"একরাশ অনুভূতিতে রাতের আকাশ"
নমস্কার
একরাশ অনুভূতিতে রাতের আকাশ:
প্রকৃতি সবসময় অপূর্ব সৌন্দর্য্যে সমাহিত।এই প্রকৃতির সুন্দর রূপকে কেউ উপভোগ করে আবার কেউ তুচ্ছ করে, কেউবা আবার কখনো প্রকৃতির বিষয় নিয়ে ভাবতেই চায় না কখনো।কিন্তু প্রকৃতির টানে ছুটে চলে আসে অনেকেই গ্রামে কিংবা পাহাড়,সমুদ্র আর জঙ্গলে।প্রকৃতি নিয়ে অবশ্যই এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করলে তবেই এটা সম্ভব।কেউবা শহরের ধূলিকনা গাঁয়ে মাখতে মাখতে আর চারদেওয়ালের মাঝে দমবন্ধ হয়ে কাটাতে কাটাতে মুক্তি পেতে চলে আসে নির্জন কোনো জায়গায়।তবে যারা ভাবুক মনের মানুষ যেমন-ফটোগ্রাফার, আর্টিস্ট কিংবা কবি তারা প্রকৃতিকে ঠিক আপন করে খুঁজে পেতে চায়।দিনের রঙিন আকাশ যেমন তাদের লেখার প্রধান বিষয় হতে পারে, তেমনি একইভাবে রাতের অন্ধকার আকাশও তাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।তাই সুন্দর চিন্তননেরাই পারে এমন খুঁটিয়ে প্রকৃতির রস আস্বাদন করতে।
পরশুদিন রাতে আকাশের দিকে তাকাতেই দেখলাম চাঁদের পাশে যেন ফেঁটে চৌচির।সঙ্গে তার আশেপাশের দৃশ্যও যেন সাদা,কালো আর নীল রঙের ইয়া বড় অসমান ফাঁটল ধরা পাথর সাজিয়ে রেখেছে কেউ।আর চাঁদকে ঢেকে নেওয়ার প্রস্তুতিতে মেঘগুলোর আনাগোনা।রাতের আকাশের মাঝে কলাপাতাগুলি ধনুকের মতো বেঁকে কালো রঙের গভীরে মিশে গেছে।চাঁদ নিয়ে কত আজগুবি গল্প আমরা শুনে থাকি ছোটবেলা থেকেই।যেমন--মায়েরা বাচ্চাদের চাঁদমামাকে দেখিয়ে ভাত খাওয়ানোর প্রস্তুতি নেন।আবার কেউ কেউ বলেন, চাঁদের মধ্যে এক বুড়ি থাকে যে চরকা কাটে প্রতিনিয়ত।আর এই চরকাগুলি কাটা হয় বরফের খন্ডকে বেঁধে পৃথিবীকে রক্ষা করতে প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে।আমি শুনেছি,চাঁদের মধ্যে ইয়া বড় একটি বট গাছ রয়েছে।সেই গাছের গায়ে দড়ি দিয়ে একটি গরু বাঁধা রয়েছে, এক বুড়ি সেই গরুর দুধ দোহন করছে।আর একপাশে রয়েছে ছোট্ট একটি গরুর বাচ্চা।কত ভালোই লাগে এমন মানুষের মন থেকে সৃষ্ট আজগুবি গল্প শুনতে তাই না!
আকাশ সবসময় তার রূপ বদল করে।একেক সময় একেক রঙের মিশ্রনে সেজে ওঠে আকাশ।কিন্তু সেটা উপভোগ করে কয়জনা,মানুষের যখন নিতান্তই একাকীত্ব মনে হয় তখন আকাশ-ই একমাত্র ভরসা।আকাশপানে তাকিয়ে সবাই এই নিৰ্জনতাকে আগলে ধরতে চায়, এই নির্জন প্রকৃতিকেই বড্ড আপন বলে মনে হয় তখন।চাঁদের মধ্যে আসলেই বড় বড় গর্ত ছাড়া আর কিছুই নেই।আজকের এলোমেলো অনুভূতি পড়ে আপনারা আমাকে কি যে ভাববেন জানি না! কিন্তু ভালো লাগে মাঝে মাঝেই এমন পাগলামি ভরা ভাবনাগুলো নিজের মতো করে লিখতে।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
রাতের আকাশ নিয়ে আপনি চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন। আসলে আপু রাতের আকাশে সত্যি চাঁদ মামা দেখতে অনেক ভালো লাগে। আপনার মতো আমরা ও শুনেছি চাঁদের বুড়ির গল্প।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
আপনিও এই গল্প শুনেছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।
জি দিদি ঠিক বলেছেন ছোট বেলায় মা বলতো চাঁদের মধ্যে বুড়ি বসে থাকে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভীষণ ভালো লাগে। আকাশ এবং চাঁদের ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর লাগতেছে। মনে হচ্ছে যেনো সব কিছু ফেটে যাচ্ছে। চমৎকার লিখেছেন ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার লেখা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি পরশুদিন চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখলেন চাঁদের আশেপাশের আকাশ টুকু দেখে মনে হচ্ছিল যে ভেঙে চৌচির। এমনটা মাঝেমধ্যে দেখা যায় আমিও যখন একা একা আকাশ দেখি তখন ইদানিং দেখছি এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। যাই হোক হয়তো বা প্রকৃতির পরিবর্তনের জন্য এমনটা ঘটতে পারে। আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া, মেঘ জমলে আকাশে এমন পরিবর্তন দেখা যায়, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
হ্যাঁ আপু আকাশের রং কখনো স্থির থাকে না। কয়েক মিনিট পর পর তার পরিবর্তন হতে পারে বা কয়েক ঘন্টা পর পর তার পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু আজকের যেমন দৃশ্য ছিল কালকে সেই দৃশ্য কখনোই আসবেনা এটাই স্বাভাবিক। তবে আকাশের সৌন্দর্য ফটোগ্রাফি করতে আমার খুব ভালো লাগে। বেশ দারুন একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
প্রকৃতি আসলেই সদা পরিবর্তনশীল,ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
রাতের আকাশ নিয়ে চমৎকার একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল দিদি। ছোটবেলায় মা বলতো চাঁদের মধ্যে বুড়ি বসে আছে।আর তখন সুন্দরভাবে দেখতাম বুড়ি কি করছে চাঁদে। প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্যে আমরা মুগ্ধ হই।চাঁদের এমন পরিবর্তন আমিও লক্ষ্য করেছি।কারণ আমি মাঝেমধ্যে রাতে চাঁদ দেখি আমার অনেক ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মায়ের বলা অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।