ইস্যু পেলেই আমরা সব ভুলে যায়!!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আজকে আপনাদের সাথে একটা লেখা শেয়ার করব। যেখানে গল্প এবং বাস্তবতা পুরোপুরি মিলে যাবে। প্রথমে গল্পটা বলি, তিন চোর গেছে মহিষ চুরি করতে। প্রথম চোর শুধুমাত্র মহিষের গলার ঘন্টা খুলে নিয়ে গ্রামের উওর দিকে রওনা হয়। এখন দ্বিতীয় চোর মহিষকে নিয়ে দক্ষিণ দিকে হাঁটতে থাকে অর্থাৎ প্রথম চোরের সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে। আর তৃতীয় চোর ভালো মানুষ সেজে গ্রামের মানুষের সাথে মিশে যায়। এখন ভালো মানুষ সাজা তৃতীয় চোর সাধারণ গ্রামের মানুষ কে পরামর্শ দেয় ঘন্টা যেদিকে শোনা যাচ্ছে মহিষ ঐদিকেই গেছে। তো গ্রামের মানুষ সেদিকেই যেতে শুরু করে। ঘন্টা নিয়ে যাওয়া প্রথম চোর কিছুদূর গিয়ে ঘন্টা ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে ঘন্টার আওয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন গ্রামের মানুষ ঘন্টা খুজেঁ পেয়ে মশগুল হয়ে যায়।
অন্যদিকে দ্বিতীয় চোর সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে মহীষ নিয়ে পালিয়ে যায় নিরাপদ দূরত্বে। এবং কিছুক্ষণ পর তৃতীয় চোর ঐ মানুষের মধ্য থেকে সরে পড়ে। অর্থাৎ পুরোপুরি একটা টিমওয়ার্ক। এটা তো ছিল গল্পটা এখন বাস্তবতা টা শেয়ার করি। বতর্মানে বাংলাদেশে তো অনেক ঘটনাই ঘটে। তবে সবসময় কী হয় রাঘব গোয়াল যেগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে যখনই কিছু উঠে আসে ব্যাপার টা ঠিক এইরকম হয়। অর্থাৎ কোন একটা ঘটনা ঘটলে প্রথম চোরের কাজটা করে আমাদের দেশের সাংবাদিক রা। অর্থাৎ তারা তাদের নিউজ নিয়ে যেইদিকে যায় আমরা সেইদিকেই যায়। এবং আসল চোর যে তার ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্নদিকে।
অর্থাৎ এখানেও তিনটি পক্ষ হয়ে যায়। এক ঐ চোর দ্বিতীয় সাংবাদিক এবং তিন আমরা সাধারণ জনগণ। অর্থাৎ বড়সড় কোন অপরাধি যখনই ধরা পড়ে তখনই এই সাংবাদিক রা আমাদের নজর উল্টাদিকে নিয়ে যেতে একটা ইস্যু বের করে। এবং নিউজ চ্যানেল গুলোতে সেটাই প্রকাশ করতে থাকে। এবং আমরা সেদিকেই যেতে থাকে। রিসেন্টলি যেটা ঘটেছে মিল্টন সমাদ্দারের সাথে। ঠিক তার আগেই বাংলাদেশের বড় ধরনের একজন মানুষের বিরুদ্ধে অনেক বড় একটা অর্থ পাচারের অভিযোগ আসে। এবং হ্যা সে মানুষ সেটা করেছে পযর্ন্ত। আমি কার কথা বলছি আপনারা অনেকেই বুঝবেন। সাংবাদিক রা ঐটা নিয়ে খুবই কম কথা বলল। এবং ঠিক তার পরেই জনগণ কে ভুল দিকে চালনা করার জন্য ঘন্টা বাঁধা হলো মিল্টন সমাদ্দার এর গলায়।
আর কী সাংবাদিক আমাদের সেই ঘন্টার দিকে নিয়ে যেতে লাগল। কিছুদিন যাওয়ার পরে মিল্টন সমাদ্দার এর ঘটনা এখন চাপা পড়ে গিয়েছে সাংবাদিকও ঐ তৃতীয় চোরের মতো কেটে পড়েছে। মধ্য থেকে সেই দ্বিতীয় চোর এতো বড় একটা কাজের পরও মহানন্দে আছে। তাকে নিয়ে কোন আলোচনা নেই নিউজ নেই ডিবির তাকে ডেকে পাঠানো নেই। শুধুমাত্র এইটা না। এখন বাংলাদেশে এটাই হচ্ছে। যখনই বড় কেউ ধরা পড়ে ঠিক তখনই মিল্টন সমাদ্দার দের মতো একজনের গলায় ঘন্টা বাঁধা হচ্ছে এবং আমাদের সেদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবেই চলছে আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা। এগুলো এতো সুনিপুনভাবে করা হচ্ছে আমাদের চিন্তার বাইরে। আর আমরা হলাম একেবারে আসল গৃহস্ত অর্থাৎ সামনে দিয়ে একটা দানাও নিয়ে যেতে দিব না। কিন্তু পিছন আমার পুরো ফসলটা নিয়ে গেলেও সমস্যা নেই হা হা। আমরা সবাই ইস্যু নামক ঘন্টা নিয়েই চর্চা করতে থাকি। আর যে ইস্যুটা অর্থাৎ ঘন্টাটা আমাদের হাতে ধরিয়ে দেয় এই সাংবাদিক রা।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাস্তব একটা পোস্ট লিখেছেন ভাই। তবে প্রথমে মহিষ চুরির ঘটনাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম। কিন্তু এই রকম মহিষ চুরির মতন ঘটনা আমাদের সাথেও যে প্রতিনিয়ত ঘটছে সেটা আমরা বুঝতেই পারছি না। এরকম অনেক বড় বড় ঘটনাগুলোকে হয়তো ক্ষমতার বলে চাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর তুলে আনা হচ্ছে ছোটখাটো মানুষের ঘটনা গুলোকে। আর সেটা নিয়েই তখন চর্চা চলছে ফলে বড় ব্যাপার গুলো অনায়াসেই চাপা পড়ে যাচ্ছে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইজান। আরেক তিনটি পক্ষ তৈরি হওয়া আমার কাছে খুবই বিরক্তকর এবং খারাপ লাগার বিষয় মনে করি। কারণ যে কোন বিষয়ে আমরা লক্ষ্য করে থাকি এমনটা এক দর্শক আরেক ক্যামেরাম্যান আরেক ভুক্তভোগী। তবে যে কোন বিপদ বা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি না। আগে একটা সময় ছিল একজনের সমস্যা আরেকজন দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করত এখন কিন্তু সেগুলা নেই এখন হয়ে গেছে দর্শক শারি আর ক্যামেরাম্যান। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আপনার এই গল্প করে বাস্তবতা অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে প্রতিনিয়ত কম বেশি আমাদের সমাজে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। একদিকে চোর আর একদিকে মানুষের বোকামি কার্যক্রম। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বাস্তবতা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুব সুন্দর কথা বলেছেন ভাইয়া।আপনার সুন্দর কথা গুলোর মাঝে মহিষ চোরের সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেলাম।মহিষ চোরেরা এতে বুদ্ধি প্রয়োগ করে মহিষ চুরি করে।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।