"জলরঙে করা ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"জলরঙে করা ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
জলরঙে করা ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠ থিমটি প্যান্ডেলের দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠেছে কাব্যিক ছোঁয়ায় কিংবা তার অনবদ্য বিভিন্ন সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে। আসলে এই পেইন্টিংগুলির মাঝে বিভিন্ন লেখক ও কবির লেখা ছড়া, কবিতা কিংবা কোনো গল্পের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে।ছোটবেলায় পড়া রবীন্দ্রনাথের এই আতা গাছে তোতা পাখি ছড়াটি তো সবারই বেশ পরিচিত এবং মুখে মুখে থাকতো বলাই চলে।এই চিত্রে একজন বাচ্চা ছেলে,বুড়িমা আর গাছের ডালে একটি তোতা পাখির দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
জসীমউদ্দীনের লেখা রাখাল ছেলে কবিতাটি আমাদের খুবই পরিচিত।রাখাল ছেলে তার বাঁশির সুরে মোহিত করে সকলকে। যদিও আমরা এগুলো অনেকটাই ভুলে গিয়েছি তবুও এই পেইন্টিংগুলো আবারো স্মরণ করিয়ে দেয় সেই ছোটবেলাকার মজার এইসকল কবিতাগুলোর কথা।
এটা হচ্ছে টুনটুনি পাখির চিত্র।ছোট্ট বরই গাছের ডাল কিংবা বেগুন গাছের ডালে টুনটুনি তার বাসা বাঁধে খড়কুটো জড়ো করে। টুনটুনি পাখি ছোট্ট-মিষ্টি একটি পাখি আর খুবই পরিশ্রমীও।টুনটুনি পাখির মুখে শুকনো খড়-কুটো জড়ো করার দৃশ্য-ই ফুটে উঠেছে।তাছাড়া পাখিটি ছোট্ট হলেও এর তীক্ষ্ণ আওয়াজ কিন্তু বেশ জোরালো।
যোগীন্দ্রনাথ সরকারের লেখা কাজের ছেলে কবিতার আদলে পেইন্টিংটি তৈরি করা হয়েছে।এখানে একটি ছেলে ছাতা মাথায় ধুতি-পাঞ্জাবী পড়ে হেঁটে চলেছে তার কর্মের গন্তব্যে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে কবিতাটি আমরা সকলেই পড়েছি।এমনকি এই কবিতাটি ছোটবেলায় আমরা প্রায়ই আবৃত্তি করে বড়দেরকে শুনিয়ে বাহ-বা পেতাম।এখানে তালগাছ, দূর আকাশে উড়ে যাওয়া পাখির ঝাঁক ও কিছু গ্রামীণ পরিবেশে কুঁড়েঘরের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জয়ন্তী উপলক্ষে একটি পেইন্টিং এর চিত্র ফুটে উঠেছে। যেখানে একটি ছেলের এক হাতে পেন ও অন্য হাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবির পেইন্টিং করা হয়েছে। যেটা দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সবশেষে একটি মেয়ের নাচের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।যেখানে মেয়েটির গায়ের পোশাক ও চুলের বিভিন্ন ডিজাইন করা হয়েছে।মনে হচ্ছে মেয়েটি নৃত্য পরিবেশন করছে নানা অঙ্গ-ভঙ্গিমায়।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
সত্যি আপু আপনি অসাধারণ আর্ট করতে পারেন যা আপনার পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনি আজকে বিভিন্ন কয়েকটি আর্ট পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা জল রং এর আর্ট পোষ্টের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে একজন এছাড়াও টুনটুনি পাখি সহ গাছের ছবি দুটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
@biplob89 ভাইয়া, আমার মনে হচ্ছে আপনি পোস্টটি ঠিকভাবে পড়েন নি।এই আর্টগুলি আমার করা নয়।
আপু আমার টাইপিং হয়তো ভুল হয়েছে ধন্যবাদ।
টাইপিং ভুল নয় ভাইয়া, আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে।আসলে এগুলো পূজা প্যান্ডেল থেকে সংগৃহীত পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি।আমার করা আর্ট নয়,ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের এই ভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য পট। আমার মাঝে মধ্যে মনে হয় এমন সুন্দর দৃশ্য যদি আমি নিজে হাতে অঙ্কন করতে পারতাম। তবে যাই হোক দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন এতেই খুশি হলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, এগুলো যদি নিজের হাতে অঙ্কন করা যেত তাহলে মনে প্রশান্তি মিলতো।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ দারুন কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। এতই ভালো লেগেছে এক একটি ফটোগ্রাফির ডিজাইন একেক রকমের। এত সুন্দর পেইন্টিং করা মানে অনেক দক্ষতা। আপনার প্রতিটি পেইন্টিং ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে পেইন্টিং ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,সব পেইন্টিং এর মাঝেই ভিন্নতা ছিল।
বেশ দারুণ কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পেইন্টিং দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার এই পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর সুন্দর পেইন্টিং ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রশংসামূলক মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপু।