প্রকৃতি জ্ঞান আহরণের সবচেয়ে বড় সোর্স || Original Photography by @hafizullah

কেমন আছেন সবাই ? নিশ্চয় ভালো আছেন এবং সময়গুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। আমরা সফল হই কিংবা না হই চেষ্টা কিন্তু থামানো যাবে না। স্কুল জীবন হতেই একটা বিষয় বেশ ভালোভাবে বিশ্বাস করে আসছি আর সেটা হলো যারা থেমে যায় তারা কখনো চূড়ান্তভাবে সফল হতে পারে না। কিন্তু যারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে তারা একটা সময় পর অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে। সেই স্কুল জীবন হতেই আমি এই কাজটা করে আসছি, সফলতা পাই কিংবা না পাই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এখনো সেই বিষয়টি আমার মাঝে আছে। হ্যা, মাঝে মাঝে কোন কোন বিষয় নিয়ে হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে যায় এবং সকল কিছু হতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখি। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য কিন্তু তা কোনভাবেই আমার কাজের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে না।

আমি কোনভাবেই এটা পরিবর্তন করতে পারি নাই, বিষয়টি সেই ছোট বেলা হতেই আমার মাঝে বেশ ভালোভাবেই কার্যকর রয়েছে। কেন জানি কোন কিছু নিয়ে মনে আঘাত পেলে কিছু সময় কিংবা কয়েক দিনের জন্য আমি সব কিছু হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই। কেন জানি নিজেকে আড়ালে নিয়ে যেতে ভালো লাগে, নিজের চিন্তা শক্তিকে আরো বেশী কার্যকর করার ক্ষেত্রে আগ্রহটা বেড়ে যায়। এখন হয়তো অতোটা পানি না কিন্তু স্কুল জীবনে নদীর পাড়ে চলে যেতাম এবং সারাদিন সেখানে বসে থাকতাম। মানুষের জীবন যাত্রা, নদীর গতিশীল পরিবেশ, নিজের সমস্যা এবং চিন্তাভাবনা এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতাম।

মানুষের কিছু কিছু দূর্বলতা থাকে যেমন আমার ক্ষেত্রে এই বিষয়টা, এটা নিয়ে মনে হচ্ছে আগেও একবার লিখেছিলাম। কারন মানুষের কিছু অভ্যাস একটু ভিন্নভাবে জীবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায় এবং চেষ্টা করলেও সেটা হতে বের হওয়া যায় না। কিন্তু তবুও চেষ্টা করছি নিজের বৈশিষ্ট্যগুলো পরিবর্তন করার জন্য, নিজের জ্ঞানের সীমানা বৃদ্ধি করার এবং সময়ের সাথে সাথে নিজের অবস্থান খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য। একটা বিষয় সবাই স্বীকার করে প্রকৃতির মাঝে রয়েছে জ্ঞান আহরণের সর্বোত্তম সূত্র। যারা প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা করে এবং তার গভীরে প্রবেশ করতে পারে, তারা কিন্তু নতুন নতুন বিষয় ঠিক বের করে নিয়ে আসতে পারে। আমিও স্বল্প জ্ঞান নিয়ে মাঝে মাঝে সেটা চেষ্টা করছি।

আমরা নিজেদের উন্নয়নের কথা বলি কিন্তু উল্টো দিকে উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার প্রকৃতিকে ধ্বংস করি, যার কারনে আমাদের উন্নয়নগুলোর স্থায়ীত্ব থাকে না। দেখুন আমাদের অবস্থা হয়েছে অনেকটা গাছের মাথায় পানি ঢালা এবং গাছের গোড়া হতে মাটি সরিয়ে নেয়া, মানে আমরা যা করি সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। এখানেই আমাদের মূল সমস্যা, আমরা কাজ করি এক রকম আর ফলাফলটা কল্পনা করি অন্য রকম। কি অদ্ভুত চরিত্রের বেশিষ্ট্য আমাদের মাঝে, সত্যি মাঝে মাঝে নিজেও এসব চিন্তা করে অবাক হয়ে যাই।

যাইহোক, আমাদের চিন্তায় পরিবর্তন আসুক, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার সাথে সাথে জ্ঞানের পরিসীমা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে পকৃতির সুযোগ পূর্ণ ব্যবহার করতে পারি। আমরা শুধু নিজেদের ভালো বুঝলেই হবে না বরং মাঝে মাঝে ভালোর বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে, তাহলে হয়তো চিন্তাগুলো আলোর মুখ দেখবে এবং নিজেদের আলোকিত করতে পারবো। আশা করছি আজকের ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।