অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১২)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকতেই হবে কারন আপনি ভালো না থাকলে আপনার প্রিয় মানুষগুলোও যে ভালো থাকবে না। সুতরাং নিজের জন্য না হলেও প্রিয় মানুষগুলোর জন্য হলেও ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। যাইহোক আজ বাস্তবতা নিয়ে কোন কথা বলবো না, বরং কলকাতা ভ্রমণের আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। হ্যা, ঠিক ধরেছেন ভিক্টোরিয়া, ভিক্টোরিয়অ মেমোরিয়াল হলের ভিতরে ঢোকা এখনো বাকি আছে। না না না আজকে ভিতরে প্রবেশ করবো এটা ফাইনাল, না হলে ডাবল টিকেটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে হি হি হি। সুতরাং আজ মন খারাপ করার কোন কারন নেই, কারন ভেতরের কিছু দৃশ্য আজ দেখার সুযোগ পাবেন।
আসলে বাহিরের দৃশ্যগুলো যতটা সুন্দর এবং আকর্ষণীয়, ভেতরের পরিবেশটাও ঠিক ততোটা সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। স্থাপত্য কৌশল এবং তা ফুটিয়ে তোলার দারুণ প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে সফল, এই কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে আমরা যারা সুন্দর কিছু কিংবা অতীত নিদর্শন দেখতে পছন্দ করি, তাদের কাছে এটা সত্যি দারুণ কাংখিত একটা স্থাপনা। অতীত নিদর্শন এবং তার স্থাপত্য কৌশল আপনাকে দারুণভাবে মুগ্ধ করবে। সত্যি চারপাশের সুন্দর পরিবেশ এবং মানুষের উপস্থিতি আমাদের আরো বেশী আগ্রহী করে তোলে ভেতরে প্রবেশ করার জন্য। হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন বাহিরের সৌন্দর্য দেখে, ভেতরটা এই রকম নাও হতে পারে কিন্তু সেই ভাবনাটা সত্যি ভুল প্রমাণিত হবে ভেতরে প্রবেশ করার পরই।
আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম, বেশ সুন্দর এবং ভালো ছিলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হওয়া ছাড়া কারোরই ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ ছিলো না, এটা সত্যি ভালো ছিলো। কারন এই রকম স্থাপনায় যারা প্রবেশ করবেন না ভিজিট করতে আসবেন তাদের নিরাপত্তা এবং ভবনের নিরাপত্তার খাতিরে এসব করা জরুরী ছিলো। ভেতরে প্রবেশ করেই বেশ অবাক হলে গেলাম এবং চারপাশটা পুনরায় মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলাম। বেশী অবাক হয়েছি ভেতরে মানুষের উপস্থিতি দেখে। সত্যি বলতে ভেতরে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি আমাদের ডাবল অবাক করেছে, কারণ বাহিরে যত মানুষ দেখেছি তার চেয়ে বেশী মানুষ ছিলো ভেতরে। অনেকটা সেই ডায়লগের মতো, ভেতরে পা রাখার জায়গা ছিলো না।
দেখুন বিখ্যাত স্থাপনাগুলো বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশী যেটা ভূমিকা পালন করে সেটা হলো স্থাপনাটিতে ফুটে উঠা নিখুঁত এবং নিপুণ কারুকাজ, বাহিরে দিকের সাথে ভেতরের দিকটার দারুণ সামঞ্জস্য রাখা। এটা খুব দারুণভাবে করা হয়েছিলো। আমরা মানুষ ঠেলে আরো ভেতরের দিকে যেতে লাগলাম, বিশাল হলরুমের মাঝে উপস্থিতি হয়ে চারপাশটা অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকলাম, সত্যি দারুণ মুগ্ধকর কিছুর স্বাক্ষী হলাম, এই রকম মনে হয়েছে আমার কাছে। সবাই যার যার অবস্থান হতে দারুণ মুহুর্তের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত। আমরাও আমাদের মতো করে যথেষ্ট ফটোগ্রাফি করলাম। বিশাল আয়তনের ভবনটির সবগুলো কক্ষ মনে হয় আমরা দেখতে পারি নাই, কারন আমার কাছে মনে হয়েছে কয়েকটি পাশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
যে পাশটা খোলা ছিলো আমরা সেগুলো দেখার জন্য প্রবেশ করলাম, প্রথমটায় ছিলো অতীত ইতিহাস নির্ভর কিছু নির্দেশনা যেখানে নির্ভীক সুভাষ নামে একটা গ্যালারী ছিলো, বেশ সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিলো সেটা। আমরা সেটা দেখতেছিলাম আর ইতিহাসের অতীত গল্প শুনতেছিলাম কিংপ্রস ভাইয়ের নিকট হতে। বেশ দারুণ কিছু জানেন কিংপ্রস ভাই নেতাজির সম্পর্কে। আমরা পুরো গ্যালারীটি ঘুরে দেখলাম এবং মনে হলো অতীতের কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম।
তারপরের সাইডটি ছিলো আর্ট গ্যালারীর। অসংখ্যা ফ্রেমে সাঁটা দারুণ সকল ফটোগ্রাফি, অবশ্য ফটোগুলোর নিচে সাদা কাগজে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংযুক্ত ছিলো। এটা দারুণ ছিলো, কারন তথ্যগুলোর মাধ্যমে অনেক কিছুই সহজে জানার সুযোগ থাকে। যদিও ছবিগুলো ধরা নিষেধ ছিলো, কিন্তু আমরা থাকা অবস্থায়ই একজন ভদ্রলোক একটা ছবির ফ্রেম ফেলে দেন এবং সেটা ভেঙ্গেও যায়। অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আমরা কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেই সেখান হতে চলে আসি। তারপর সামনের দিকটায় আরো কিছুটা সময় ব্যয় করি। বাহিরে প্রচুর গরম থাকরেও অপ্রত্যাশিতভাবে ভেতরটা বেশ ঠান্ডা ছিলো। তাই হয়তো কেউ বের হতে চাচ্ছিলো না, কিন্তু আমাদের সময় যেহেতু কম তাই আমরা দেরী না করে দ্রুত বের হয়ে আসলাম।
তারিখঃ মার্চ ২৬, ২০২৩ইং।
লোকেশনঃ কলকাতা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
আপনাদের পোষ্ট থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর অনেক ছবি দেখেছি। আজ ভিতরে কিছু অংশ দেখলাম সত্যিই অনেক চমৎকার কিছু কারুকাজ রয়েছে, কবে যে সেই কলকাতায় গিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর সেই কারুকাজ গুলো নিজের চোখে দেখবো সেটার জন্য অপেক্ষা করছি।
আসলেই ভাই দারুণ একটা জায়গা, সুন্দর সময় ব্যয় করার জন্য বেশ দারুণ পরিবেশ রয়েছে ভেতরে।
ধারাবাহিক ভাবে কলকাতা ভ্রমনের কাহিনী-অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১২)তে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের অন্দরমহলের দৃশ্য নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হয়েছেন। এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। আপনার ফটোগ্রাফিতে ভিতরের দৃশ্য দেখে খুব ভাল লাগলো।শুভ কামনা আপনার জন্য।
ভাইয়া শেষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলরুমে গেলেন।আর অতীত ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হলেন।কলকাতা গিয়ে আমিও এখানটাতে এসেছিলাম।আমার অনেক ভালো লেগেছিল। কত সুন্দর কারুকাজ। আর এখানে লোকজন সব সময়ই থাকে। তাই এতো ভীর।নতুন করে আবার আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেলাম।অনেক ভালো লাগলো বেশ কিছু বছর পর দেখে।ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনার কলকাতা ভ্রমন ১২তম পর্ব পড়ে অনেক কিছু শিখলাম। আপনার মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিতরের বাহিরের অনেক দৃশ্য দেখলাম। প্রথম ফটোগ্রাফিটা আন্তর্জাতিক মানের ফটোগ্রাফি হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া দেখতে দেখতে অনুভূতির গল্প- হৃদয়ের টানে কলকাতা (পর্ব-১২) অতিক্রম করে করে ফেললেন। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলিকাতার একটি ঐতিহাসিক জায়গা। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেখানকার বেশ সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলো দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালো না থাকলেও প্রিয় মানুষের কথা ভেবে অনেক সময় ভালো থাকতেই হয়।যাইহোক আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের ভিতরে শুধুই যুদ্ধের আসবাবপত্র থরে থরে সাজানো।এখানে বাঙালি, নন বাঙালি লোকের আনাগোনা চলতেই থাকে সবসময়।তাছাড়া বহু পুরোনো নিদর্শন রয়েছে এখানে যেটা ইতিহাস শিখতে সাহায্য করে।দারুণ সময় পার করেছিলেন আশা করি,ধন্যবাদ ভাইয়া।