"সুন্দর পৃথিবীতে হিংস্রতা বাসা বাঁধছে"
নমস্কার
সুন্দর পৃথিবীতে হিংস্রতা বাসা বাঁধছে:
প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে থাকি।খুঁজে চলি নতুনের সন্ধান আর এটা করার মাঝে আলাদা একটা পরিতৃপ্তি যেমন পাওয়া যায়। তেমনি ভালো লাগে নতুন কিছু দেখতে বা জানতে।তেমনি কিছু বিষয় শুনলে আমাদের হৃদয়ে হাহাকার তোলে,আমাদের শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় ভয়ে কিংবা বিষণ্নতায়,হৃদয়ে অদ্ভুত কম্পন অনুভব হয় আবার কখনো বা হৃদয় অদ্ভুতভাবে নাড়া দেয়,স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।তো সেই অনুভূতিই শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে,তো চলুন শুরু করা যাক---
পৃথিবী রঙিন,পৃথিবী বড্ড সুন্দর।কিন্তু এই রঙ্গিনের রূপ বদলায় আমরা মানুষেরা,আবার সুন্দরকে ভরিয়ে দিই অপকর্ম দ্বারা অসুন্দরের প্রতিচ্ছবিতে।রঙিন পৃথিবী ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে ধূসর ও ছাইয়ের চাদরে ঢাকা। প্রতিনিয়ত এই পৃথিবীর মানুষেরা বুদ্ধিহীন হয়ে পড়ছে,মানবিকতা হারাচ্ছে।ভালো সম্মান আশা করা যেমন ত্যাগ করছে তেমনি ভালো সম্মান দেওয়ারও ক্ষমতা হারাচ্ছে উগ্র মনোভাবের জন্য,যাকে বলে স্বভাবদোষে দুষ্ট। মানুষ লোকচক্ষুকে উপেক্ষা করে নৃশংস কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত।এই হিংস্র রূপ তার মধ্যেকার পশু সত্ত্বাকে তুলে ধরে।আগে এই ঘটনাটি খুবই কম ঘটতো।কিন্তু আধুনিক যুগে এইসব ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে যেখানে মানুষের ধৈর্য্যশক্তি অনেকখানি নেই বললেই চলে।প্রতিনিয়ত খবরের কাগজে চোখ রাখলে কিংবা টিভির পর্দা দেখলেই বোঝা যায় কত হিংস্র কাজ করে চলেছে মানুষ।তেমনি একটি ঘটনা আপনাদেরকে বলি।
ইউটিউবে চোখ রাখতেই দেখলাম কয়েক দিনের মধ্যেকার ঘটনা একজন মা তার নয় বছরের ছেলেকে মেরে ফেলেছে।এটা জানার পর অনেকে হয়তো বলবেন, তার মা হওয়ার অধিকার নেই, মা নামের কলঙ্ক ইত্যাদি ইত্যাদি।যাইহোক কোনো বিষয়ের পিছনে কারন অবশ্যই থাকে।কিন্তু আমরা না বুঝেই সমালোচনা করি অনেক মানুষকে।নয় বছরের ছেলেটির অপরাধ ছিল দুস্টুমি করা ।
মহিলাটির এক ছেলে ও এক মেয়ে।মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে।মহিলাটির স্বামীর কোনো খবর সে জানে না, বোঝা যাচ্ছে বিচ্ছেদ।মহিলাটি ঘর বাড়ি রেখে সবসময় ভাড়া বাড়ি থাকে।মাত্র 14 দিন হয়েছে বাড়ি পরিবর্তন করার।তার নয় বছরের ছেলে পড়াশুনা করে না, এমনকি তার মায়ের কাজ করে জমানো টাকা চুরি করে।এভাবে তার বন্ধুরাও তাকে খেলতে নেই না খেলাধুলায়।এমনকি তার মায়ের সঙ্গে কাজের বাড়ি গেলেও তাদের জিনিস ভেঙে ফেলে।আবার বাড়িও ঠিক মতো থাকে না।তাই তার মা তার গলায় দড়ি দিয়ে সন্ধ্যার সময় মেরে ফেলে।একজন মা কতটা অসহনীয় হয়ে পড়লে,মন থেকে বিদ্রুপের পাত্রী হলে এমন কাজ করতে পারেন।তার মায়ের বক্তব্য এই ছেলেকে মেরে ফেলাতে তার-ই কোনো আফসুস নেই ,কারন এর জন্য আরো 10জন ছেলে খারাপ হয়ে যাবে।ঘটনাটি মনে হয় ত্রিপুরার।।তো মহিলাটি কতটা ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়েছিল সেটাই ভাবনার।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP,
0.00 TRX
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
আপনার পোস্টের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা মূলক আলোচনা উপস্থাপন করেছেন। মা তার নয় বছরের ছেলেকে মেরে ফেলল বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। ছেলে যতই দুষ্টুমি এবং অপরাধ করুক না কেন, মা কখনো তার ছেলেকে মারতে পারে না। আর এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। সবকিছুর জন্য একটি সুন্দর সমাধান খুঁজে বের করা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে।
একেবারেই ভালো সমাধান অন্যায় কাজ করা থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করে।
পৃথিবীতে হিংস্রতা বাসা বেঁধেছে, এটা আমি মেনে নিলাম। তবে তাই বলে একজন মা তার নয় বছরের সন্তানকে মেরে ফেলে দেবে...!😥 সন্তান যতই অন্যায় করুক না কেন তাই বলে তো তাকে মেরে ফেলে দেওয়া যায় না। আমার তো মনে হয় মহিলাটি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, এজন্য এই কাজ করেছে। তবে সব থেকে অবাক লাগলো এটা জেনে যে, ছেলেটাকে মেরে ফেলেও তার মায়ের কোন আফসোস হচ্ছে না।
হ্যাঁ দাদা,মহিলাটি তার ছেলের দুস্টুমির জন্য অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল।তার মতে,তার ছেলে এতটাই দুস্টুমি করতো যে সে পাগল হওয়ার মতো উপক্রম হয়েছিল।।
সেসব তো ঠিক আছে, তাই বলে নিজের ছেলেকে মেরে ফেলার মত এরকম একটা সিদ্ধান্ত সেই মহিলা কি করে নিতে পারে! সেটাই সবথেকে বড় ভাবার বিষয়।😥
হ্যাঁ দাদা,সেটা ঠিক।আবার উল্টো দিক থেকে চিন্তা করলে সে কতটাই বিরক্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল যে অপরাধবোধটি কাজ করে নি মনে।