প্রকৃতি ঠিক প্রকৃতির মতোই- প্রকৃতির ফটোগ্রাফি || Original Photography by @hafizullah
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং প্রকৃতির মতো সতেজ ও সজীব আছেন। যদিও শীতের কারনে অনেকেই বেশ সমস্যার মাঝে আছেন। আসলে শীত বাড়ার সাথে সাথে অসুখ বিসুখের স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যায় এবং তারা দ্বিগুন শক্তিশালী হয়ে আমাদের উপর আরো বেশী আগ্রাসী হয়ে উঠেন, যার কারনে আমরা একটু বেশী অসুস্থ্যবোধ করে থাকি। যার কারনে অনেকেই দেখছি চারপাশে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন এবং সুস্থ্য হওয়ার লড়াইয়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তবে এটাও একটা ভালো দিক কারন যত বেশী অসুস্থ্য হবেন নিজের প্রকৃত অবস্থান ততো বেশী সহজে বুঝতে পারবেন। আর আমাদের একটা বদ অভ্যেস আছে, টাকা থাকলেও সেটা খরচা করতে চাই না কিংবা ভালো খাবার খেতে চাই না। কিন্তু যখনই অসুস্থ্য হয়ে যাই, তখন টাকা না থাকলেও ধার করে হলেও ভালো ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি।
কিন্তু এই কাজটা যদি সুস্থ্য থাকা অবস্থায় কারতাম তাহলে নিশ্চিতভাবে আমাদের অবস্থান আরো বেশী শক্তিশালী ও সুন্দর থাকতো। আসলে আমাদের বুদ্ধি বেশীতো তাই আমরা যে কোন সহজ কাজকে সহজভাবে করার চেষ্টা করি না। যার কারনে সুযোগ নষ্ট করে কাজটিকে জটিল করে তোলি এবং প্রয়োজনে ধার দেনা করে বেশী খরচা করার চেষ্টা করি। আরে ভাই বাঙালি বলে কথা, বাঙালির চরিত্রটাতো ঠিক রাখতে হবে নাকি? না না সিরিয়াসলি নিয়েন না এটা আবার, তাহলে কেউ কেউ বাঙালির দোহাই দিয়ে আমার নামে মামলা ঠুকে দিতে পারে। আজকাল দেশে যা না তা নিয়ে মামলা ঠুকে দেয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই কথা বলার পূর্বে মাঝে মাঝে বেশ ভীত থাকি। কখন কে আবার কোন দিক হতে মামলা ঠুকে দেয়, হি হি হি।
যাইহোক আজকে পুনরায় প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো এবং তার সাথে একটা সুন্দর ঘটনা উপস্থাপন করবো। ছোট বেলার একটা কথা বেশ শুনতাম উদাহরণ হিসেবে, যদিও এখন সেই উদাহরণগুলোর তেমন একটা দাম নেই। কারন আগে আমরা মুরব্বিদের নিকট হতে যতটা উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত শুনতাম সেগুলো আজকাল কেউ পছন্দ করে না এবং শুনতে চায় না। কথাটা এই রকম ছিলো যে, এক লোক নানা ভাবে, নানা কসরত করে, বেশ সময় বার বার মেকাপ করে আর দীর্ঘ সময়ের জন্য আয়নার সম্মুখে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর একটা সময় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে নাহ, আমি একদমই আমার মতো, কোনভাবেই সেটা পরিবর্তন করতে পারছি না। যতই মেকাপ কিংবা কসরত করুক সে কিন্তু তার চরিত্র হতে বের হতে পারে না আর সেটা বুঝতে পেরেই বার বার নিজেকে নিয়ে আফসুস করতো।
দেখুন আমাদের প্রকৃত অবস্থা কিন্তু সেই রকম, এই গল্পটি কিংবা কথার মাঝে দারুণ একটা ম্যাসেজ আছে, হয়তো আমরা কেউ সেটা বুঝতে পেরেছি হয়তো কেউ আবার কিছুই বুঝতে পারি নাই। আগের দিনের মানুষগুলোর মাঝে হয়তো শিক্ষার অতো বেশী সার্টিফিকেট ছিলো ন, হয়তো একাডেমিক অতো বেশী শিক্ষা ছিলো না, কিন্তু তাদের মাঝে প্রকৃত মন ছিলো এবং দারুণ অভিজ্ঞতার জ্ঞান ছিলো, যার কারনে তারা যে কথাগুলো বলতো এবং যে দৃষ্টান্তগুলো দিতো সেগুলোর মাঝে সত্যি অনেক গভীর অন্তকথা লুকিয়ে থাকতো। তাদের সংস্পর্শ কিংবা সাহচর্চ মানুষদের দারুণ কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ করে দিতো, তাদের কাছাকাছি থাকার কারনে অনেক কিছু শেখার সুযোগ হতো। আফসুস, আজ আমরা দামি দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, বড় বড় সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেও নিজেদের মন ও মানসিকতাকে ততোটা উন্নত করতে পারি না।
আপনি নিজের অবস্থান এবং নিজের যোগ্যতার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করুন, যতই সুন্দর মেকাপ কিংবা পোষাক পরিধান করুন না কেন, নিজের প্রকৃত রূপটি হয়তো লুকাতে পারবেন কিছু সময়ের জন্য কিন্তু নিজের প্রকৃত অবস্থাটি খুব বেশী সময়ের জন্য লুকায়িত করতে পারবেন না, একটা সময় পর আপনার আসল চরিত্রটি ঠিক বেরিয়ে আসবে, এটাই সত্য। আমরা হয়তো নানাভাবে আমাদের অযোগ্যতাগুলোকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করি, আমরা নিজেদের জ্ঞানী হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি, কিন্তু দিন শেষে নানাভাবে এবং আমাদের কাজের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ও অযোগ্যতার বিষয়টি ঠিক সামনে চলে আসে। আসুন একটু চেষ্টা করি, নিজেদের ভেতরটা আলোকিত করা চেষ্টা করি, জ্ঞানের আলো ভেতরে না থাকলে যতই মেকআপ করা হোকনা কেন সেটা দ্বারা ভেতরটা কখনোই আলোকিত করা যাবে না।
প্রকৃতির দৃশ্যগুলো দেখুন, প্রকৃতি সর্বদা তার প্রকৃত অবস্থা নিয়ে থাকে, সতেজ এবং সজীবতায় সর্বদা আচ্ছাদিত থাকে। আমরা সেটা উপভোগ করি কিংবা না করি তাতে তার কিছু আসে যায় না। ঠিক তেমনি জ্ঞানীদের আপনি মূল্যায়ন করুন কিংবা নাই করুন তাতে তার কিছুই আসে যায় না। আশা করছি কথাগুলো সবাই বুঝতে পেরেছেন। আজ তাহলে এখানেই শেষ করলাম।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ইং।
লোকেশনঃ সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাই মামলা খাবেন আপনি যে পরিমান বাঙালির বিষয়ে লিখেছেন ৷হিহিহি!!
যা হোক মামলা খান তাতে সমস্যা নাই ৷ তবে কথা গুলো একদম যথার্থ ছিল ৷ আসলে একটা কথা বলে না ৷ উচিত কথা বলতে গেলে আমি খারাপ ৷ ভাই আমরা জাতে বাঙালি এসব থেকে যাবে ৷ হাহাহাহাহা!!!
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া। আশাকরি এই শীতের ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদারে বেশ ভালোই আছেন।ভালো থাকবেন এমনটাই আশাকরি।
আপনি ঠিক বলেছেন,ভেতরে জ্ঞান না থাকলে, মেকাপ করে নিজেকে বেশিক্ষন সবার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা যায় না।মেকাপের আড়ালের মুখটা এক সময় ঠিক বেরিয়ে পরবে।আগের মুরব্বিদের কথার মূল্য আছে।হয়ত তারা তেমন শিক্ষিত ছিলেন না কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতার অনেক মূল্য আছে।শিম ফুলের ও গাছের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে ভাইয়া।😍 সুন্দর সুন্দর কথা,মেসেজ আর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করেছেন।আসলে বাঙালিদের স্বভাব এটাই যে সময় থাকতে কোনো কাজে গুরুত্ব না দিয়ে অসময়ে আফসোস করা।প্রকৃতির ছবিগুলো ভালো ছিল।একদমই তাই,আগেকার মানুষ পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও মানবিকতার শিক্ষায় দীক্ষিত ছিল।কিন্তু এখন আর নেই সেটা,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টগুলো ভালো লাগার একটা বড় কারণ হলো চমৎকার ফটোগ্রাফির সাথে তীব্র বাস্তব কিছু কথা বলেন।মানে দুই ইন ওয়ান কম্বো প্যাক।
বরাবরের মতোই লেখাগুলো মন ছুয়ে গেছে।ছবিগুলোও দারুণ ছিল। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি তো বাঙ্গালীদের কে একদম ভালোভাবেই টাইট দিয়েছেন। আসলে কয়েকটা বাস্তবিক কথা আপনার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ঠিক বলেছেন আমরা আসলে যখন সুস্থ থাকি তখন ভালো খাবার খেয়ে আরও বেশি সুস্থ থাকার চিন্তা করি না। যখন অসুস্থ হয়ে পড়ি তখনই, কিন্তু টাকা না থাকলেও সেসব কিছু করার চেষ্টা করি। আর আপনার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ভাইয়া প্রকৃতির ছবির মাঝে মাঝে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বাঙ্গালিরা এমনই বিপদে না পড়লে তাদের হুশ আসে না। অসুস্থ হলে তখন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আপনার আবোল তাবোল আর এই ধরনের পোষ্ট গুলোতে ভালই তথ্য পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।