বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সম্মানের প্রতি দুর্বলতা
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ্য থেকে সময়গুলোকে গতিশীল রাখার চেষ্টা করছেন। সত্যি বলতে সময় আমাদের মাঝে মাঝে অনেক কিছু নতুনভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়, অনেক কিছু নতুনভাবে হিসেব কষতে শেখায় এবং নিজেকে নতুনভাবে তৈরী করতে অনুপ্রাণিত করে। হ্যা, সময় একটা কঠিন জিনিষ, নতুনভাবে নতুন করে মানুষদের বার বার ভেঙ্গে দেয়। নতুনভাবে সব কিছু উপলব্ধি করতে শেখায়। একটা বিষয় একটু খেলায় করলে বুঝতে পারবেন, সময়ের সাথে সাথে আমাদের যেমন বয়স বাড়ে ঠিক তেমনি সব কিছুর ব্যাপারে আমাদের ধারণাও পাল্টে যেতে শুরু করে। আগে যা ভাবতাম বা বুঝতাম সময়ের সাথে সাথে ভাবনাটায় পরিবর্তন আসে এবং সেটাকে নতুনভাবে বুঝতে শিখি।
অনেক কিছু, অনেক বিষয় নিয়ে আমি প্রায় ভাবনায় ডুবে যাই। হ্যা, এটা হতে পারে আমার একটা বদ অভ্যাস হতে পারে একটা ভালো অভ্যাস, সেটা নিয়ে আমি চিন্তা করি না। স্কুল জীবনে থাকতে প্রায় নিজের মতো করে একাকি নিরিবিলি পরিবেশে বসে থাকতাম। নিজের সাথে কিংবা নিজের জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া নানা বিষয় নিয়ে চিন্তা করতাম, ভাবতাম এটা কেন হলো আর যদি এটা না হতো তাহলে কি হতো? এর সাথে আমার জীবনের কতটা সংযুক্তি আছে কিন্তু কি যোগসূত্র আছে। এসব কিছু এখনো আমাকে চরমভাবে ভাবায়, আমি অনেক কিছু নিয়ে মাঝে মাঝে সন্দিহান হয়ে যাই। তারপর নিজের অবস্থান এবং সম্মানের কথা চিন্তা করি।
আমি এই রকম অনেক কিছু ছুড়ে ফেলে দিয়েছি, স্বেচ্ছায় এবং স্বজ্ঞানে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি, কারন আমি সম্মানের সাথে কোন কিছুকে সাংঘর্ষিক করতে রাজি ছিলাম না। আমার কাছে দায়িত্ব যতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, নিজের সম্মান ঠিক ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে দায়িত্ব আছে এবং লাভ আছে কিন্তু সম্মান নেই সেখানে আমি কোন দিনও থাকতে রাজি নই। আমি কর্মকে যতটা গভীরভাবে বিশ্বাস করি ঠিক ততোটা গভীরভাবে বিশ্বাস করি ভাগ্যকে। এখন পর্যন্ত আমার কর্ম এবং আমার ভাগ্য আমাকে হতাশ করে নাই, আশা করছি ভবিষ্যতেও করবে না। ভাবছেন হঠাৎ করে এসব কেন বলছি? আসলে সময়ে অসময়ে নানা ঘটনা আমাদের চিন্তা চেতনাকে নতুনভাবে জাগ্রত করে তোলে, আর তখনই আমি নিজেকে নিয়ে এবং নিজের ভেতরের কথাগুলোকে প্রকাশ করার চেষ্টা করি। তাতে নিজেকে নিজের কাছে কিছুটা হালকা মনে হয়।
মাঝে মাঝে আমি চিন্তা করি জীবনের পথগুলো যদি সবুজ প্রকৃতির মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রকম পথের মতো হতো, তাহলে জীবনটা কতটা সজীব ও সতেজতায় চঞ্চল থাকতো। কিন্তু কি জানেন তো? জীবন মানেই জীবন যার সাথে কোন কিছুরই তুলনা হয় না। হয়তো এখন মনে হতে এটা ঠিক কিন্তু পরক্ষনেই মনে হবে না এটাও ভুল। যেমন আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি জীবনটা কফির মতো, তখনো তিক্ত স্বাদটা বেশী মনে হয় আবার কখনো মিষ্টি স্বাদটা বেশী মনে হয়। কখনো চুমুকের সাথে সাথে ডুবে যাই গভীর চিন্তায় আবার কখনো চুমুকের সাথে সাথে হারিয়ে যাই নতুন চঞ্চলতায়, দেখুন চিন্তা করে এই রকম অনেক কিছুর সাথেই তুলনা করা যাবে।
শেষ কথা, জীবনের কঠিন বাস্তবতা কিংবা অভিজ্ঞতা আমাদেরকে সব কিছু নতুনভাবে বুঝতে শেখায়, ভাবতে শেখায় কিন্তু বয়স সেটা শেখায় না। ছোট বেলায় একটা প্রবাদ শুনেছিলাম অনেকটা এই রকম, যার হয় না নয় বছরে তার হবে না নব্বই বছরে। এটা পকৃতপক্ষে শতভাগ সত্য, কঠিন বাস্তবতা কিংবা অভিজ্ঞতা না থাকলে হয়তো বয়সের জোরে বড় হওয়া যাবে কিন্তু সম্মান পাওয়া যাবে না। আমি সময় পাড় করে বয়সের জোরে বড় হতে চাই না, বরং ছোট থেকে সম্মানের জায়গায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে চাই। কারন আমার কাছে সম্মানটা বেশী বড়, ক্ষমতা কিংবা অর্থ না। সত্যি বলছি আমি কখনোই ক্ষমতার পিছনে ছুটি নাই এবং ছুটতেও চাই না।
তবে যদি সম্মানটা ধরে রাখতে না পারি, তাহলে একটা কাজ ঠিক সঠিকভাবে করতে পারবো। সেটা হলো সামনের দরজা দিয়ে শান্ত ভাবে বেড়িয়ে যাবো অজানায়, নতুনভাবে আবার নিজেকে খুঁজে নেয়ার চেষ্টায়। আমার বিশ্বাস অন্ধকারে সবাই হারিয়ে যায় না, কিছু মানুষ ঠিক নিজের পথ খুঁজে নেয়। আমার অভিজ্ঞতা এবং আমার ভাগ্য, কখনোই আমাকে হতাশ করবে না, বিশ্বাস এবং আস্থা দুটোই আমার মাঝে প্রবল। ভালো থাকবেন সবাই নিজ নিজ অবস্থানে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
ভাইয়া হঠাৎ করে এসব কথা বলার কারনটা বুঝলাম না। ব্লগ পড়ে যা বুঝলাম চাকরী অথবা কর্মস্থলে কোন জামেলা হয়েছে। আমিও আপনার মত ছোট সময় একা একা থাকতাম,বসে বসে চিন্তা করতাম। প্রকৃতির সাথে মেশার চেষ্টা করতাম। যেহেতো আপনার ভাগ্য আপনাকে হতাশ করে নাই, আশা করি ভবিষ্যতেও করবে না। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
পৃথিবীতে সম্মান অনেক দামী একটা জিনিস। টাকা পয়সা যে কেউ ইনকাম করতে পারে, কিন্তু সম্মানের সাথে যে ব্যক্তি উপার্জন করতে পারে, তিনি সবচেয়ে উত্তম বলে আমি মনে করি। ভাগ্যকে অবশ্যই সবার বিশ্বাস করা উচিত। কারণ যেকোনো কাজে আমাদেরকে চেষ্টা করে যেতে হবে এবং ফলাফলের জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করতে হবে। তাহলে সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে নিরাশ করবেন না। যাইহোক একেবারে বাস্তবসম্মত কিছু কথা শেয়ার করেছেন ভাই। এককথায় দুর্দান্ত লিখেছেন। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এ কথাটা আমার নানু বলেছিল। কিন্তু কথাটার মানে তখন বুঝি নাই! আমার কাছেও মনে হয়, যেখানে নিজের সম্মান নেই সেখানে না থাকাই শ্রেয়। আমার কাজ, সততাকে ঠিকই কেউ না কেউ একদিন সম্মান দিবে। প্রকৃতি কখনো হয়তো নিরাশ করেন না। ভালো লাগলো কথাগুলো ভাইয়া 🦋
আমিও মনে করি আর মানিও সম্মান যেখানে নেই সেখানে টাকা-পয়সা হাজার থাকলেও আমি নেই।টাকা-পয়সা আজ আছে কাল নেই।কিন্তু সম্মানর গভীরতা আছে।খুব ভাল লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। আপনার মতো আমিও বসে ভাবি কি করলাম? কি করা উচিত? কেন করিনি? এ ধরনের নানা ভাবনা আমার মাঝেও আসে।আর প্রকৃতি তার সবটাই ফেরত দেয়,ভালো কিংবা মন্দ।প্রকৃতির মতো জীবনটা হলে জীবন সজীবতায় ভরপুর থাকতো।খুব সুন্দরভাবে লিখে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া,ভালো থাকবেন।