষগুলো আমার মতোই হয়, ভেতরে ভেতরে সব হয় কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারে না। যাইহোক আমরা হলাম আসল প্রকৃতি প্রেমীক, প্রকৃতির জন্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যারা ভেতরে এবং বাহিরে সমানভাবে লড়াই করে যায়, হা হা হা।

IMG_20221223_165306.jpg

IMG_20221223_165310.jpg

IMG_20221223_165315.jpg

তবে আজ কিন্তু বিজয়ী হয়ে অফিসে আসছি, সত্যি সত্যি আজ গোসল করি নাই, আহ ভেতরে কি একটা শান্তি কাজ করছে, প্রকৃতির প্রতি, সজীব সুন্দর পানির প্রতি সাথে মায়া কান্নাও আসছে আগুনের প্রতি। কি নিদারুণভাবে সে পানিকে সিদ্ধ করতো কিন্তু আজ সেটা পারে নাই, আগুনের ক্ষমতার বড়াই আজ শেষ, হা হা হা। জ্বালো আগুন আরো জ্বালো, নিজেকে পুড়ে পুড়ে দ্বিগুন করো, কিন্তু আজ পানির দেখা তুমি পাবে না, হা হা হা, এটা বিজয়ের গান বুঝতে হবে, সব সময়তো গাওয়া যায় না তাতে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই আজ চুপি চুপি গেয়ে নিলাম, আপনারাও কিছু শুনেন নাই, ঠিক না? কিছু কি শুনেছেন আপনারা? সবাই এক বাক্যে হ্যা বলুন, যাতে হ্যা জয়যুক্ত হয়।

IMG_20221223_165226.jpg

IMG_20221223_165239.jpg

IMG_20221223_165243.jpg

IMG_20221223_165247.jpg

যাইহোক অনেক মজা করে ফেললাম আজ আর না থাক, বেশী খুশি হওয়া আবার ভালো না, সরকারী দলের লোকজন জানতে পারলে বিপদ বেড়ে যাবে, তাই চুপচাপ থাকাটাই মঙ্গলজনক। আজকে প্রকৃতির সুন্দর কিছু দৃশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। সুন্দর দৃশ্য মানে যেটাকে আমরা গোল্ডেন টাইম হিসেবে চিনি, মানে দিনের শেষ মুহুর্তে ভিন্ন পরিবেশের কিছু মুহুর্ত, সূর্য অস্ত যাওয়ার শেষ মুহুর্তের চারপাশের রঙিন দৃশ্য। এই সময়টা সত্যি দারুণ লাগে এবং পরিবেশের চারপাশের দৃশ্যগুলো একদম হৃদয় ছুঁয়ে যায়, মুগ্ধকর একটা অনুভূতি কাজ করে হৃদয়ের মাঝে। অন্তত আমি চেষ্টা করি সুযোগ পেলে এই মুহুর্তগুলোকে উপভোগ্য করার এবং ক্যামেরার মাধ্যমে মুহুর্তগুলোকে বন্দি করার। দেখুন দৃশ্যগুলো দেখলে আপনাদের কাছেও দারুণ লাগবে বলে আমি আশাবাদী।

IMG_20221223_165254.jpg

IMG_20221223_165256.jpg

IMG_20221223_165258.jpg

যথারীতি সেই চেনা পরিবেশ, গ্রামীন পরিবেশ হতে ক্যাপচার করা। আমি শেষবার যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম, আরে নাহ? গত বছরের ফটোগ্রাফি না এগুলো। এইতো সেদিন শীতের মাঝেই ছুটিগুলোকে উপভোগ্য করার জন্য গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন এই দৃশ্যগুলো ক্যাপচার করেছিলাম। এর আগের মুহুর্তগুলো অবশ্য আগেই শেয়ার করেছি। এবার তার পরের মুহুর্তগুলো শেয়ার করে নিচ্ছি, তাই নিশ্চিন্তে বললাম আর কি, আগের গুলো যেহেতু ভালো লেগেছে তাহলে এবারের গুলো কেন ভালো লাগবে না? চলুন দৃশ্যগুলো উপভোগ করি। আর আমি আজ বিদায় নেই।

তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Sort:  
 2 years ago 

পোস্টটা পড়ার সময় কোথায় থেকে যেন কারো শরীর থেকে গন্ধ পাচ্ছিলাম😹!কার শরীরের গন্ধ হতে পারে,জানেন কি?
নদীতে বা পুকুরে গোসল করে সময় কাটানোর মুহুর্ত আমার জীবনে তেমন নেই বললেই চলে।

সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফিগুলো,মুগ্ধ হয়ে গেছি।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

ভাইয়া শীতের সময় পানি পুড়িয়ে গোসল না করলে কিভাবে হবে, তাহলে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা যাবে না।আপনি তো প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ তাই হয়তো আজ গোসল করে অফিসে যাননি কিন্তু এভাবে কয়দিন থাকা যাবে।জ্বালো আগুন আরো জ্বালো, নিজেকে পুড়ে পুড়ে দ্বিগুন করো, কিন্তু আজ পানির দেখা তুমি পাবে না, হা হা হা।আমরা কিন্তু গান শুনেফেলেছি।সত্যি ভাইয়া এমন প্রকৃতির মাঝে ঘুরলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

যতদিন পার হবে অতীতের কথাগুলো আরো বেশি মনে পড়বে এটা স্বাভাবিক। আগে প্রায় গ্রামের সবাই পুকুরে গোসল করত আর এখন তো সেই ঐতিহ্যটা নেই বললেই চলে। প্রতি বাড়িতে এখন ট্যাবের পানি দিয়ে গোসল করা হয়। আবার যদি আপনি নদীর কথা বলেন তাহলে নদীর পানিও আর আগের মত স্বচ্ছ নেই। এখন শুধু অতীতের কথা চিন্তা করে আফসোস করা ছাড়া কোন উপায় নেই। যাই হোক আপনার তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। গাছের উপরে সূর্যের অবস্থান দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে।

 2 years ago 

প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে। যখন আমরা গ্রামে ছিলাম তখন এই প্রকৃতির সৌন্দর্যময় দৃশ্য উপভোগ করতাম। কি অপরূপ সৌন্দর্যময় দিনগুলো ছিল, আজকে আপনার প্রকৃতির সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 years ago 

একটা সময় সবাই নদী কিংবা পুকুরে গোসল করত। কিন্তু এখন নদী আর পুকুর ময়লা আবর্জনায় ভরা। আগের সেই দিনগুলো যেমন হারিয়ে গেছে তেমনি প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টিগুলোও আবর্জনায় ভরে গেছে। যাইহোক কষ্ট করে আর পানিকে কষ্ট দেওয়ার দরকার নেই। এক বালতি পানি বাঁচানো মানে একটি জীবন বাঁচানো। কারণ পানির অপর নাম তো জীবন।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 2 years ago 

ছোট থাকতে আমিও পুকুরে গোসল দিয়েছি। শীতের ভিতর এক লাফ দিয়ে পুকুরে নামলে শীত আর ধরতো না। পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। কোনদিনও মনে হয় এগুলো ভোলা যাবে না। আমি যখন গ্রামে যাই তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করি। খুবই ভালো লাগে উপভোগ করতে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।

 2 years ago 

পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো,ভালো বলতে মজা নিয়ে পড়লাম। আমি নদী বা পুকুরে নেমে গোসল করেছি কখনো এমন হয়নি।তবে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারছি ,আপনি কিভাবে করতেন।যাই হোক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ,খুব ভাল লাগলো ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 58180.92
ETH 2477.99
USDT 1.00
SBD 2.42