"জামের দাম শুনেই চক্ষু চড়কগাছ"
নমস্কার
জামের দাম শুনেই চক্ষু চড়কগাছ:
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আমার নিজস্ব একটি বাস্তব অনুভূতি শেয়ার করবো।আসলে দিন দিন দ্রব্যমূল্য এর দাম আকাশ ছোঁয়া।অথচ এই জিনিসকেই একসময় আমরা তুচ্ছ ভাবতাম।এক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।আশা করি অনুভূতিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
বন্ধুরা,গ্রীষ্মকাল মানেই নানা ফলের সমাহার।তাই এই ফলের সমাহারের মধ্যে রয়েছে আমাদের অতি পরিচিত ফল জাম।জাম আবার দুই প্রকার,যেমন-হ্যাড়ে জাম অর্থাৎ বড় জাতের জাম আর হচ্ছে খুদে জাম।ছোটবেলায় আমার মামাবাড়ি ইয়া বড় বড় দুটি জাম গাছ ছিল।আর বড় জাতের জাম জ্যৈষ্ঠ মাসে পেকে গাছ তলা দিয়ে কালো রঙের ছাপ পড়ে যেত মাটিতে।গ্রামের অনেকেই আমার মামাদের গাছ থেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে জাম পেড়ে খেতো।কিন্তু একবার বড় ঝড়ে একটি জাম গাছ উপড়ে পড়ে যায় আর বাকিটা কয়েকবছর পর কেটে দেওয়া হয়।তখন প্রচুর পরিমাণে জাম খাওয়া হতো বাছাই করে করে। আবার খুদে জামের গাছও ছিল মামাদের জমিতে।অজস্র ধরে থাকতো থলি,যেটা দেখতে খুবই ভালো লাগতো,মনে হতো নীল ও কালো আঙুর ফল ঝুলছে গাছে।অনেক বছর হলো মামাবাড়ি যাওয়া হয় না আর জাম গাছও নেই।
আমাদের গ্রামের বাড়িতে যে বছর প্রথম জাম ধরা শুরু করেছিলো ঠিক সেই সময়-ই শহরে চলে আসা হয়েছিল।তাই আর আমাদের নিজেদের গাছের জাম খাওয়াও হয় নি।তারপর থেকে প্রতিবছর কিনে খাওয়া হয় বাজার থেকে।দিন যতই এগোচ্ছে ততই বাজারের দ্রব্যমূল্য এর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।আর দিন দিন জাম গাছের সংখ্যাও যেন অনেক কমেছে।মানুষের বাড়ি জাম গাছ দেখা যায় না বললেই চলে তেমন।জাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ও জামের বিচি খাওয়া খুবই উপকারী।
কয়েকদিন আগে একটি বিশেষ প্রয়োজনে যাচ্ছিলাম বারাসাত।তখন শেওরাফুলী বাজারে দেখলাম একজন জাম নিয়ে বসেছে।দাম জিজ্ঞাসা করতেই তো আমার চক্ষু চড়কগাছ।বিক্রেতা বললেন-- প্রতি 1 কিলো জামের দাম কিনা 1000 টাকা করে।আমার এতটাও সামর্থ্য নেই যে এত দাম দিয়ে জাম কিনে খাবো,অন্য ফল হলে আলাদা কথা ছিল।যাইহোক অগত্যা চলে গেলাম বারাসাত।তারপর বাবা বারাসাতে ভোট দেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন একদিনের জন্য,সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন।তাদের বাড়ির ঠিক পাশের বাড়িতে ইয়া বড় একটি জাম গাছ আর প্রতিনিয়ত তারা পাকা জাম পাড়ে খাওয়ার জন্য।আমার বাবা বাড়ি আসার সময় তারা প্রায় 1 কিলোর মতো জাম হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল,আসলে চেনা -পরিচিত জায়গার এটাই সুবিধা।
বাবা বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল, আর পাকা জাম একদিনের বেশি রাখা যায় না।তাই রাতে সব পাকা জাম আমরা খেয়ে ফেলেছিলাম,ইচ্ছে করেই আর ছবি তুলিনি। আর কিছু অর্ধপাকা জাম রেখে দিয়েছিলাম বাছাই করে সেগুলোর ছবিই পরদিন এই তুলেছিলাম।যেটা শেয়ার করেছি,যাইহোক এই বছরের মতো ফ্রি তে জাম খেলাম।আসলে সিজনের জিনিস সিজনে না খেতে পারলে ভালোও লাগে না।কম হোক কিংবা বেশি খেতেই হয়।তো এটাই ছিল আমার জাম খাওয়ার অনুভূতি।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thanks.
বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখেছেন। জাম ফলটি খুব অল্প সময়ের জন্য আর এই ফলটি খেতে সবাই পছন্দ করে।অন্যান্য গাছের তুলনা জাম গাছটি বর্তমানে কম দেখা যায়। বাজারে জামের চাহিদা ও প্রচুর। ভিটামিন ওআইরন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জামে।আমাদের এদিকেও জামের দাম প্রচুর। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।
আমার তো মনেই ছিল না দিদি এটা জামের সিজন। ইস কত বছর জাম খাই না। এই দেশীয় ফলগুলো বাজারে প্রচুর চড়া দামে বিক্রি হয়। একটা সময় গ্রামে প্রচুর জামের গাছ ছিল কিন্তু এখন সেগুলো আর দেখাই যায় না। জামগুলো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও মনে হচ্ছে এখনো অনেকটা কাঁচায় রয়ে গেছে। আপনার জাম কেনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো।
আপু,ওই যে বললাম পাকাগুলির ছবি না তুলেই খেয়ে নিয়েছি।আর এগুলো কেনা নয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
বলেন কী আপু ১০০০ টাকা কেজি। দাম শুনে তো আমার জাম খাওয়ার ইচ্ছাই চলে গেছে। ঢাকায় বিক্রি করা দেখি কিন্তু দাম শোনা হয় নাই আজ পযর্ন্ত। আম গাছের পরিমাণ দিনে দিনে কমছে এইজন্যই এটার দাম একটু বেশি। এবং পাওয়া যায় কম। জাম আমার বেশ পছন্দের ফল।
হ্যাঁ ভাইয়া, প্রথমে আমারও খাওয়ার ইচ্ছা চলে গিয়েছিল কিন্তু ফ্রি জিনিস খাওয়ার মজাই আলাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।
জামের এমন দাম হওয়া স্বাভাবিক আপু কারণ বর্তমানে এখন জাম গাছ বিলীন হওয়ার পথে, এর আগে আমাদের বাড়িতে জামের বাগান ছিল এখন আর সেই বাগান নেই গ্রাম গঞ্জে খুঁজলে হয়তোবা দু চারটি জাম গাছ পাওয়া যাবে। তাই এই জামের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন, জামের বাগান এখন আর দেখায় যায় না।ধন্যবাদ সুমতামতের জন্য।
যদি সম্ভব হতো তাহলে আপনাদের দেশে চলে যেতাম আর জাম বিক্রি করতাম। এক কেজি জামের দাম ১ হাজার টাকা শুনে মাথাটা ঘুরে গেল। ইচ্ছে করছিল এখনই দৌড়াই আপনাদের দেশে। জাম বিক্রি করে কোটিপতি হয়ে যেতাম। যেকোনো মানুষের জন্য এটা অসম্ভব। তবে আমরা যদি জাম গাছ নিজেদের বাড়ির আঙিনায় লাগিয়ে রাখি,তাহলে কিন্তু এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় না।
☺️☺️ভাইয়া, চলে আসুন আপনার গাছের সকল জাম নিয়ে।দারুণ বিক্রি হবে তবে হাজার টাকা করে নাও হতে পারে এই মুহূর্তে।
১ কেজি জামের দাম এক হাজার টাকা! আমি তো মনে হয় গত পরশুদিন কিনলাম ৩৫০ টাকা করে কেজি । যাইহোক, আমিও যখন ছোট ছিলাম তখন মামা বাড়ি গিয়ে প্রচুর পরিমাণে জাম খেয়েছি। আর আমাদের বাড়িতেও অনেক জাম গাছ ছিল। এখন তো শহরে চলে আসার কারণে সেগুলো আর খাওয়া হয় না। তবে আগে কিন্তু জামের এত দাম ছিল না বোন, ইদানিং দেখছি অনেক বেড়ে গেছে।
দাদা,শেওরাফুলী বাজারে লোকটি বললো।দাম শুনে তো আমি হতবাক, তবে তোমার ওখানে অনেক কম দাম দেখছি।
শেওরাফুলীতে এত বেশি দাম! হিসাব মতো তো বোন আমাদের এইখানের তুলনায় ঐখানে দাম কম হওয়া উচিত।
আপনার পোস্ট পড়ে আমিও তো অবাক হয়ে গেলাম আপনি। এর আগে আমি কখনো শুনিনি এক কিলো জামের দাম এক হাজার টাকা। শহর এলাকায় এই সমস্ত জিনিসের দাম একটু বেশি জানি তবে এত বেশি তা জানা ছিল না। কিন্তু গ্রামের দিকে লক্ষ্য করেন দেখবেন জাম মাটিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অথচ কেউ খাচ্ছে না। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন, জাম খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপু।
১ কেজি জামের দাম এক হাজার টাকা চেয়েছে কিভাবে সেটাই তো ভাবছি। লোকটার মাথায় মনে হয় সমস্যা আছে। আমাদের এখানে তো ভালো মানের জাম ৪০০/৫০০ টাকা কেজি। যাইহোক জাম মাখা খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আপনি তো দেখছি ফ্রি ফ্রি জাম খেয়ে ফেলেছেন এবার। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া,সমস্যা আছে কিনা জানিনা তবে ওইসময় বাজারে জাম উঠে পারিনি।উনি একাই মনে হয় সুযোগ নিতে চাইছিলেন,ধন্যবাদ আপনাকে।