ইউরোপিয়ান ফুটবলে গতরাত।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Sportszfy থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে খেলোয়ার রা আবার তাদের ক্লাবে ফিরেছে। আবার শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়ন লীগ। আর চ্যাম্পিয়ন লীগ মানেই ফুটবল প্রেমিদের কাছে জমজমাট একটা রাত। গতকাল ছিল চ্যাম্পিয়ন লীগ এর গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচ ডে। যেখানে বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এর মতো দল মাঠে নেমেছিল। তবে আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ঐ একটা ম্যাচ রিয়াল মাদ্রিদ এর। তবে তার আগে অন্য খেলা গুলো আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম। কিন্তু মাদ্রিদ এর ম্যাচ দেখার জন্য আমাকে অনেক রাত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ম্যাচ শুরু হয়েছিল রাত ১ টাই। সাধারণত চ্যাম্পিয়ন লীগের ম্যাচগুলো বাংলাদেশ সময়ে ঐরকম রাতেই হয়ে থাকে। যাইহোক এখন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ এর প্রতিপক্ষ ছিল পর্তুগিজ ক্লাব বারগা। তাদের হোম ম্যাচ ছিল এবং রিয়াল মাদ্রিদের অ্যাওয়ে ম্যাচ ছিল। যথারীতি একেবারে স্বাভাবিক একাদশ টা নিয়েই মাঠে নামে রিয়াল মাদ্রিদ। বারগা মাদ্রিদ অপেক্ষা কম শক্তিশালী দল। সুতরাং মাদ্রিদ এর জয়টা প্রাপ্য ছিল কিন্তু সেটা যে সহজে হবে না সেটা বুঝেছিলাম। বার বার আক্রমণে যাচ্ছিল মাদ্রিদ। কিন্তু গোল করতে পারছিল না। বেশ কয়েকবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ে যায়। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ভিনিসিয়াস এর অ্যাসিস্টে গোল করে রদ্রিগো। বেশ অনেক দিন পর মাদ্রিদের হয়ে গোলের দেখা পেল রদ্রিগো। এরপর মাদ্রিদ তাদের আক্রমণের গতি বৃদ্ধি করে। কিন্তু গোল হচ্ছিল না। মাদ্রিদ এর আক্রমণের জবাবে বেশ ভালো জবাব দিচ্ছিল বারগা। তারাও করছিল কাউন্টার অ্যাটাক। এরপর ম্যাচের ৬১ মিনিটে আবার ভিনিসিয়াসের অ্যাসিস্টে গোল করে জুড বেলিংহাম। মাদ্রিদ তখন ২-০ গোলে এগিয়ে। এরপরেই ৬৪ মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে বারগা। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন অঘটন ঘটেনি। ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোলে। ম্যাচের সর্বোচ্চ রেটিং ৮.২ নিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয় লুকা মদ্রিচ।
গ্রুপ পর্বের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্প্যানিস ক্লাব সেভিয়া এবং ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনাল। শনিবার লীগ ম্যাচে মাদ্রিদকে ঘরের মাঠে আটকে দেয় সেভিয়া। সেজন্য আমার ধারণা ছিল তারা আর্সেনাল এর সঙ্গে ভালো খেলবে। ম্যাচটা ছিল সেভিয়ার হোম ম্যাচ। মোটামুটি বেশ ভালো খেলা চলছিল। দুই দলই আক্রমণ করলেও কোনভাবেই গোল আসছিল না। অবশেষে প্রথম হাফের অতিরিক্ত সময়ে একক নৈপুণ্যে অসাধারণ এক গোল করে ব্রাজিলিয়ান বয় মার্টিনেল্লি। সে এখন আর্সেনাল এর গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়ার। দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই ৫৩ মিনিটে আরেক ব্রাজিলিয়ান গাব্রিয়েল জেসুস গোল করে এগিয়ে যায় আর্সেনাল কে। আর্সেনাল তখন ২-০ গোলে এগিয়ে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সেভিয়া একটা গোল পরিশোধ করলেও সমতা ফেরাতে পারেনি। ফলাফল ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায় আর্সেনাল।
অন্য ম্যাচে ম্যান ইউ মুখোমুখি হয় ডেনমার্ক এর ক্লাব কোপেন হেগেন এর। ম্যান ইউ এর ঘরের মাঠে ছিল ম্যাচটা। ম্যাচটা বেশ অসাধারণ হয়েছিল। কোপেন হেগেন বার বার চেষ্টা করলেও তাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলে ম্যানইউ গোলকিপার আন্দ্রে ওনানা। পুরো ম্যাচে ওনানা কে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়নি কোপেন হেগেন। কিন্তু ৭২ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুয়ের এর গোলে এগিয়ে যায় ম্যান ইউ। এবং ঐ এক গোলেই শেষ হয় ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ হেরেছিলে ম্যান ইউ। সেজন্য এই ম্যাচটা তাদের জয়ের দরকার ছিল। ম্যাচে সর্বোচ্চ রেটিং ছিল ম্যান ইউ গোলকিপার আন্দ্রে ওনানার। অন্যদিকে এ গ্রুপের আরেক ম্যাচে তুরস্কের ক্লাব গ্যালাটাসারি এর বিপক্ষে সহজ জয় পাই জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। তবে গ্যালাটাসারি বেশ ভালো ফুটবল এর প্রদর্শন করে। বায়ার্ন এর হয় ৮ মিনিটে কোমান, ৭৩ মিনিটে হ্যারি কেইন এবং ৭৯ মিনিটে গোল করে জামাল মুয়সালা। অন্যদিকে গ্যালাটাসারি এর পক্ষে একমাএ গোলটা করে ইকার্ডি সেটাও আসে পেনাল্টি থেকে। ম্যাচ শেষ হয় ৩-১ গোলে। মোটামুটি বেশ ভালো একটা রাত কেটেছে ইউরোপ এর বিভিন্ন দেশের জায়ান্টদের।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চ্যাম্পিয়ন লীগের গত কালকের খেলাটা আমি দেখেছি কিছু অংশ। আজকে আপনার পোস্ট দেখে খুব ভালো লাগলো। চ্যাম্পিয়ন লীগ খেলা দেখার জন্য রাত জেগে থাকতো হয়। ফুটবল খেলা রিভিউ উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।