বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
অঘটন কথাটা শুনলেই মনে হয় একেবারে প্রচলিত নিয়মের বাইরে কিছু একটা হয়ে গিয়েছে। অঘটনা শব্দটা সব জায়গা ব্যবহার করলেও খেলার মাঠে ব্যবহার করতে আমি রাজি না। কিন্তু ঐ একটু আকর্ষণ করার জন্য টাইটেল টা দিলাম। সাধারণত কোন ছোট দল বড় দলকে হারালে ক্রিয়া সাংবাদিক এবং চ্যানেলগুলো সেটাকে অঘটন আখ্যা দিয়ে দেয়। কিন্তু খেলার মাঠে কেউ কারো থেকে পিছিয়ে থাকে না। হয়তো অতীতের রেকর্ড সমসাময়িক পারফরম্যান্স খেলোয়ারদের যোগ্যতার ব্যাপার টা থাকে। কিন্তু মাঠে উভয় দলেরই সমান সংখ্যক খেলোয়ার থাকে। উভয় দলই তাদের আসল খেলাটা খেলতে চাই। সুতরাং এখানে যে কেউ যাকে তাকে হারিয়ে দিতে পারে। এটা আর যাইহোক অঘটন না। কিন্তু কোন ছোট দল বড় দলকে হারালে সেটাকে অঘটন বলেই আমরা ধরে নেয়। যাইহোক প্রতিটা বিশ্বকাপেই এইরকম কয়েকটা ম্যাচ হয় যেখানে অঘটন হয়ে যায়। ছোট দলগুলা অনাকাঙ্খিতভাবে বড় দলগুলো কে হারিয়ে দেয়।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ -২৩ এর ১৩ তম ম্যাচে গতকাল মুখোমুখি হয়েছিল বতর্মান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচের ফলাফলে সবাই নিশ্চিত ছিল বেশ সহজেই তারা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেবে। কিন্তু না সেটা আর হয়নি। প্রথমে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। অসাধারণ একটা শুরু করে আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। রহমানুল্লাহ গুরবাজ খেলেন ৫৭ বলে ৮০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। পরবর্তীতে ইকরাম এর ৫৮ এবং রশিদ খান ও মুজিব এর দ্রুততম ২৩ ও ২৮ রানের ইনিংসের পর মোটামুটি একটা সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। ৪৯.৫ ওভারে এক বল বাকি থাকতে ২৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৫ রানের। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টা উইকেট নেয় লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
ইংল্যান্ডের গত ম্যাচের ব্যাটিং দেখে সবা ধারণা ছিল না এই রান তাদের খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না। এবং বিশ্বকাপে ভারতের পিচগুলো ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি। ইংল্যান্ডের ঐ ব্যাটিং লাইনআপ এর কাছে ঐ রানটা খুব একটা বেশি না। কিন্তু মাঠে নামার পর যেন সেই ধারণা টা একেবারে বদলে যায়। আফগানিস্তান এর বোলিং এর কাছে যেন রীতিমতো দাঁড়াতেই পারছিল না ইংল্যান্ডের ব্যাটার রা। একে একে মালান, বেয়ারস্ট্রো, রুট, লিভিংস্টন রা ফিরে যায়। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি ব্রুক কিছুটা প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত তাকেও থামতে হয় ৬৬ রানে। ফলে ইংল্যান্ডের জয়ের আশাও একেবারে ক্ষীণ হয়ে যায়। ফলাফল মাএ ২১৫ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এবং আফগানিস্তান ৬৯ রানে বিশ্বকাপের প্রথম জয় তুলে নেয়। গত বিশ্বকাপে আফগানিস্তান একটাও জয় না পেলেও এবার ঠিকই পেয়েছে জয়ের দেখা তাও আবার শক্তিশালী ইংল্যান্ড কে হারিয়ে।
আফগানিস্তানের হয়ে অসাধারণ বোলিং করে রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমান। দুজনেই নেন তিনটা করে উইকেট। কিন্তু মুজিব রান বেশি করা জন্য ম্যাচ সেরা হন তিনি। সবমিলিয়ে একটা কাঙ্খিত জয় পায় আফগানিস্তান। তবে সেটা যে ইংল্যান্ডের সঙ্গেই হয়ে যাবে তারা নিজেও ভাবেনি। এর আগেও ইংল্যান্ড ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এর কাছে এইভাবে হেরেছিল। যেটা কেউই সেসময় আশা করেনি। খেলার মাঠে দুই দলই সমান। দুই দলের খেলোয়ারই যোগ্য। শুধু সঠিক পারফরম্যান্স দরকার। এবং টিম কম্বিনেশন ভালো হলে এবং দিনটা তাদের হলে আর কিছুই দরকার হয় না। যেটা গতকাল আফগানিস্তানের ছিল। ব্যাটিং এর পরে বোলিং টাও অসাধারণ করে তারা। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচের দুইটা তে হেরে বিপদে রয়েছে তারা। সেমিফাইনালে যেতে হলে ৬ টা ম্যাচ নিশ্চিত জিততে হবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের এখনো ভারত,পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে খেলা রয়েছে। এরমধ্যে তিনটা হারলেই তাদের বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আফগানিস্তান গতকাল দেখিয়ে দিয়েছে চেষ্টা করলে তারাও পারে। ২০১৫ এর পর বিশ্ব কাপে এটাই তাদের প্রথম জয়। আমাদের টিম বাংলাদেশের উচিত বড় বড় টিমকে হারিয়ে দেওয়া এবং এতে আমাদের টিম নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে অনেক আলোচনা হবে।
গতকাল ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রথম থেকে আফগানিস্তানের প্লেয়ারদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে হয়তো একটি অঘটন ঘটতে পারে। ঠিক শেষ পর্যন্ত তাই হলো। সত্যিই গতকাল ইংল্যান্ডের নিকট থেকে আফগানিস্তান দুর্দান্ত একটি জয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এজন্যই তো বিশ্বকাপ মানুষ এতটা বেশি পছন্দ করে। কখন কোন দল কেমন পারফরম্যান্স করে সেটা বুঝতে পারা যায় না। যখন আফগানিস্তান ব্যাট করছিল আর আমি দেখতে পেলাম স্পিন বল ভালো হচ্ছে তখনই বুঝতে পেরেছিলাম আজকে একটা অঘটন ঘটতে চলেছে। যেমনটা চিন্তা করেছিলাম ঠিক তেমনটাই হয়েছে আফগানিস্তান ইংল্যান্ড কে হারিয়ে দিয়েছে। কারণ আফগানিস্তানের স্পেন অনেক শক্তিশালী।