বই কিনতে নীলক্ষেতে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গত শনিবারের কথা আমি তখন অফিসে ছিলাম। তবে আমাদের পাওয়ার প্লান্টে একটা সমস্যা হওয়ার জন্য পাওয়ার ছিল না। এইজন্য প্রোডাকশন বন্ধ ছিল। একটা সুযোগ হয়ে যায় আমার। অনেকদিন ধরে কিছু বই কিনতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সময় হয়ে উঠছিল না। ঐদিনই সেই সময় টা হয়ে যায়। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায়। এরপর আমি বাসে উঠি। আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে গুলিস্থান প্রায় ১৫ কিলোমিটার। যাইহোক রাস্তায় কোন জ্যাম না থাকার কারণে ঐ ঘন্টাখানেক লেগেছিল গুলিস্থান যেতে। গুলিস্থান গিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে নেয়। যদিও প্রথমে কয়েকজন প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছিল।
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটা রিক্সা নেওয়াই আমার বাজেটের মধ্যে হয়ে যায়। আর এবারই আমি প্রথম যাচ্ছি এইজন্য রিক্সায় যাওয়া এবং একটা রিফ্রেশমেন্টেরও দরকার ছিল। বিকেলের দারুন ওয়েদারে রিক্সায় ঘোরাঘুরি করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। আমার কাজও হলো ঘোরাও হলো যাকে বলে রথ দেখা এবং কলা বেচা হা হা। রিক্সায় বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে আমি চলে গেলাম নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটে। যেহেতু আমি প্রথমবার এসেছি আমাকে আগেই বলে দিয়েছিল আমার চাচাতো ভাই বই কয়েক দোকান দেখে দামাদামি করে যেন ক্রয় করি। যাইহোক আমি প্রথমে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বই দেখা শুরু করি।
বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস গল্প কবিতার বইগুলো আমি দেখছিলাম এবং দাম জিজ্ঞেস করছিলাম। দেখরাম বইয়ের গায়ে যে দাম লেখা আছে তারা প্রায় তার অর্ধেক দামে বিক্রি করছে বইটা। অনেকগুলো স্টল ঘোরাফেরা করার পরে তারপর আমি আমার প্রয়োজনীয় বইগুলো দেখতে শুরু করি। তবে যেমনটা চাচ্ছিলাম তেমনটা পাচ্ছিলাম না। শেষে এক দোকানে পেয়ে গেলাম। বইগুলো এক থেকে দুই বছরের পুরাতন। যদিও আমার একেবারে আপডেট এডিশন দরকার ছিল কিন্তু সেটা পেলাম না। বইগুলো দেখে দাম করার সময় বেশি চাচ্ছিল। কিন্তু আমি কয়েক পর্যায়ে দাম কমিয়ে এরপর নেয়। চারটা বই আমার ৮০০ টাকা পড়েছে।
বই কেনা যখন শেষ হয় তখন মোটামুটি সাড়ে ছয়টা বাজে। আমার সেরকম কোন কাজ নেই। যেহেতু কাজ আগে আগে শেষ শাহবাগ এর দিকে গেলাম একটা রিক্সা নিয়ে। শাহবাগে নেমে বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলাম একটা টং দোকানে। বেশ দারুণ লাগছিল। মেঘলা ওয়েদার তার উপর সন্ধ্যা লোকজনের বেশি কোলাহল নেই। সবমিলিয়ে একেবারে কাঙ্ক্ষিত একটা পরিবেশ যাকে বেশ মেরুন সন্ধ্যালোক। আমি কাজে আসলেই পুরোটা সময় ঘোরাঘুরি করেছি এইজন্য বেশ ভালো কেটেছে সময় টা আমার সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেহেতু ঢাকার মেইন শহর টা থেকে একটু দূরে থাকি। এই শহরটা আমাকে বেশ টানে। কিন্তু সময় করে উঠতে না পারায় আসতে পারি না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অফিসে কাজ না থাকায় বই কিনতে বেড়িয়ে পরলেন।এটা বেশ ভালোই হলো।গুলিস্তান থেকে রিকশা নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে নীলক্ষেত চলে এলেন।আমি ও তো নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত যাই।কবে না আবার আপনার সাথে দেখা হয়ে যায় আমার, হিহিহি।যাই হোক বই কিনলেন ৮০০ টাকার মধ্যে। এরপর আবার শাহবাগ গিয়ে টং এর দোকানে বসে সুন্দর সন্ধ্যা দেখলেন।আপনার অনুভুতি গুলো ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
বই হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার। আর আপনি বই কিনতে নীলক্ষেতে গেলেন। তবে বই মেলাতে বা বই কিনতে গেলে অনেক রকমের বই পছন্দ হয়। আর বিকেল বেলা ওয়েদার ভালো থাকলে ঘুরতো ভালো লাগে। আপনি চারটি বই কিনেছেন ৮০০ টাকা দিয়ে। তবে এখন সবকিছু দাম অনেক বেশি। আর পছন্দ মত বই কিনেছেন সেটি বড় কথা। আর সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনি মোট ৮০০ টাকার মধ্যে বই কিনে নিলেন।অফিসে কাজ না থাকায় বই কেনার কাজটি সেরে ফেলে ভালোই করেছেন।আসলে সময়ের যথার্থ ব্যবহার করা উচিত সকলেরই।আমিও চেষ্টা করি ফ্রি টাইমে বাইরের কাজ শেষ করতে।নীলক্ষেত থেকে বই কিনে দোকানে বসে শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।