"রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব"
নমস্কার
রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব:
26 শে মে রেমাল ঘূর্ণিঝড় নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্কের শেষ নেই।বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলগুলি খুললেই ঝড়ের তান্ডবতা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।মে মাস আসলেই বিভিন্ন বড় ঝড়ের দেখা মেলে পূর্বেও আমরা দেখেছি।কারন--ইয়াস ঝড় ও আমফান ঝড়ও এই মে মাসেই হয়েছিলো পূর্বের বছরগুলোতে।
গতদিন সারাদিন ঝড়ো হাওয়া বইছিল আমাদের এখানে অর্থাৎ বর্ধমানে।বর্ধমানে প্রতিবছর কালবৈশাখী ঝড়ের বেশ তান্ডব লক্ষ্য করা যায় কিন্তু এ বছর বৈশাখ মাসে কোনো কালবৈশাখী ঝড় দেখা যায়নি।তবে গতকাল রাত 10 টা থেকে ভারী বৃষ্টি ও রাত 11 টা থেকে ঝড় হওয়ার কথা ছিল বিভিন্ন জায়গায়।সারাদিন ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলেও ঠিক রাত 11 টার সময় থেকে শুরু হয় আমাদের এখানে বৃষ্টি আর ঝড়ের গতি বাড়তে থাকে।রাত যত বাড়ে বৃষ্টির তীব্রতা ততই বেড়ে যায়।
রাতে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় ঝড়ের সঙ্গে।যদিও চারদেওয়ালের মাঝে কিংবা পাকা বাড়িতে এটা ঠিকভাবে অনুভব করা যাবে না।তবে টিনের ঘর কিংবা আমাদের মতো আজবেস্টরের ছাউনি দেওয়া ঘরে খুব ভালোভাবেই অনুভব করা যায় ঝড় ও বৃষ্টিগুলি।ফলে বাড়তি অনেক চিন্তাও থাকে মনে, ঝড়ের দাপটে প্রবল বৃষ্টিকেও যেন উড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছিলো।এইজন্য গতকাল রাত থেকে অনেক বাস, ট্রেন চলাচলও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।সারারাত নির্ঘুমে ও চিন্তায় তো কেটেই গেল বিড়ালের ছোটাছুটি ও গোঙানিতে।কিন্তু ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত ঝড়ের গতি আরো বেশি তীব্র হয়েছে রাতের তুলনায়।এলোমেলো ঝড়ের তীব্রতায় আমাদের অনেকগুলো গাছ গোড়া থেকে পাকিয়ে উপড়ে গিয়েছে।আর অনেকগুলো ফল ও ফুল নষ্ট করে দিয়েছে।যেমন--জামরুল,আম,পেয়ারা,কামরাঙ্গা ফল ও কলার কাধী নষ্ট করে দিয়েছে।ঘরের বাইরে বের হওয়াই যাচ্ছে না এতটা ঝড়ের গতি।আজ সারাদিনও ঝড় হবে বলে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জানা যাচ্ছে।আমাদের কলাগাছগুলো এমনভাবে ঝড়ের কবলে বারী খেয়েছে যে পরবর্তীতে অনেক কলাগাছ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।কিছু কলা আবার ঝড়ের কবলে সবই ছাড়িয়ে মাটিতে পড়ে লুটোপুটি খাচ্ছে যেন।
বৃষ্টি হলে শহরে জল জমে কিছুটা সমস্যার মুখে পড়তে হয় ঠিকই কিন্তু গ্রামে জল সরানোর ব্যবস্থা থাকায় তেমন সমস্যা হয় না।কিন্তু এই ঝড়ের জন্য প্রচুর মানুষের ঘর-বাড়ি নষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মাছের ঘেরে ক্ষতি, ফল ও সবজি ফসলের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।যার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিও নিশ্চিত হয়ে যায়।আসলে প্রকৃতির কাছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র।তাই প্রকৃতির সম্পর্কে আমরা নিখুঁতভাবে নিশ্চয়তা দিতেও পারি না তারপরও যেটুকু জানা যায় তার উপরে ভিত্তি করেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।ঝড় কিংবা বন্যা মানেই ক্ষতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া।তবে আশা করি এই ঝড়-বৃষ্টি খুব তাড়াতাড়ি থেমে যাক।সবাই অনেক অনেক সাবধানে থাকবেন এবং পরিবারের সবাই একসাথে থাকার চেষ্টা করবেন।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির কথা শোনা যাচ্ছে। আমাদের এখানে আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আজকে সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে এবং বাতাস রয়েছে। দ্রব্য মূল্যের দাম যে বাড়বে, সেটা বলাই যায়। আসলে এই মুহূর্তে সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই। কারণ প্রকৃতির কাছে আমরা একেবারেই অসহায়। দোয়া করি সার্বিক পরিস্থিতি যেনো খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্ধমান রাজ্যে তো দেখছি রেমাল ভালই তান্ডব চালিয়েছে। তবে আমাদের দেশে রংপুর জেলায় এখনো সেরকমভাবে রেমাল এর তাণ্ডব লক্ষ্য করা যায়নি তবে বেলা ১১ টা থেকে একটু একটু বাতাস শুরু হয়েছে। সাবধান এবং যথাসাধ্য নিরাপদে থাকার চেষ্টা করবেন আপু। সতর্ক থাকার বিকল্প কিছু নেই। রেমাল কে নিয়ে ভারতের বর্ধমান রাজ্যের কিছু আপডেট আমাদের জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
হুম তবে,সুন্দরবনের দিকে ও বাংলাদেশের দিকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভাইয়া।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় বেশ কয়েকটা জায়গাতেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষগুলোর অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আপনাদেরও অনেক গাছ নষ্ট হয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। গ্রামে থাকা মানুষদের আসলে ক্ষয়ক্ষতি একটু বেশি হয়। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু,বাংলাদেশ এবং ভারতের বেশ কয়েকটা জায়গাতেই রেমাল আঘাত হেনেছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু ঘূর্ণিঝড় রেমাল ভালোই ক্ষয়ক্ষতি করে গেছে। অনেক জাগায় রাস্তা ভেঙ্গে গেছে,গাছ পড়ে গেছে। অনেক জাগায় পানিও উঠেছে। যায়হোক এটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, এটা প্রকৃতির ব্যাপার।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি বাংলাদেশের বরগুনা শহরে থাকি। বরগুনা বাংলাদেশের একটি উপকূলীয় অঞ্চল। বরগুনা শহর এবং এর আশেপাশের উপকূলীয় অঞ্চল। এখান থেকে, সুন্দরবন এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত কাছাকাছি। ঘূর্ণিঝড় রিমাল বরগুনা শহরে আঘাত হানার পর বিশাল বেগে বাতাস এবং প্রবল বৃষ্টিপাতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশে। তবে এখন সব কাটিয়ে পুরো শহর এবং সকল মানুষ ঘুরে দাড়াচ্ছে। জীবনের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছি।
ভারতের কিছু উপকূলীয় এলাকায় রেমাল আঘাত হেনেছে।আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, স্বাগতম আপনাকে।