ক্যামব্যাক মাদ্রিদ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কলকাতার একটা নাম করা মিউজিক ব্যান্ড হলো চন্দ্রবিন্দু। এই চন্দ্রবিন্দুর অনেকগুলো গান আছে অনেক জনপ্রিয়। তার মধ্যে একটা গান "এভাবেও ফিরে আসা যায়। এই গানটা আমার অনেক পছন্দের। কেউ যখন ক্যামব্যাক করে নিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে সফলতা পাই তখন এই গানের প্রকৃত অর্থ টা বোঝা যায়। জীবনের প্রতিটা ক্যামবাক এর সঙ্গে এই গানটাকে আপনি রিলেট করতে পারবেন। তবে সবসময়ই কী ফিরে আসা যায়! না অনেক সময় আর ক্যামবাক করা সম্ভব হয় না। ফুটবল পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা। বিশেষ করে বতর্মান সময়ে বিভিন্ন ইউরোপীয় লীগ যেন এই ফুটবল উওেজনা কে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে আমার মনে হয় অন্য দলের সাপোর্টার থেকে আমি একটু বেশি সৌভাগ্যবান। কারণ আমি এমন একটা ক্লাবকে সাপোর্ট করি যে শেষ সময়ে ক্যামব্যাক করতে ভালোবাসে। হ্যা দলটা রিয়াল মাদ্রিদ। চন্দ্রবিন্দুর এইভাবেও ফিরে আসা যায় গানটা যেন ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের জন্যই তৈরি করা।
২০১৩ সালের কথা। আমার বয়স তখন মাএ ১১। সেই সময়ে কাকতলীয়ভাবে আমার পরিচয় হয় স্প্যানিস এই ক্লাবটার সঙ্গে। কিন্তু তখন ক্লাব ফুটবল ততটা বুঝতাম না। তবে আমি ঐসময় থেকে পাকাপাকিভাবে রিয়াল মাদ্রিদ এর সাপোর্টার। প্রায় দশবছর হয়ে গেছে। কিন্তু আমি মোটামুটি নিয়মিত ক্লাব ফুটবল দেখা শুরু করি ২০১৮ সাল থেকে। আমার প্রিয়দলের ম্যাচগুলো দেখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু প্রতিটা ম্যাচ দেখা সম্ভব হতো না। কারণ ইউরোপীয় লীগের ম্যাচগুলো যখন হয় তখন আমাদের দেশে মধ্যরাত। আজ আমি বলব রিয়াল মাদ্রিদের আমার দেখা বিশেষ কিছু ক্যামব্যাক এর গল্প। ২০২২ চ্যাম্পিয়ন লীগ চলছে। কৃষকলীগের মানে ফরাসি লীগের টিম পিএসজি তখন সবচাইতে বেশি তারকাবহুল দল। মেসি নেইমার এমবাপ্পে দোনারুম্মা রামোস কে নেই সেই দলে। রিয়াল এবং পিএসজির মধ্যে উচল(উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লীগ) এর শেষ ষোলের দ্বিতীয় লেগের খেলা চলছে। ম্যাচের সময় তখন ৬০ মিনিট অতিক্রম করেছে। রিয়াল পিছিয়ে আছে ২-০ গোলে। কিন্তু তারপরই ঘটে গেল অঘটন। পুরো পিএসজি টিমকে বিধ্বস্ত করে ফরাসি তারকা করিম বেঞ্জেমা এর হ্যাট্রিক এ ৩-২ গোলে জয়লাভ করে রিয়াল মাদ্রিদ।
সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার সিটির। ম্যানসিটি বর্তমানে ইউরোপের সেরা একটা দল। তবে এটা হয়েছে কয়েক বছর হয়েছে। হঠাৎ কাতারের একটা ধনকূপ মালিক পেয়ে আজ তাদের এই অবস্থা। পাশাপাশি পেয়েছে পেপ গার্দিওয়ালার মতো মাস্টারমাইন্ড একটা কোচ। ফুটবল পাড়ায় একটা কথা চালু আছে তেলের টাকায় জ্বলছি পেপ গার্দিওলা বলছি হা হা। যাইহোক উচল এর সেমিফাইনালের প্রথম লেগ শেষ হয় ৪-৩ গোলের ম্যাচে। এক গোলে লিড নিয়ে বার্নাব্যুতে খেলতে আসে সিটি। কিন্তু ৭০ মিনিট পযর্ন্ত কেউই গোল পাই না। হঠাৎ তারপর রিয়াদ মাহরেজ বক্সের মধ্যে থেকে একটা শর্টে গোল করে কর্তোয়া কে পুরোপুরি পরাস্ত করে। এবং সিটি ২ গোলের লিড নেয়। ৮০ মিনিটের পর মাঠে নামে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রদ্রিগো। ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট চলছে। রিয়াল মাদ্রিদের বিদায় পুরো নিশ্চিত। কিন্তু একটা কথা আছে বার্নব্যু তে ৯০ মিনিট অনেক বড় একটা সময় হা হা।।
ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট কামাভিঙ্গা লং রেঞ্জ একটা বল সেটাতে হালকা একটা টাচ করে তখনই হঠাৎ রদ্রিগোর আগমন এবং অসাধারণ এক টাচ এবং গোল। ততক্ষণে জেগে উঠেছে বার্নাব্যুর দর্শকরা। ম্যাচের তখন অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। ৯৬ মিনিটের খেলা চলছে। বাম পাশ থেকে ড্যানি কার্ভাহাল এর অসাধারণ একটা বল তুলে দেয়। এবং রদ্রিগোর হেড বাকিটা ইতিহাস। পরে ম্যাচ শেষ হয় ৫-৫ গোলের সমতায়। পরবর্তীতে মাদ্রিদ আরেকটা পেনাল্টি পাই এবং করিম বেঞ্জেমার সফল স্পট কিকে জয়সূচক গোলটা পাই রিয়াল মাদ্রিদ। সেদিন রাতে ঐ ক্যামব্যাকের পর আমি নিজের চিৎকার দিয়ে উঠি খুশিতে হা হা। এই সিজেনে রিয়াল একটা স্বপ্নের সিজেন কাটাই। রিয়াল এর নাম হয়ে যায় ক্যামব্যাক মাদ্রিদ। পরের আরও বেশ অনেক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ এভাবে ক্যামব্যাক করে। ইতিহাসের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। চন্দ্রবিন্দুর এভাবেও ফিরে আসা যায় গানটা পুরোপুরি রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গেই যায়।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | সেপ্টেম্বর,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.